কষ্টিপাথর


লেখক: ডা. শামসুল আরেফীন

বিষয়: ইসলাম

18 রেটিং / 18 টি মতামত
মূল্য: Tk. 360.0  Tk. 180.0   (50.0% ছাড়)

 

বইয়ের নাম কষ্টিপাথর
লেখক ডা. শামসুল আরেফীন
প্রকাশনী শুদ্ধি
সংস্করণ 2018
পৃষ্ঠা সংখ্যা 176
ভাষা

ডা. শামসুল আরেফীন


এই বিষয়ের আরো বই

পাঠকের মতামত ও রেটিং

তানভীর আহমেদ @ August 21, 2022


#মাকতাবুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_২০২২ সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। লাখো দরুদ ও সালাম হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি, যার আগমনে দুনিয়া হলো ধন্য এবং আমরা হলাম সম্মানিত এক আল্লাহর পরিচয়ে, তাওহীদের কালিমায়ে। আনাস ইবনে মালিক(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "যে ব্যক্তি আমার সুন্নত কে জীবিত করল সে আমাকেই ভালোবাসলো, আর যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসলো সে তো জান্নাতে আমার সাথেই থাকবে" প্রারম্ভঃ কষ্টিপাথর চেনেন? এ এমন এক পাথর, যাতে ঘষে পরীক্ষা করা হয় স্বর্ণের বিশুদ্ধতা। স্বর্ণের খাদ কতটুকু, কতটুকু বিশুদ্ধতা আছে স্বর্ণের মধ্যে, সেটা জানা যায় কষ্টিপাথরে ঘষে পরীক্ষা করার পর। আর এই বইয়ে 'কষ্টিপাথর' হলো মূলত সুন্নতকে বুঝানো হয়েছে। বিজ্ঞানকে এই পাথর দিয়ে ঘষা হয়েছে। পাতায় পাতায় দেখানো হয়েছে,সুন্নত পালনের মধ্যে ইহলৌকিক কত উপকারিতা রয়েছে। বিজ্ঞান যা আবিষ্কার করছে, মুসলমানের বিগত চৌদ্দশো বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে তা পালন করে আসছে। সুন্নত বিজ্ঞানের উপর এতটাই অগ্রসর। এই বইটিতে এসব বিষয় সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। বইয়ের ভেতরেঃ বইয়ের মধ্যে ছিল পাঠকের নজরকাড়া সব বিষয়। কোন সুন্নত কিভাবে পালন করতে হয়,সুন্নতের সাথে বিজ্ঞানের রহস্য। বিজ্ঞান থেকে সুন্নত কতো এগিয়ে সেই যুক্তি। কোনটা আমাদের জন্য ক্ষতি, কোনটা উপকার। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন এই বইয়ের মাঝে। ১৪০০ বছর আগে আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের দেখিয়ে গেছেন যা বিজ্ঞান এখন গবেষণা করে বের করতেছে। সুন্নতভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো যা বিজ্ঞান এখন আবিষ্কার করেছেঃ ★★দাড়ি কে আমরা অবহেলা করি। কিন্তু সেই দাড়ি শেভড করলে আমাদের মুখ মন্ডলে জীবাণু বহন করে আর সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি অধিক তাপ মুখের ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। আবার দাড়িতে এমন কিছু উপকারী জীবাণু জন্মায় যারা অন্য ক্ষতিকর জীবনুকে ধ্বংস করে। তাই দাড়ির উপকার সম্পর্কে বিজ্ঞান এখন যা আবিষ্কার করতেছে তা আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪০০ বছর আগে থেকেই দাড়ি রাখার উৎসাহ দিয়ে গেছেন। হযরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, গোঁফ ছোট কর এবং দাড়ি ছেড়ে দাও। ★★ বড় গোঁফ নাকের শ্লেষ্মা আটকে থেকে নিজের আবার পরিবারের অন্যদেরও ইনফেকশন হয়। ★★ বাঁহাতি বা উভয়হাতি হওয়াটা ভবিষ্যতে মনোরোগ ও বৃদ্ধি জনিত রোগের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ★★ কম ঘুম আমাদের ডায়াবেটিস, স্ট্রোক বা হৃদরোগের কারণ। ★★ চিত বা উপুরে হয়ে শোয়ার চেয়ে কাত হয়ে ঘুমালে বেশি মস্তিষ্ক দক্ষতার সাথে কাজ করে। ★★ ফিটিং পোশাক পরার জন্য দেহ ও শরীরের ক্ষতির বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ★★ সাদা পোশাক পড়ার জন্য বলা হয়েছে কারণ সাদা পোশাক সূর্যরশ্মি সবচেয়ে মিনিমাম শোষণ করে। আর "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা সাদা রংয়ের পোশাক পরিধান করো। কেননা তা অধিক পবিত্র ও উত্তম।" ★★মিসওয়াকের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ★★ বসে খেলে শরীর ও পাকস্থলীর উপকার, তাড়াহুড়ো না করে মনোযোগ দিয়ে খাওয়া। ★★ বাচ্চা জম্ম নিলে তাকে তাহনীক করা,এতে বাচ্চার হাইপোগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধ হয়। ★★ মাছির এক পাখায় জীবাণু আরেক পাখায় প্রতিসেধক। ★★ হাই কমডে বাথরুম করার ক্ষতি। ★★মাটিতে আছে হরেক জাতের ব্যাকটেরিয়া যারা প্রতিনিয়ত নিজ প্রয়োজনে শক্তিশালী সব এন্টিবায়োটি, এন্টিভাইরাস,এন্টিক্যান্সার তৈরি করে চলেছে। যা এতো দিনে আবিষ্কার করা হয়েছে। ★★ পানি মানুষের কর্ম ও পর্ব আবেগের সাথে রিঅ্যাক্ট করে, তার ধর্ম বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়। এজন্য একই পানির ভিন্ন আবেগ ও ভিন্ন কর্মকাণ্ডে সুন্দর বা বাজে ক্রিস্টাল তৈরি করে। যমযম এর মত গুনগত বিশুদ্ধতা পৃথিবীর আর কোন জায়গার পানিতে পাওয়া যায়নি। কতো সুন্দর জিনিস যা আমাকে পুরো হতোবাক করেছে তুলেছে।আর ১৪০০ বছর পূর্বে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। পানির ওপর কুরআনের আয়াতের প্রভাব----এটা এখন বিজ্ঞান। ★★ অল্প খাওয়া,আঁশসহ খাদ্য শরীরের জন্য উপকারিতা। ★★অ্যালকোহল এর ক্ষতিকর দিকগুলো। ★★ নামাজের ফলে যে পুরো শরীরের উপকারিতা। আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হয়েছে যা আমরা ১৪০০বছর আগে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম এর দেখানো পথ পালন করে আসতেছি যা বিজ্ঞান এখন এর গুরুত্ব গবেষণা করে বের করেছে। বইয়ের মধ্যে, ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নত,মুস্তাহাব,মুবাহ,মাকরূহ,হারামএবং নাজায়েজ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও সুন্নত এর পার্থক্য এবং সুন্নত পালনে সাহাবিরা (রা.) কতোটুকু গুরুত্ব দিয়েছেন সম্পর্কে সুন্দর করে আলোচনা করা হয়েছে। পাঠকের অনূভুতিঃ আমরা মুসলিম সমাজ আজ পশ্চিমাদের অনুসরণ করতে করতে আমাদের মহামূল্যবান সুন্নাতকে ভুলে গেছি।আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে তাদের অপসংস্কৃতি কে লালন করে আসছি।তারা দাঁড়ি স্টাইল করে রাখে এবং গোঁফ বড় রাখে আমরাও সেইম একই কাজ করি,তারা টাইট ফিট প্যান্টপরে তাই আমরাও পড়ি,তারা আমাদের সভ্য হিসেবে তৈরি করতে হাই-কমোড ব্যবহার করা শিখিয়েছে আমরা তাই করে নিজেদেরকে তাদের বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত করছি,তারা দাড়িয়ে খাবার খায় এবং পানি পান করে তাই আমরাও করি,তারা মাথা খোলা রাখে আমরাও তাই করি,তারা বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন আমাদের শিখিয়েছে আমরা তাই করি।।।ভাই এখন এসব অনুকরণ করা বাদ দেন।কারণ তারা আমাদের বিজ্ঞানের বুলি আওড়িয়ে নিজেরাই নিজেদের বাণিজ্যের জন্য সব বিজ্ঞান বিরোধী কাজ করে।কষ্টিপাথর দিয়ে যেমন সোনা পরখ করতে হয় তেমনি সুন্নাতের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে পরখ করা হবে।বিজ্ঞান দিয়ে সুন্নাত পরখ করা আর ১৫ বছরের একটা ছেলের সাথে ৫০ বছর বয়সী বৃদ্ধ বির্তক ছাড়া কিছুই নয়।আপনি নবীজী(সাঃ) এর একটা একটা করে সুন্নাত ছাড়ছেন নিজেকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছেন।কারণ সুন্নাতের মধ্যেই কামিয়াব..!আমরা কাদের অনুসরণ করছি যাদের দেশের ৬০% মানুষ জারজ..তাদের..?নিজেকে আরেকবার প্রশ্ন করুন..!আপনি চীন বা জাপানকে দেখেন তারা কিন্তু আজ অনেক উন্নত কারণ একটাই তারা পশ্চিমাদের অন্ধ অনুসরণ করে না। আলহামদুলিল্লাহ ব্যক্তিগতভাবে এই গ্রন্থটি আমার অন্তরে সুন্নত-মুস্তাহাবের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভক্তি জাগ্রত হয়েছে৷ আমার জীবন সুন্নত-মুস্তাহাব বাস্তবায়ন করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। কাদের জন্য এই বইঃ প্রতিটি মুসলিম বা অমুসলিম সবার জন্যই বইটি গুরুত্বপূর্ণ। তারপরেও যারা অবহেলায় সুন্নতকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন তাদের জন্য এই বই। যারা ইহলৌকিক উপকারিতা থেকে বেখবর তাদের জন্য এই বই।যাদের সুন্নতের গুরুত্ব সম্পর্কে জানার ইচ্ছা তাদের জন্য এই বই। আবার, যারা নাস্তিক, আধুনিকমনা,মুক্তমনা, বিজ্ঞানের অনুসারী যারা বিজ্ঞানকে ভাবে সব কিছুর ঊর্ধ্বে তাদের জন্য এই বইটি একটা খোরাক। কেন পড়বেন এই বইঃ ডা.