দুজন দুজনার


লেখক: মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ

বিষয়: গল্প-উপন্যাস / রচনা

6 রেটিং / 6 টি মতামত
মূল্য: Tk. 240.0  Tk. 120.0   (50.0% ছাড়)

 

বইয়ের নাম দুজন দুজনার
লেখক মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ
প্রকাশনী Maktabatul Azhar - مكتبة الأزهر - মাকতাবাতুল আযহার
সংস্করণ 1 2016
পৃষ্ঠা সংখ্যা 112
ভাষা

মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ


এই বিষয়ের আরো বই

পাঠকের মতামত ও রেটিং

Habibullah Habib @ August 19, 2022


#মাকতাবাতুল_আজহার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২০২২ একটি বন। বিশাল সে বনের এরিয়া। সে বিস্তৃত বনে বসবাস হাজারো পাখির। সীমাহীন আনন্দে দিন কাটে সবারই। এক জোড়া পাখি ঘর বেঁধেছে। দাম্পত্য জীবনে পা রেখেছে। ভালোবাসার সুতোয় বাঁধা সে ঘর। পরম মায়ায় আচ্ছাদিত সে ঘর। সুখময় শান্তিতে প্রহর কাটে দু'জনেরই। একে অন্যকে সঙ্গ দেয় সারাক্ষণই। তাদের নীড় যেন ভালোবাসার শ্রেষ্ঠ নীড়। উপচে পড়া ভালোবাসায় বাঁধা সে নীড়ের সুরম্য দেয়াল। সে সংসারে দুষ্ট-মিষ্টি ঝগড়াও হতো। কিছুটা রাগ,অভিমানও জমতো। কখনো কখনো মন মালিন্যও হতো। তবে সেটা নিছক কিছু সময়ের জন্য। কিছু প্রহরের জন্য। একেবারেই ক্ষণস্থায়ী। রাত-ভোর হওয়ার আগেই সেসব ঝগড়া,অভিমান উবে যেত। বিচ্ছেদের ঘন্টা বাজা'র আগেই সেসব এক নিমিষেই গুলিয়ে যেত। এতে করে একে অপরের প্রতি আরো দিগুণ টান অনুভব করতো। একে অপরের প্রতি প্রেমপ্রীতি হাজার গুণ বেড়ে যেত। ওতশত আনন্দেই যাপিত করছিলো তাদের সমাগত দিনগুলো। হঠাৎ একদিন তাদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি হলো। এতে করে কিছুটা দূরত্বও সৃষ্টি হলো। তবে সে দূরত্ব আর কমছিল না। দিনকে দিন দূরত্বের দেয়াল বেড়েই চলছিল। দু'জনে অসহ্যনীয় বিপাকে পড়ে গেল। এমন শোচনীয় অবস্থায় সে দাম্পতীর করণীয় কী? আনিন্দ্য সুখে ভাসমান সংসারটা আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে বর্জনীয় কী? কোন সে কাজের প্রভাবে কেটে যাবে তাদের সুখাচ্ছন্ন সংসারের নিকষ কালো আঁধার? জানতে হবে! জানার প্রয়াস নিয়ে পড়তে হবে!! পড়তে হবে ❝দু'জন দু'জনার❞ বইটি। ••••বইয়ের নাম সম্পর্কে•••• ❝দু'জন দু'জনার❞ নামটা যেমন চিত্তাকর্ষক, তেমনি বিচিত্রময়ী। ভালোবাসার ফোঁটা ফোঁটা বিন্দু জলে যেন গড়া দাম্পত্যের হৃদয়ে অতল গহীন সমুদ্র। আর বড়ই মিষ্ট যেন সে সমুদ্রের জল। নামতেই লুকিয়ে আছে মধুময়তা। প্রেমপ্রীতি ভালোবাসার ছন্দময়তা। পৃথিবীর কোলে বিরাজমান হাজারো মানুষের ভীড়ে দু' জন দু'জনার। এক নিপুণ শৈলীতে তৈরী দু'জন দু'জনার ভালোবাসাময় সম্পর্ক। একই সুতোয় বাঁধা থাকে দু'জনার প্রাণ। এ সম্পর্কের রশ্মি থাকে স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা'র হাতে। তিনিই পবিত্র ভালোবাসার রসালো মধু ঢেলে দেন দু'জনার হৃদয়ে। এ দৃষ্টিকোণ থেকেই বইয়ের নাম যথোচিত মনঃপুত। এক কথায় অসামান্য। ••••বই সম্পর্কে•••• এ বইয়ের প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে শিক্ষা। দাম্পত্যকলোহ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার দীক্ষা। এ বইকে উজ্জ্বলিত করেছে ৩৯টি গল্প। প্রতিটি গল্পই জীবন সাজানোর। জীবন রাঙানোর। শব্দের নিখুঁত গাঁথুনিতে নির্মাণ এ বাইখানি। সে গাঁথুনিতে রয়েছে গুচ্ছ গুচ্ছ শব্দের চমৎকার মিলনমেলা। যা অধ্যায়নে হৃদয় হয় আন্দোলিত। মনপাড়া হয় শিহরিত। কি যে এক ভালোবাসার ছন্দে আকাঁ এ বইখানি তা শুধু পড়লেই অনুধাবন করা সম্ভব। তো আর দেরী নয়! আজই পড়া শুরু করুন!!! ••••কেন বইটি পড়বেন•••• বইটিতে থেকে কুড়োতে পারবেন দাম্পত্য জীবনের পাথেয়! জেনে নিতে পারবেন মনমালিন্য'র দিনগুলোতে স্বামী-স্ত্রীর কী করণীয়।