শামসুল আরেফীন স্যারের "কষ্টিপাথর" বইটি পড়লে আপনি সুন্নাতসম্মত বিজ্ঞান নিয়ে আরও বিস্তর জানতে পারবেন এবং নিজেকে হয়তো পরিবর্তন করতে পারবেন সুন্নাতের আলোকে..! বইটিতে ৩০ টির বেশি অধ্যায়ে ছোট বড় অনেক গুলো সুন্নাত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।। আর এই সুন্নাত গুলো বর্তমান বিজ্ঞানে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা চাঞ্চল্য উপকার। বইটির সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হলো প্রত্যেকটি সুন্নাতকে হাদিসের দ্বারা গুরুত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আর বিজ্ঞানের গবেষণার তথ্য সহ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মত।। বইটি পড়লে যেমন বিশ্বাসীরা সুন্নাত কে যথাযথ পালনে মনোযোগী হবে তেমনি অবিশ্বাসীরা ঠাট্টার বদলে মাথা নত করে বসবে।। বিজ্ঞানী গবেষনার তথ্য প্রতিটি পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের আর ক্ষেত্র ভেদে জার্মান ও ভারতের তথ্যও যুক্ত করা হয়েছে।। আর ইচ্ছা করেই মুসলিম দেশের বিজ্ঞানের তথ্য দেওয়া হয়নি কারন অবিশ্বাসীরা বলতে পারে এগুলো আমাদের মন গড়া বানানো। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,"যে রসূলের হুকুম মানলো সে আল্লাহরই হুকুম পালন করল" বইয়ের প্রচ্ছদঃ কালো রঙের বইয়ের উপর একটি পাথর মনে হচ্ছে পাথর থেকে সুন্নাতের আলো বের হচ্ছে।আবার বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক লগো হালকা করে আঁকা আছে। বইটি দেখলেই ধরতে ইচ্ছে করবে। লেখাগুলো চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে। সত্যি কতো সুন্দর। চোখে লেগে থাকার মতো। 'কষ্টিপাথর' বইটি লিখেছেন ডা. শামসুল আরেফীন। শারঈ ও সার্বিক সম্পাদনা করেছে মাওলানা আলী হাসান উসামা। প্রকাশিত করেছে শুদ্ধি। বই পরিচিতি -- বইয়ের নামঃ কষ্টিপাথর লেখকের নামঃ ডা. শামসুল আরেফীন সম্পাদনাঃ মাওলানা আলী হাসান উসামা প্রকাশনাঃ শুদ্ধি পৃষ্ঠাঃ ১৭৬ রিভিউ লেখকঃ তানভীর আহমেদ
তানভীর আহমেদ @ August 21, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_২০২২ সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। লাখো দরুদ ও সালাম হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি, যার আগমনে দুনিয়া হলো ধন্য এবং আমরা হলাম সম্মানিত এক আল্লাহর পরিচয়ে, তাওহীদের কালিমায়ে। আনাস ইবনে মালিক(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, "যে ব্যক্তি আমার সুন্নত কে জীবিত করল সে আমাকেই ভালোবাসলো, আর যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসলো সে তো জান্নাতে আমার সাথেই থাকবে" প্রারম্ভঃ কষ্টিপাথর চেনেন? এ এমন এক পাথর, যাতে ঘষে পরীক্ষা করা হয় স্বর্ণের বিশুদ্ধতা। স্বর্ণের খাদ কতটুকু, কতটুকু বিশুদ্ধতা আছে স্বর্ণের মধ্যে, সেটা জানা যায় কষ্টিপাথরে ঘষে পরীক্ষা করার পর। আর এই বইয়ে 'কষ্টিপাথর' হলো মূলত সুন্নতকে বুঝানো হয়েছে। বিজ্ঞানকে এই পাথর দিয়ে ঘষা হয়েছে। পাতায় পাতায় দেখানো হয়েছে,সুন্নত পালনের মধ্যে ইহলৌকিক কত উপকারিতা রয়েছে। বিজ্ঞান যা আবিষ্কার করছে, মুসলমানের বিগত চৌদ্দশো বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে তা পালন করে আসছে। সুন্নত বিজ্ঞানের উপর এতটাই অগ্রসর। এই বইটিতে এসব বিষয় সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। বইয়ের ভেতরেঃ বইয়ের মধ্যে ছিল পাঠকের নজরকাড়া সব বিষয়। কোন সুন্নত কিভাবে পালন করতে হয়,সুন্নতের সাথে বিজ্ঞানের রহস্য। বিজ্ঞান থেকে সুন্নত কতো এগিয়ে সেই যুক্তি। কোনটা আমাদের জন্য ক্ষতি, কোনটা উপকার। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন এই বইয়ের মাঝে। ১৪০০ বছর আগে আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের দেখিয়ে গেছেন যা বিজ্ঞান এখন গবেষণা করে বের করতেছে। সুন্নতভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো যা বিজ্ঞান এখন আবিষ্কার করেছেঃ ★★দাড়ি কে আমরা অবহেলা করি। কিন্তু সেই দাড়ি শেভড করলে আমাদের মুখ মন্ডলে জীবাণু বহন করে আর সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি অধিক তাপ মুখের ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। আবার দাড়িতে এমন কিছু উপকারী জীবাণু জন্মায় যারা অন্য ক্ষতিকর জীবনুকে ধ্বংস করে। তাই দাড়ির উপকার সম্পর্কে বিজ্ঞান এখন যা আবিষ্কার করতেছে তা আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪০০ বছর আগে থেকেই দাড়ি রাখার উৎসাহ দিয়ে গেছেন। হযরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, গোঁফ ছোট কর এবং দাড়ি ছেড়ে দাও। ★★ বড় গোঁফ নাকের শ্লেষ্মা আটকে থেকে নিজের আবার পরিবারের অন্যদেরও ইনফেকশন হয়। ★★ বাঁহাতি বা উভয়হাতি হওয়াটা ভবিষ্যতে মনোরোগ ও বৃদ্ধি জনিত রোগের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ★★ কম ঘুম আমাদের ডায়াবেটিস, স্ট্রোক বা হৃদরোগের কারণ। ★★ চিত বা উপুরে হয়ে শোয়ার চেয়ে কাত হয়ে ঘুমালে বেশি মস্তিষ্ক দক্ষতার সাথে কাজ করে। ★★ ফিটিং পোশাক পরার জন্য দেহ ও শরীরের ক্ষতির বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ★★ সাদা পোশাক পড়ার জন্য বলা হয়েছে কারণ সাদা পোশাক সূর্যরশ্মি সবচেয়ে মিনিমাম শোষণ করে। আর "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা সাদা রংয়ের পোশাক পরিধান করো। কেননা তা অধিক পবিত্র ও উত্তম।" ★★মিসওয়াকের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ★★ বসে খেলে শরীর ও পাকস্থলীর উপকার, তাড়াহুড়ো না করে মনোযোগ দিয়ে খাওয়া। ★★ বাচ্চা জম্ম নিলে তাকে তাহনীক করা,এতে বাচ্চার হাইপোগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধ হয়। ★★ মাছির এক পাখায় জীবাণু আরেক পাখায় প্রতিসেধক। ★★ হাই কমডে বাথরুম করার ক্ষতি। ★★মাটিতে আছে হরেক জাতের ব্যাকটেরিয়া যারা প্রতিনিয়ত নিজ প্রয়োজনে শক্তিশালী সব এন্টিবায়োটি, এন্টিভাইরাস,এন্টিক্যান্সার তৈরি করে চলেছে। যা এতো দিনে আবিষ্কার করা হয়েছে। ★★ পানি মানুষের কর্ম ও পর্ব আবেগের সাথে রিঅ্যাক্ট করে, তার ধর্ম বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়। এজন্য একই পানির ভিন্ন আবেগ ও ভিন্ন কর্মকাণ্ডে সুন্দর বা বাজে ক্রিস্টাল তৈরি করে। যমযম এর মত গুনগত বিশুদ্ধতা পৃথিবীর আর কোন জায়গার পানিতে পাওয়া যায়নি। কতো সুন্দর জিনিস যা আমাকে পুরো হতোবাক করেছে তুলেছে।আর ১৪০০ বছর পূর্বে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। পানির ওপর কুরআনের আয়াতের প্রভাব----এটা এখন বিজ্ঞান। ★★ অল্প খাওয়া,আঁশসহ খাদ্য শরীরের জন্য উপকারিতা। ★★অ্যালকোহল এর ক্ষতিকর দিকগুলো। ★★ নামাজের ফলে যে পুরো শরীরের উপকারিতা। আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হয়েছে যা আমরা ১৪০০বছর আগে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম এর দেখানো পথ পালন করে আসতেছি যা বিজ্ঞান এখন এর গুরুত্ব গবেষণা করে বের করেছে। বইয়ের মধ্যে, ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নত,মুস্তাহাব,মুবাহ,মাকরূহ,হারামএবং নাজায়েজ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও সুন্নত এর পার্থক্য এবং সুন্নত পালনে সাহাবিরা (রা.) কতোটুকু গুরুত্ব দিয়েছেন সম্পর্কে সুন্দর করে আলোচনা করা হয়েছে। পাঠকের অনূভুতিঃ আমরা মুসলিম সমাজ আজ পশ্চিমাদের অনুসরণ করতে করতে আমাদের মহামূল্যবান সুন্নাতকে ভুলে গেছি।আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে তাদের অপসংস্কৃতি কে লালন করে আসছি।তারা দাঁড়ি স্টাইল করে রাখে এবং গোঁফ বড় রাখে আমরাও সেইম একই কাজ করি,তারা টাইট ফিট প্যান্টপরে তাই আমরাও পড়ি,তারা আমাদের সভ্য হিসেবে তৈরি করতে হাই-কমোড ব্যবহার করা শিখিয়েছে আমরা তাই করে নিজেদেরকে তাদের বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত করছি,তারা দাড়িয়ে খাবার খায় এবং পানি পান করে তাই আমরাও করি,তারা মাথা খোলা রাখে আমরাও তাই করি,তারা বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন আমাদের শিখিয়েছে আমরা তাই করি।।।ভাই এখন এসব অনুকরণ করা বাদ দেন।কারণ তারা আমাদের বিজ্ঞানের বুলি আওড়িয়ে নিজেরাই নিজেদের বাণিজ্যের জন্য সব বিজ্ঞান বিরোধী কাজ করে।কষ্টিপাথর দিয়ে যেমন সোনা পরখ করতে হয় তেমনি সুন্নাতের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে পরখ করা হবে।বিজ্ঞান দিয়ে সুন্নাত পরখ করা আর ১৫ বছরের একটা ছেলের সাথে ৫০ বছর বয়সী বৃদ্ধ বির্তক ছাড়া কিছুই নয়।আপনি নবীজী(সাঃ) এর একটা একটা করে সুন্নাত ছাড়ছেন নিজেকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছেন।কারণ সুন্নাতের মধ্যেই কামিয়াব..!আমরা কাদের অনুসরণ করছি যাদের দেশের ৬০% মানুষ জারজ..তাদের..?নিজেকে আরেকবার প্রশ্ন করুন..!আপনি চীন বা জাপানকে দেখেন তারা কিন্তু আজ অনেক উন্নত কারণ একটাই তারা পশ্চিমাদের অন্ধ অনুসরণ করে না। আলহামদুলিল্লাহ ব্যক্তিগতভাবে এই গ্রন্থটি আমার অন্তরে সুন্নত-মুস্তাহাবের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভক্তি জাগ্রত হয়েছে৷ আমার জীবন সুন্নত-মুস্তাহাব বাস্তবায়ন করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। কাদের জন্য এই বইঃ প্রতিটি মুসলিম বা অমুসলিম সবার জন্যই বইটি গুরুত্বপূর্ণ। তারপরেও যারা অবহেলায় সুন্নতকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন তাদের জন্য এই বই। যারা ইহলৌকিক উপকারিতা থেকে বেখবর তাদের জন্য এই বই।যাদের সুন্নতের গুরুত্ব সম্পর্কে জানার ইচ্ছা তাদের জন্য এই বই। আবার, যারা নাস্তিক, আধুনিকমনা,মুক্তমনা, বিজ্ঞানের অনুসারী যারা বিজ্ঞানকে ভাবে সব কিছুর ঊর্ধ্বে তাদের জন্য এই বইটি একটা খোরাক। কেন পড়বেন এই বইঃ ডা.শামসুল আরেফীন স্যারের "কষ্টিপাথর" বইটি পড়লে আপনি সুন্নাতসম্মত বিজ্ঞান নিয়ে আরও বিস্তর জানতে পারবেন এবং নিজেকে হয়তো পরিবর্তন করতে পারবেন সুন্নাতের আলোকে..! বইটিতে ৩০ টির বেশি অধ্যায়ে ছোট বড় অনেক গুলো সুন্নাত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।। আর এই সুন্নাত গুলো বর্তমান বিজ্ঞানে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা চাঞ্চল্য উপকার। বইটির সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হলো প্রত্যেকটি সুন্নাতকে হাদিসের দ্বারা গুরুত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আর বিজ্ঞানের গবেষণার তথ্য সহ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মত।। বইটি পড়লে যেমন বিশ্বাসীরা সুন্নাত কে যথাযথ পালনে মনোযোগী হবে তেমনি অবিশ্বাসীরা ঠাট্টার বদলে মাথা নত করে বসবে।। বিজ্ঞানী গবেষনার তথ্য প্রতিটি পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের আর ক্ষেত্র ভেদে জার্মান ও ভারতের তথ্যও যুক্ত করা হয়েছে।। আর ইচ্ছা করেই মুসলিম দেশের বিজ্ঞানের তথ্য দেওয়া হয়নি কারন অবিশ্বাসীরা বলতে পারে এগুলো আমাদের মন গড়া বানানো। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,"যে রসূলের হুকুম মানলো সে আল্লাহরই হুকুম পালন করল" বইয়ের প্রচ্ছদঃ কালো রঙের বইয়ের উপর একটি পাথর মনে হচ্ছে পাথর থেকে সুন্নাতের আলো বের হচ্ছে।আবার বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক লগো হালকা করে আঁকা আছে। বইটি দেখলেই ধরতে ইচ্ছে করবে। লেখাগুলো চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে। সত্যি কতো সুন্দর। চোখে লেগে থাকার মতো। 'কষ্টিপাথর' বইটি লিখেছেন ডা. শামসুল আরেফীন। শারঈ ও সার্বিক সম্পাদনা করেছে মাওলানা আলী হাসান উসামা। প্রকাশিত করেছে শুদ্ধি। বই পরিচিতি -- বইয়ের নামঃ কষ্টিপাথর লেখকের নামঃ ডা. শামসুল আরেফীন সম্পাদনাঃ মাওলানা আলী হাসান উসামা প্রকাশনাঃ শুদ্ধি পৃষ্ঠাঃ ১৭৬ রিভিউ লেখকঃ তানভীর আহমেদ