বুঝে নিতে পারবেন একে অপরের প্রতি রয়েছে কতটা দায়িত্ব। সংসার সুখের হয় কার গুণে? স্বামী না স্ত্রী'র? নাকি দু'জনেরই?? দুরূহ প্রশ্ন বটে! তবে এর উত্তরও আছে। জানতে হলে (দু'জন দু'জনার) বইটি পড়ে নিন। বুঝে নিন এস–ব বিষয়। হাত বাড়িয়ে সুখ কুড়োতে বইটি পড়ার বিকল্প নেই। ••••বইটি কাদের জন্য•••• বইটি গঠনমূলক বিবাহিতাদের জন্য। তাদের তরেই এ চমকপ্রদ বইখানি। তবে বইটি নিছক বিবাহিতাদের জন্য বললে ভুল হবে। কেননা বইটি অবিবাহিতরাও পড়তে পারবে। আগত জীবনের মূল্যবান পাথেয় সংগ্রহ করতে পারবে। হৃদয়ের কন্দরে কাঙ্ক্ষিত মানুষটির জন্য ভালোবাসা জমিয়ে রাখার ইচ্ছে প্রবল হবে। ইন শা আল্লাহ। ••••ভালোলাগা•••• ভালো লেগেছে বইটির অতুলনীয় প্রচ্ছদ। ভালো লেগেছে অসম্ভব সুন্দর গল্পগুলোও। এর চেয়েও বেশি ভালো লেগেছে বইটির "উৎসর্গ" বাণী। ❝একরাতেই বিধবা হয়ে যাওয়া অসংখ্য বোনকে❞। ••••সমালোচনা•••• সমালোচনা করার মতো আহামরি তেমন কিছু পাইনি। বইয়ে যা পেয়েছি সবই অসাধারণ। সমালোচনার মতো নয়। ••••শেষ কথা•••• সুন্দর একটি সংসার কে না চায়! কে না চায় সংসার টিকে থাকুক অটুট ভালোবাসায়!এ চাওয়া অদ্ভুত কিছু নয়। বরং ভালোবাসার দাবী। এ দাবী পূরণের 'নকশা' জানতে হবে। তবেই মনের সুপ্ত চাওয়া সফলতার দারপ্রান্তে পৌঁছুবে। একনজরে.........! বইঃ দু'জন দু'জনার। লেখকঃ মুহাম্মাদ আতীকুল্লাহ। প্রকাশকঃ মাকতাবাতুল আযহার। ~~রিভিউঃহাবীবুল্লাহ হাবীব~~
Farhana Hossain Rumi @ September 4, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_২০২২ প্রারম্ভিক কথন ঃ মানব সৃষ্টির সূচনা লগ্ন আরম্ভ হয় আদম (আ) থেকে। জান্নাত হয় তাঁর আবাসস্থল। তথায় সুখ, স্বাচ্ছন্দ্যের মাঝেও তিনি অনুভব করেন নিঃসঙ্গতা, একাকীত্ব। তাঁর একাকীত্ব দূর করতে রাব্বে কারীম তাঁরই পাজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেন হাওয়া (আ) কে। কেননা হাওয়া (আ) এর মাঝেই ছিলো প্রশান্তি। বিয়ের মধ্য দিয়ে দু’জন নর ও নারী যে জীবন শুরু করে তারই নাম দাম্পত্য জীবন। সবাই চায় দাম্পত্য জীবন যেন সুখের প্রশান্তির হয়৷ জীবনের প্রতিটি অধ্যায় যে সুখকর হবে তা কিন্ত না। দাম্পত্য জীবনে চলার পথে হাজারো ঝড় আসবে। সুখে দুঃখের একে অন্যের ঢাল হয়ে থাকতে পারাই প্রকৃত অর্থে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক। তাদের মাঝেই সুপ্ত রেখেছেন প্রশান্তি। আল্লাহু সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা ধরনীর বুকে বহু সম্পর্ক সৃষ্টি করেছেন। তবে কেবলমাত্র একটি সম্পর্কেই দুইজন ভিন্ন সত্ত্বাকে একে পরিণত করে সে সম্পর্কের নামই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। এই স্বামী স্ত্রী সম্পর্কের মাধ্যমেই মানবজাতির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। দাম্পত্য জীবন মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ অথচ স্পর্শকাতর বিষয়। দাম্পত্য জীবনের সঠিক সিদ্ধান্তগুলো যেমন জীবনকে সুখময় করে তুলতে পারে, তেমনি সামান্যতম ভুল জীবনকে বিষাদময় করে তুলতে পারে। দাম্পত্য জীবনে যেমনি রয়েছে অনাবিল সুখ শান্তি তেমনি রয়েছে মনোমালিন্য। কখনো কখনো ছোট খাটো মান অভিমান থেকে সম্পর্কের ইতিরেখা অব্দি গড়ায়। দাম্পত্য জীবনের খুটিনাটি নিয়েই গল্পের ছলে লেখক ফুটিয়ে তুলছে দাম্পত্য জীবনের বিবিধ বিষয়াদি। একটি সুখী পরিবারের সংজ্ঞা, সংসার টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে কার ভুমিকা বেশি, একে অন্যকে বুঝতে পারা, একে অন্যের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য, প্রিয় মানুষটিকে ভালবাসার বয়লে আগলে রাখতে জানা, সবর, সাধনা ইত্যাদি প্রতিটি দিক লেখক গল্পের মাধ্যমে জীবন্ত করে তুলেছেন। গল্প পড়ে যদিও সুখী পরিবার গড়া যায় না তবে গল্পের আলোকে অবশ্যই চেষ্টা করা যায়। মানুষের দাম্পত্য জীবনকে সুন্দর ও সুখময় করে তুলতে কুরআনের আয়নায় কিছু আয়াত দেখবো, "আর তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে যে তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের স্ত্রীদের, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য তাতে অবশ্যই বহু নিদর্শন আছে। ’ (সুরা রুম) ফ্ল্যাপ থেকেঃ ঘর হলো নারীদের রাজ্য। একজন নারী নিজেকে সব সময় সেই রাজ্যের সিংহাসনে আসীন দেখতে খুবই পছন্দ করে। সে কল্পনায়, স্বপ্নে, বাস্তবে এই রাজ্য নিয়ে ভাবে। সাজায়। রচনা করে। - দুজন দুজনার লেখক পরিচিতিঃ লেখকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মত কিছুই নেই। কেননা লেখক সম্পর্কে জানে না এমন মানুষ কমই আছেন। তবুও বইয়ের রিভিউ প্রসঙ্গে লেখক পরিচিতি দিতেই হয়। তিনি কওমি অঙ্গনের একজন সম্মানিত আলেম মুহাম্মদ আতীকুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ। পেশায় তিনি মাদরাসায় শিক্ষকতায় নিয়োজিত আছেন। একই সাথে তিনি ইসলামের বিভিন্ন বিষয়গুলোকে গল্প আকারে পাঠকদের মাঝে উপস্থাপন করে চলেছেন। পাঠসজ্জাঃ এটি লেখকের 'জীবন জাগার গল্প' সিরিজের অষ্টম বই। লেখক বইটির সাজিয়েছেন বেশ চমৎকার চমৎকার গল্প দিয়ে সেই সাথে গল্প গুলি চমৎকার শিরোনামে সাজিয়েছেন। লেখকের বইয়ের আকর্ষণীয় দিক হলো বইয়ের নাম এবং গল্পের শিরোনাম। বইয়ের নাম ও শিরোনামে যে কারো মননে ইচ্ছা জাগবে বইটি পড়ে দেখার। চলুন দেখি আসি দুজন দুজনার বইয়ের গল্পের কিছু শিরোনাম, -লাজরাঙা হাসি ও অনন্ত প্রেম -আমার সোনা বউ -হি শী -তালাকনামা -ঘোলাটে পানি . -পরিশীলিত আচরণ - দশটি নসীহত -শুকনো ফুল -সুলতানুল কালব -ভালোবাসার রহস্য -বুদ্ধিমতী বধু -বিরলতম স্বামী ..... -অবহেলা - বিশ্বাস-অবিশ্বাস -বিয়ের আইন -সাইকেল-প্রেম -বাবার আদর -ক্ষমার রবার -পুতুল বিক্রি..... এমন সব আকর্ষণীয় শিরোনামে মোট ৩৯টি গল্পে বইটি সাজানো হয়েছে। পাঠ অনুভূতিঃ "যে বই পাঠের তৃপ্তি, আনন্দ অন্যকে জানাতে ইচ্ছা করে, সে বই আমরা অন্যকে পড়তে দেই, পড়তে বলি। নিজের ভালোলাগা এমনকি মন্দলাগা কোন বইয়ের বিবরণ আমরা উৎসাহের সাথে অন্যকে জানাই। নিজের অনুভূতির যথার্থতা যাচাই করতে অন্যকে আহ্বান জানাই" এই বইটিও এমন একটি বই যা বিবাহিত, অবিবাহিত নারী পুরুষ সকলের পড়া উচিত। দাম্পত্য জীবনের ফুটে উঠা চিত্র সম্পর্কে ধারনা নেওয়ার জন্য হলেও বইটি পড়া উচিত৷ সহজ সাবলীল ও মার্জিত এবং চমৎকার শব্দচয়নে বইটিকে সাধারণের মাঝেও অসাধারণ করে তুলেছে। বইটির প্রত্যেকটি গল্পই অসাধারণ। নিদিষ্ট করে কোনটা বাদ দিয়ে কোনটা বেশি ভাল লেগেছে বলা বেশ দায়। তবে দল " দশটি নসীহত" ও "বিরলতম স্বামী " অন্তরে মোটা অক্ষরে দাগ টেনেছে। -দুজন দুজনার এক নজরে বইটিঃ লেখকঃ মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ প্রকাশনীঃ মাকতাবাতুল আযহার বইটির ধরনঃ দাম্পত্য জীবন ঘনিষ্ঠ। পৃষ্ঠা সংখাঃ ১০৯ প্রচ্ছদ মূল্যঃ ১৮০ টাকা রিভিউ প্রদানকারীর নামঃ ফারহানা হোসেন রুমি
ফাহিম হাসান @ September 8, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_২০২২ ভালোবাসা- শব্দটা কারো কাছে নিছক অশ্লীলতা আর বেহায়াপনার সম্মেলন। আবার এই ভালোবাসা শব্দটাই কারো কাছে সবথেকে পবিত্র বন্ধনের নাম, জান্নাতের চিরসঙ্গী হয়ে থাকার অটুট বন্ধনের নাম, কোন রক্তের বন্ধন ছাড়াই দুটো জীবনকে আজীবন একই সুতোয় বেঁধে রাখার এক অমোঘ ফর্মুলার নাম। কেমন হয় যদি সেই চিরচেনা ভালোবাসাকেই আপনি উপলব্ধি করেন নতুন আঙ্গিকে? "দুজন দুজনার" বইটিতে মোড়ে মোড়ে আপনি পাবেন ভালোবাসার অপূর্ব সব দস্তান। কখনো লেখক আপনাকে নিয়ে যাবেন খায়রুল কুরুণ এর সেই শ্রেষ্ঠ যুগে, আপনি হারিয়ে যাবেন সেই প্রাচীন সময়ে। আপনি চোখ বুজে উপলব্ধি করবেন শ্রেষ্ঠ মানুষগুলির শ্রেষ্ঠ ভালোবাসার একগুচ্ছ গল্প। কখনো বা লেখক আপনাকে গল্পের আড়ালে দিয়ে যাবেন অতি মূল্যবান লাইফ লেসন। যারা বিবাহিত, তাদের জন্য এটি হতে পারে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, হতে পারে আপনি আপনার বৈবাহিক জীবন নিয়ে অনেক অভিজ্ঞ, তবে বইটি আপনাকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে, নতুন করে আপনার প্রিয় মানুষটিকে চিনতে শেখাবে। আপনার প্রতিটি আচরনকে ছাঁচে ফেলে মাপতে শেখাবে। হয়তো আপনি কখনো আবিষ্কার করবেন, লেখক যেনো আপনাকে উদ্দেশ্য করেই বলছেন, লেখক যেনো আপ্রাণ চেষ্টা করছেন আপনার ধুলোপড়া সম্পর্কের উপর থেকে ধুলোর আস্তরণ সরিয়ে নতুন করে ভাবাতে, নতুন করে ভালোবাসতে, নতুন করে আপন করে নিতে। কখনো গল্পের মধ্যে আপনি খুঁজে ফিরবেন আপনাদের নিজেদের সোনালী অতীত, আপনার মনে আকাঙ্খা জেগে উঠবে সেই অতীতকে বর্তমানে রূপ দেয়ার। বই পড়ার ফাঁকে দেখবেন অজান্তেই ভালোবাসার মানুষটির কথা মনে করে একচিলতে হাসি ফুটে উঠেছে আপনার গালে, কৃতজ্ঞতায় ন্যুঁজ হয়ে পড়তে মন চাইবে। কখনো বা নিজের কিছু অবহেলার কথা মনে করে চোখ চিরে বেরিয়ে পড়বে অনুতপ্ত অশ্রু। মনে হবে, "এমনটি না করলে কি হতো না?!" যারা অবিবাহিত, তাদের জন্য বইটি অত্যন্ত সহায়ক হবে বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে অজানা কৌতুহলী সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে। বিয়ে সম্পর্কে সমাজের দেয়া ধারণা, ফ্যান্টাসির পরিবর্তে সত্যিকারের লক্ষ, উদ্দেশ্য, ফায়দা সম্পর্কে নিজের জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করতে বইটি অত্যন্ত সহায়ক। আসন্ন নানা সমস্যা সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা ও সম্ভাব্য সমাধানে নিজেকে অভ্যস্ত করে তোলার অমূল্য সুযোগ। সাথে সাথে নিজের