মোঃ আবু সালেক @ August 23, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_২০২২ সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য ❤️। 💎 কষ্টিপাথর 💎 প্রথমে নাম শুনে মনে হতেই পারে কষ্টিপাথর আবার কি? বইয়ের নামই বা কষ্টিপাথর রাখা হয়েছে কেন ? আসলে কষ্টিপাথর দিয়ে মূলত বুঝানো হয়েছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতকে। আর এই কষ্টিপাথর দিয়েই ঘষামাজা করা হয়েছে আজকের যুগের বিজ্ঞানকে। অনেকের কাছেই বিজ্ঞান মানেই আধুনিক বা প্রমাণিত কোন বিষয় মনে হয়। কোন বিষয়ের মধ্যে বিজ্ঞান জিনিসটা থাকলেই এ যুগের অনেক মানুষ কেন জানি তা বিনা শর্তে মেনে নিতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলা বিশেষ করে ইহকালীন জীবনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর মধ্যে কত যে উপকারিতা দিয়ে রেখেছেন তার কিছু কিছু বিষয়ে এ যুগের বিজ্ঞান প্রমাণ না করলে হয়তো অনেক সংশয়বাদী বিশ্বাসই করতে চাইতো না নবীজির সুন্নাহর গুরুত্ব! বইটিতে দেখানো হয়েছে রাসুল সাঃ এর সুন্নাহর কতটুকু আজকের বিজ্ঞান আবিষ্কার করতে পেরেছে যার প্রত্যেকটির বিশেষ করে ইহকালীন জীবনে কতটা গুরুত্ব রয়েছে সে বিষয়টি। 📖 বই পরিচিতি : নাম : কষ্টিপাথর লেখক : ডা: শামসুল আরেফিন প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার। পৃষ্ঠা:১৭৬ 💚 আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হাবিব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ। আমরা তার প্রিয় উম্মত হিসেবে আমাদের আদর্শ একজনই আর তিনি হলেন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তার আদর্শে জীবনযাপন করার মধ্যেই রয়েছে ইহকালীন এবং পরকালীন সফলতা। ☄️বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার এই যুগে মুসলমান যখন কোরআন সুন্নাহকে ছুড়ে ফেলে গ্রহণ করে নিয়েছে পশ্চিমাদের দর্পণ, যখন প্রকৃত মানদন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজ্ঞান, ঠিক সে সময়েও বিজ্ঞান প্রমাণ করে দেখিয়েছে রাসূল সাঃ এর সুন্নাহ পালন করা আমাদের জন্য কতটা উপকারী । বিশেষ করে প্রিয় লেখক , ডা: শামসুল আরেফিন বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, রাসুলের সুন্নাহ যদি আমরা জীবনে বাস্তবায়ন করি তাহলে আমরা স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে কতটা উপকৃত হবো। রাসুল সাঃ এর আনীত দ্বীন ইসলাম কে যারা সেকেলে মনে করে, মধ্যযুগীয় মনে করে তাদের সংশয়বাদী চশমা খুলে দেখা উচিত তাদের বিশ্বাসের মানদণ্ড বিজ্ঞান আজ স্বীকার করছে মুসলমানদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সুন্নাহর কত উপকারী দিক আমাদের ইহকালীন জীবনে রয়েছে। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 💟 রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহর কতটুকু আজকের বিজ্ঞান প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে সেটুকু তো অবশ্যই পাশাপাশি আরো অনেক বলতে গেলে নবীজির সামগ্রিক জীবনটাই আজ থেকে নিয়ে প্রায় ১৪০০ বছর পূর্বে থেকে মুসলমানরা অনুসরণ করে আসছে বিনা দ্বিধায়, শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে। এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে , বিজ্ঞান যেটুকু আবিষ্কার করতে পেরেছে শুধু সেটুকুই করনীয় বা প্রমাণিত তাই আমরা সেটুকু মেনে চলবো ! না । বরং যত সময় যাবে বিজ্ঞান ধীরে ধীরে রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ গুলো প্রমাণ করতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ 💛 🌐পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, পশ্চিমারা এত এত উন্নতি করছে এগুলো দেখে এটা ভাববার কারণ নেই যে , আমরা বুঝি পিছিয়ে গেলাম, অনেক কিছু মিস করলাম , কিন্তু না আমরা যে নবীর অনুসারী সে মানুষটিকে যদি আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যথাযথভাবে অনুকরণ করে চলতে পারি তাহলে আমরা ইহকালীন জীবনে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে সুখে-স্বাচ্ছন্দে জীবন কাটাতে তো পারবোই, পাশাপাশি পরকালীন জীবনেও পাবো নাজাত, আল্লাহর কাছে এই কামনা করি। 