মণিকোঠায় জেগে উঠবে দ্বীনদার জীবনসঙ্গিনী খোঁজার অতৃপ্ত আকাঙ্খা। দাম্পত্য জীবনের সফলতার গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে একটি মাত্র শব্দের মধ্যে, আর তা হচ্ছে "তাকওয়া"- বইটি আপনাকে এই চিরন্তন সত্যকে উপলব্ধি করতে শেখাবে। সবশেষে এটুক বলতে চাই, যারা বইটি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন, নিজের সংগ্রহে রেখে দিন, অন্যদের পড়তে দিন, নিজের প্রিয়তমাকে মাঝে মাঝে পড়ে শোনান। আর যাদের পড়ার সুযোগ হয়নি, একবার পড়েই দেখুন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যাদের বই পড়তে ভালো লাগে না, এমন শ্রেণীর পাঠকদের মনে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে বইটিকে একটি মাস্টারপিস বললে খুব একটা বেশি বলা হবে না। বই পড়তে পড়তে কখন যেন লেখার ভিড়ে আপনি নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন! একে একে বইয়ের পৃষ্ঠা গুলো উল্টাতে উল্টাতে যেন নিজের জীবনকে সমৃদ্ধ করবেন একগুচ্ছ নতুন উপলব্ধি দ্বারা। আল্লাহ আমাদের সকলকে লেখকের এই নেক প্রচেষ্টা দ্বারা উপকৃত হবার তৌফিক দান করুন। বই: দুজন দুজনার লেখক: মুহাম্মদ আতিক উল্লাহ রিভিউ লেখক: ফাহিম হাসান। পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১২. ১৯-০৮-২০২২
Anas Ahmed Mahfuz @ September 8, 2022


বইঃ দুজন দুজনার (জীবন জাগার গল্প- ৮) লেখকঃ শায়খ মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ প্রকাশনাঃ মাকতাবাতুল আযহার ◾গল্প শুনবেন? প্রেমের গল্প? ভালোবাসার গল্প? দেখেই হয়তো চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে? হয়তো বলছেন যে, হুজুর হয়ে আবার প্রেম-ভালোবাসার গল্প শুনাবেন? জ্বি। তবে এইটা তথাকথিত কাছে আসার গল্পের মোড়কে অশ্লীলতায় ভরপুর, রমরমা যৌনতার কোনো গল্প না। তথাকথিত প্রেমিক/প্রেমিকার সাথে পালিয়ে যাওয়ার গল্প না। এই গল্পে নেই কোনো ধোকাবাজি,প্রতারণা। নেই ভালোবাসার নাম করে শরীরের চাহিদা মিটিয়ে নবজাতককে ডাস্টবিনে,নর্দমায় ফেলে দেওয়ার কোনো ঘটনা। চ্যালচ্যালাইয়া জাহান্নামে যাওয়ার কোনো গল্প ও শুনাবো না! এ নয় কোনো সস্তা প্রেমের গল্প। এ গল্পে রয়েছে একে অপরের প্রতি দায়িত্ববোধ,কর্তব্য। একে অপরের প্রতি যত্নবান হওয়া। দুঃখ-কষ্টের সময়ে একে অপরের সাথে থাকা। একসাথে পথচলা। যে পথচলার গন্তব্য জান্নাত পর্যন্ত। জান্নাতেও যে ভালোবাসার বন্ধন অটুট থাকবে। ◾গল্পগুলো জানার জন্য আপনাকে পড়তে হবে দুজন দুজনার নামের এই বইটি। বইটিতে লেখক তার অসামান্য প্রতিভার আলোকে উল্লেখ করেছেন স্বামী-স্ত্রীর হালাল সম্পর্ককে। তাদের মধ্যকার খুনসুটি। একটি সুখী পরিবার গঠনে কার ভূমিকা বেশি? একটা সুখী পরিবার গঠনের মূলমন্ত্র-ই বা কি? স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে কেনো ফাটল ধরে? এই সব বিষয়গুলো নিয়ে তিনি তার বইকে সাজিয়ে তুলেছেন। বিয়ের পর কেনো সম্পর্কগুলো এতো সহজেই ভেঙে যায়? সার্বক্ষণিক কি জীবন সঙ্গীর সৌন্দর্যে ডুবে থাকলেই সংসার সুখের হয়? নাকি তার মন বুঝার চেষ্টা করে, তার মন জয়ের চেষ্টা করে পারস্পরিক বোঝা-পড়ার মধ্য দিয়ে দুজনের মধ্যকার সম্পর্ক মজবুত হয়? স্ত্রীর ছোট ছোট ভুলেও কি তার সাথে ঝগড়াঝাটি করা উচিত? তার মনে আঘাত দেওয়া উচিত? মেয়েদের মন হচ্ছে কোমল। তার সেই কোমল মনে আঘাত দিতে দিতে এক পর্যায়ে স্ত্রীর কোমল অনুভুতি গুলো শুকিয়ে যায়। স্ত্রীর ছোট ছোট ভুলে কি ক্ষমা করে দেওয়ার মতোন কি মানসিকতা থাকা উচিত নয়? ◾একসাথে থাকতে গেলে পরিস্থিতি সব সময় এক থাকবেনা। ঝগড়া বিবাদ টুকটাক হবেই। দুজনের মাঝে শান্তি থাকবেনা। তাই বলে কি ধৈর্যহারা হলে চলবে? নাকি ধৈর্যধারণ করে পরিস্থিতি ঠিক করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে? স্বামী যদি রাগ করে সেই সময় স্ত্রীও রাগারাগি করলে সমস্যা তো বাড়বেই। বা স্ত্রী কোনো বিষয় নিয়ে স্বামীকে কিছু বললে স্বামীও রেগে গেলে তো এর সমাধান আসবেনা। এ পর্যায়ে যেকোনো একজনকে শান্ত থাকতে হবে। যদি অনেক বড় কোনো বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির চেষ্টা হয়, তাহলেও সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে নিজেদের মধ্যেই সমাধান করে নেওয়ার। নাহলে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে সুখের সংসার টা চিরতরে ভেঙে যেতে পারে। যার কারণে পরবর্তী জীবনে আফসোস ছাড়া আর কিছুই করার থাকবেনা। ◾মানুষের জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই। কখনো সুখ আসবে আবার কখনো দুঃখ। এই দুঃখের সময়টাতে একজন আরেকজনের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাকে সেই সময়টাতে সান্ত্বনা দিতে হবে। তার পাশে দাড়াতে হবে। সেই হতাশা অশান্তির সময়ের আপনার একটা কথাই তাকে হয়তো অনেক অনুপ্রেরণা দিবে। তাকে দেখাবে আশার আলো। লেখক তার বইয়ে এ বিষয়গুলো অত্যন্ত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কিছু কিছু গল্প অনেক ছোট, তবে গল্প ছোট হলেও সেই গল্প গুলো অনেক গুরুত্ব বহন করে। যা আপনার দাম্পত্য জীবনকে সুখময় করে তোলবে ইনশা আল্লাহ। ✒ রিভিউঃ আনাস আহমেদ মাহফুজ
ফাহিম হাসান @ September 8, 2022


ভালোবাসা- শব্দটা কারো কাছে নিছক অশ্লীলতা আর বেহায়াপনার সম্মেলন। আবার এই ভালোবাসা শব্দটাই কারো কাছে সবথেকে পবিত্র বন্ধনের নাম, জান্নাতের চিরসঙ্গী হয়ে থাকার অটুট বন্ধনের নাম, কোন রক্তের বন্ধন ছাড়াই দুটো জীবনকে আজীবন একই সুতোয় বেঁধে রাখার এক অমোঘ ফর্মুলার নাম। কেমন হয় যদি সেই চিরচেনা ভালোবাসাকেই আপনি উপলব্ধি করেন নতুন আঙ্গিকে? "দুজন দুজনার" বইটিতে মোড়ে মোড়ে আপনি পাবেন ভালোবাসার অপূর্ব সব দস্তান। কখনো লেখক আপনাকে নিয়ে যাবেন খায়রুল কুরুণ এর সেই শ্রেষ্ঠ যুগে, আপনি হারিয়ে যাবেন সেই প্রাচীন সময়ে। আপনি চোখ বুজে উপলব্ধি করবেন শ্রেষ্ঠ মানুষগুলির শ্রেষ্ঠ ভালোবাসার একগুচ্ছ গল্প। কখনো বা লেখক আপনাকে গল্পের আড়ালে দিয়ে যাবেন অতি মূল্যবান লাইফ লেসন। যারা বিবাহিত, তাদের জন্য এটি হতে পারে এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, হতে পারে আপনি আপনার বৈবাহিক জীবন নিয়ে অনেক অভিজ্ঞ, তবে বইটি আপনাকে নতুন করে ভাবতে শেখাবে, নতুন করে আপনার প্রিয় মানুষটিকে চিনতে শেখাবে। আপনার প্রতিটি আচরনকে ছাঁচে ফেলে মাপতে শেখাবে। হয়তো আপনি কখনো আবিষ্কার করবেন, লেখক যেনো আপনাকে উদ্দেশ্য করেই বলছেন, লেখক যেনো আপ্রাণ চেষ্টা করছেন আপনার ধুলোপড়া সম্পর্কের উপর থেকে ধুলোর আস্তরণ সরিয়ে নতুন করে ভাবাতে, নতুন করে ভালোবাসতে, নতুন করে আপন করে নিতে। কখনো গল্পের মধ্যে আপনি খুঁজে ফিরবেন আপনাদের নিজেদের সোনালী অতীত, আপনার মনে আকাঙ্খা জেগে উঠবে সেই অতীতকে বর্তমানে রূপ দেয়ার। বই পড়ার ফাঁকে দেখবেন অজান্তেই ভালোবাসার মানুষটির কথা মনে করে একচিলতে হাসি ফুটে উঠেছে আপনার গালে, কৃতজ্ঞতায় ন্যুঁজ হয়ে পড়তে মন চাইবে। কখনো বা নিজের কিছু অবহেলার কথা মনে করে চোখ চিরে বেরিয়ে পড়বে অনুতপ্ত অশ্রু। মনে হবে, "এমনটি না করলে কি হতো না?!" যারা অবিবাহিত, তাদের জন্য বইটি অত্যন্ত সহায়ক হবে বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে অজানা কৌতুহলী সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে। বিয়ে সম্পর্কে সমাজের দেয়া ধারণা, ফ্যান্টাসির পরিবর্তে সত্যিকারের লক্ষ, উদ্দেশ্য, ফায়দা সম্পর্কে নিজের জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করতে বইটি অত্যন্ত সহায়ক। আসন্ন নানা সমস্যা সম্পর্কে আগে থেকেই ধারণা ও সম্ভাব্য সমাধানে নিজেকে অভ্যস্ত করে তোলার অমূল্য সুযোগ। সাথে সাথে নিজের মণিকোঠায় জেগে উঠবে দ্বীনদার জীবনসঙ্গিনী খোঁজার অতৃপ্ত আকাঙ্খা। দাম্পত্য জীবনের সফলতার গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে একটি মাত্র শব্দের মধ্যে, আর তা হচ্ছে "তাকওয়া"- বইটি আপনাকে এই চিরন্তন সত্যকে উপলব্ধি করতে শেখাবে। সবশেষে এটুক বলতে চাই, যারা বইটি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন, নিজের সংগ্রহে রেখে দিন, অন্যদের পড়তে দিন, নিজের প্রিয়তমাকে মাঝে মাঝে পড়ে শোনান। আর যাদের পড়ার সুযোগ হয়নি, একবার পড়েই দেখুন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যাদের বই পড়তে ভালো লাগে না, এমন শ্রেণীর পাঠকদের মনে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে বইটিকে একটি মাস্টারপিস বললে খুব একটা বেশি বলা হবে না। বই পড়তে পড়তে কখন যেন লেখার ভিড়ে আপনি নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন! একে একে বইয়ের পৃষ্ঠা গুলো উল্টাতে উল্টাতে যেন নিজের জীবনকে সমৃদ্ধ করবেন একগুচ্ছ নতুন উপলব্ধি দ্বারা। আল্লাহ আমাদের সকলকে লেখকের এই নেক প্রচেষ্টা দ্বারা উপকৃত হবার তৌফিক দান করুন। বই: দুজন দুজনার লেখক: মুহাম্মদ আতিক উল্লাহ রিভিউ লেখক: ফাহিম হাসান। পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১২.
মারজানা কুবরা @ September 8, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২০২২ জীবন জাগার গল্প বই:দুজন দুজনার। লেখক :শায়খ আতীক উল্লাহ! প্রকাশনী: মাকতাবাতুল আযহার। লেখক যখন হয় পছন্দের তালিকার একজন।তখন সেই লেখকের বইয়ের রিভিউ লেখা সত্যিই দুর্বোধ্য কাজ! দুজন দুজনার বইখানা যে অনন্য একটি বই তাতে কোন সন্দেহ নেই।বইটি কেন পড়বেন?এই প্রশ্নোত্তরে যদি আসি,না পড়ার মতো কারণ তো দেখি না!দাম্পত্য জীবন কিভাবে টিকে থাকে?কিসের উপর টিকে থাকে?একটা সংসার গড়ার পিছনে কার অবদান বেশি স্ত্রীর না স্বামীর?বলা বাহুল্য নারী যেমন পুরুষ ছাড়া অপূর্ণ।তেমনি পুরুষ নারী ছাড়া অপূর্ণ।তারাতো একটাই দেহ।তাই দেহের একটা অংশকে বেছে নিয়ে যেমন অপর অংশ বাদ দেওয়া যায় না।তাই সাংসারিক সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য কিবা অশান্তির পিছনে এককভাবে একজনকে দায়ী করা যায় না। দাম্পত্য জীবন কে কেন্দ্র করে ইতিবাচক-নেতিবাচক অনেক প্রশ্ন উঠে আসে।যার সরল উত্তর অনেকেই জানেন না।সেই সরল উত্তর খুঁজতে সাহায্য করবে এ-ই বইটি! কথা হলো এটিতো গল্পের বই,তাহলে কিভাবে পাবো প্রশ্নের উত্তর?গল্প! কিন্তু যখন তা হয় বাস্তবতার প্রতিবিম্ব!আপনি এখানে জীবনের মোড় ঘুরানো অনেক কিছুই পাবেন।গল্প পড়ার সবচেয়ে উপভোগ্য ব্যাপার যেটা আমার মনে হয়!শেষটা বুঝার জন্য রুদ্ধশ্বাস করা প্রহরের অপেক্ষা করতে হয় না।অপরদিকে গল্পের পরতে পরতে যদি পেয়ে যাই জীবন গড়ার শিক্ষা।তাহলে তো সোনায় সোহাগা। দুজন দুজনার বইটিতে বাস্তবতা আর সাহিত্যের সংমিশ্রণ ঘটেছে।সাথে রুচিশীল শব্দচয়ন,উন্নত বাচিনভঙ্গি,আর ধর্মীয় শিক্ষা। মানবজাতির গোড় পত্তন হয়েছে দুজন দুজনার হওয়ার পর থেকে সেই আদি পিতা আদম আঃ মাতা হাওয়া আঃ এর মাধ্যমে।ছোট্ট একটা বাক্যের উপর টিকে থাকা এই বিস্ময়কর সম্পর্কের নাম স্বামী-স্ত্রী।ক্ষণস্থায়ী জীবন,অদূর স্থায়ী জীবনের বন্দোবস্তো "বিয়ে"।সুখময় জীবন গড়ার উদ্দেশ্যে যেই সম্পর্ক তৈরি হয়।তা সাফল্যকর হওয়া চ্যালেঞ্জিং বটে।এই বইটি আপনার সেই চ্যালেঞ্জকে সহজ করার সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।একজন নারী সে রাণীও হয়।অন্দরে,ঘরকন্নার কাজে,পতিপরায়ণা নারীরা যে সাহিত্য ও সভ্যতার অন্যতম উপাদান তার জানান দেবে এই বই।দাম্পত্য কলহের অবসান ঘটাতে,বিবেকের শুদ্ধ দ্বারের কপট খুলতে এই বইটি পড়া উচিত।প্রত্যেক বিবাহিতদের এই বইটি পড়া উচিত।যারা অনেক বছর একসাথে থাকার পরও সঙ্গীকে পরিত্যাগ করতে চান।শুধুমাত্র মনের দ্বিধা দ্বন্দ্ব আর ভালোবাসার অপারগতার প্রশ্ন তুলে।তারা অনেক কিছুই খুঁজে পাবেন ছোট্ট ছোট্ট গল্প,অথচ শিক্ষনীয় শব্দগুলোর ভেতর। সচেতন পাঠক মাত্রই বুঝে যান সব।বইতে থাকা সবচেয়ে হৃদয়স্পর্শী যদি বলি,আশি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধের স্ত্রীর প্রতি এমন নিরেট ভালোবাসা।পাঁচটি বছর যিনি স্বামীকে ভুলে গেছেন,তারপ্রতি স্বামীর ভালোবাসার দগদগে নজির।স্ত্রী তাকে চিনতে পারেনা তো কি হয়েছে তিনিতো স্ত্রীকে চিনেন।তাইতো, যতযাই হোক স্ত্রীর সাথে তিনি নার্সিংহোমে একসাথে দুপুরের খাবার খেতে ছুটে যান।উভয় পক্ষই এই বই থেকে কিছু নিতে পারবেন।পারবেন জীবনের সাথে গল্পগুলোকে একটু মিলিয়ে নিতে।পারবেন শুদ্ধতার কষ্টিপাথরে নিজেকে যাচাই করতে। কিছু গল্প অকৃত্রিম ভাবে হাসিয়েছে।ব্যাথিতো করেছে কিছু গল্প।কিছু গল্প টনক নেড়ে দিয়েছে। আশ্চর্যের ব্যাপার ছিল," সাইকেল প্রেম"টা।কেমন যেন সাইকেলের প্রতি আমার আগ্রহটা মিলে গেছে সাথে ভয়ের ব্যাপার টাও।কখনো চড়া হয়নি তো! হালাল ভালোবাসার হালাল রসায়ন গুলো কেমন হওয়া উচিত!সাথে এই সম্পর্কের অপেক্ষা গুলোও কেমন দীর্ঘ কিন্তু সুন্দর পেয়ে যাবেন "স্মৃতিমাখা গালিচা" য়।সম্পর্ক টিকে রাখার ক্ষেত্রে দুপক্ষকেই হতে হবে বিশ্বস্ত।সন্মান এবং বিশ্বাস দিয়ে গড়ে নিতে হবে দাম্পত্যের ইমারত।দুজন তখন দুই পক্ষ থেকে দুজন দুজনার হয়ে উঠা সম্ভব।গল্প কারো জীবন পরিবর্তন করে? কিজানি,করে হয়তো!করতেই পারে বিশ্বাস রাখা যায়!স্বপ্ন দেখতে মানা কই? পরিশেষে বলতে পারি।এইটা আমার লেখা প্রথম রিভিউ।লেখকের লেখার সাথে কতটা যায় জানিনা।লিখার অভ্যাস থাকলেও।এই ব্যাপারটায় আমি বরাবর অক্ষমতা স্বীকার করতে রাজি! -মারজানা কুবরা ১২-৮-২০২২ঈ:

আপনার মতামত ও রেটিং