🍁মুসলমানদের সফলতা তো আল্লাহতালার বিধি-বিধান মেনে চলার পাশাপাশি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুকরণ, অনুসরণ করার মধ্যে। তার প্রত্যেকটি সুন্নাত জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই আমরা তার ভালোবাসা পাবো আর রাসুলের ভালোবাসা পাওয়া মানে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়াও আরো সহজ হবে 🥰। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 🍁লেখক আমাদের কাছে আরজি জানিয়েছেন যেন আমরা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজের শরীর থেকে নিয়ে পরিবার, ব্যবসায়, আচার-আচরণে তাকে জায়গা দিই। সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমরা যেন ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে এমনকি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তার সুন্নতকে পাবন্দ করতে পারি। আমিন 💚 🔚সর্বোপরি, প্রিয় লেখকের যে কথাটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা হল,"পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে এগোতে থাকুক, পরিশেষে পৃথিবীকে সুন্নাহর কোলেই ফিরে আসতে হবে ইনশাআল্লাহ।"💚 রিভিউদাতা :মোঃ আবু সালেক ২৩/০৮/২০২২ ।
মোঃ আবু সালেক @ August 23, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_২০২২ সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য ❤️। 💎 কষ্টিপাথর 💎 প্রথমে নাম শুনে মনে হতেই পারে কষ্টিপাথর আবার কি? বইয়ের নামই বা কষ্টিপাথর রাখা হয়েছে কেন ? আসলে কষ্টিপাথর দিয়ে মূলত বুঝানো হয়েছে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাতকে। আর এই কষ্টিপাথর দিয়েই ঘষামাজা করা হয়েছে আজকের যুগের বিজ্ঞানকে। অনেকের কাছেই বিজ্ঞান মানেই আধুনিক বা প্রমাণিত কোন বিষয় মনে হয়। কোন বিষয়ের মধ্যে বিজ্ঞান জিনিসটা থাকলেই এ যুগের অনেক মানুষ কেন জানি তা বিনা শর্তে মেনে নিতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলা বিশেষ করে ইহকালীন জীবনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর মধ্যে কত যে উপকারিতা দিয়ে রেখেছেন তার কিছু কিছু বিষয়ে এ যুগের বিজ্ঞান প্রমাণ না করলে হয়তো অনেক সংশয়বাদী বিশ্বাসই করতে চাইতো না নবীজির সুন্নাহর গুরুত্ব! বইটিতে দেখানো হয়েছে রাসুল সাঃ এর সুন্নাহর কতটুকু আজকের বিজ্ঞান আবিষ্কার করতে পেরেছে যার প্রত্যেকটির বিশেষ করে ইহকালীন জীবনে কতটা গুরুত্ব রয়েছে সে বিষয়টি। 📖 বই পরিচিতি : নাম : কষ্টিপাথর লেখক : ডা: শামসুল আরেফিন প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার। পৃষ্ঠা:১৭৬ 💚 আল্লাহ তায়ালার প্রিয় হাবিব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ। আমরা তার প্রিয় উম্মত হিসেবে আমাদের আদর্শ একজনই আর তিনি হলেন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তার আদর্শে জীবনযাপন করার মধ্যেই রয়েছে ইহকালীন এবং পরকালীন সফলতা। ☄️বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার এই যুগে মুসলমান যখন কোরআন সুন্নাহকে ছুড়ে ফেলে গ্রহণ করে নিয়েছে পশ্চিমাদের দর্পণ, যখন প্রকৃত মানদন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজ্ঞান, ঠিক সে সময়েও বিজ্ঞান প্রমাণ করে দেখিয়েছে রাসূল সাঃ এর সুন্নাহ পালন করা আমাদের জন্য কতটা উপকারী । বিশেষ করে প্রিয় লেখক , ডা: শামসুল আরেফিন বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন, রাসুলের সুন্নাহ যদি আমরা জীবনে বাস্তবায়ন করি তাহলে আমরা স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে কতটা উপকৃত হবো। রাসুল সাঃ এর আনীত দ্বীন ইসলাম কে যারা সেকেলে মনে করে, মধ্যযুগীয় মনে করে তাদের সংশয়বাদী চশমা খুলে দেখা উচিত তাদের বিশ্বাসের মানদণ্ড বিজ্ঞান আজ স্বীকার করছে মুসলমানদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সুন্নাহর কত উপকারী দিক আমাদের ইহকালীন জীবনে রয়েছে। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 💟 রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাহর কতটুকু আজকের বিজ্ঞান প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে সেটুকু তো অবশ্যই পাশাপাশি আরো অনেক বলতে গেলে নবীজির সামগ্রিক জীবনটাই আজ থেকে নিয়ে প্রায় ১৪০০ বছর পূর্বে থেকে মুসলমানরা অনুসরণ করে আসছে বিনা দ্বিধায়, শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে। এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে , বিজ্ঞান যেটুকু আবিষ্কার করতে পেরেছে শুধু সেটুকুই করনীয় বা প্রমাণিত তাই আমরা সেটুকু মেনে চলবো ! না । বরং যত সময় যাবে বিজ্ঞান ধীরে ধীরে রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ গুলো প্রমাণ করতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ 💛 🌐পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে, পশ্চিমারা এত এত উন্নতি করছে এগুলো দেখে এটা ভাববার কারণ নেই যে , আমরা বুঝি পিছিয়ে গেলাম, অনেক কিছু মিস করলাম , কিন্তু না আমরা যে নবীর অনুসারী সে মানুষটিকে যদি আমরা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যথাযথভাবে অনুকরণ করে চলতে পারি তাহলে আমরা ইহকালীন জীবনে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে সুখে-স্বাচ্ছন্দে জীবন কাটাতে তো পারবোই, পাশাপাশি পরকালীন জীবনেও পাবো নাজাত, আল্লাহর কাছে এই কামনা করি। 🍁মুসলমানদের সফলতা তো আল্লাহতালার বিধি-বিধান মেনে চলার পাশাপাশি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুকরণ, অনুসরণ করার মধ্যে। তার প্রত্যেকটি সুন্নাত জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই আমরা তার ভালোবাসা পাবো আর রাসুলের ভালোবাসা পাওয়া মানে আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়াও আরো সহজ হবে 🥰। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম 🍁লেখক আমাদের কাছে আরজি জানিয়েছেন যেন আমরা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজের শরীর থেকে নিয়ে পরিবার, ব্যবসায়, আচার-আচরণে তাকে জায়গা দিই। সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমরা যেন ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে এমনকি সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তার সুন্নতকে পাবন্দ করতে পারি। আমিন 💚 🔚সর্বোপরি, প্রিয় লেখকের যে কথাটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা হল,"পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে এগোতে থাকুক, পরিশেষে পৃথিবীকে সুন্নাহর কোলেই ফিরে আসতে হবে ইনশাআল্লাহ।"💚 রিভিউদাতা :মোঃ আবু সালেক ২৩/০৮/২০২২ ।
খাদিজা বিনতে @ August 31, 2022


#মাকতাবাতুল_আজহার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২০২২ বই রিভিউ বইয়ের নাম: কষ্টিপাথর লেখক:ডা. শামসুল আরেফীন শক্তি প্রকাশন: শুদ্ধি পৃষ্ঠা:১৭৬ রাসূল সা. এর জীবনাদর্শই সুন্নাহ।প্রতিটি সুন্নাতের স্বাস্থ্যগত গুরুত্ব চমৎকার ভাবে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকে লেখক কষ্টিপাথর বইয়ে তুলে ধরেছেন। কষ্টিপাথর বইয়ে সুন্নাতকেই কষ্টিপাথর হিসেবে বুঝানো হয়েছে।আর বিজ্ঞানকে এই পাথর দ্বারা পযাপ্ত পরিমান ঘষা হয়েছে। প্রিয় শ্রদ্ধার লেখক ডা.শামসুল আরেফীন তিনি সত্যিই একজন অসাধারণ কলম যুদ্ধা। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতে সুন্নাত তথা সুন্নাত ও বিজ্ঞান নিয়ে লেখা এত সুন্দর সাজানো-গোছানো রেফারেন্স সহ বই আমি ইতিপূর্বে পড়িনি।তিনি নাস্তিকবাদ , ইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে গবেষণামূলক,নাস্তিক্য যুক্তিখন্ডন ইসলামী প্রতিবাদমূলক বই লিখে দ্বীনি জগতে আলোড়ন ছড়াচ্ছেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা লেখককে দ্বীনের খেদমত করার জন্য কবুল করুন।আমিন জীবনকে রাসূল সা. জীবনের কষ্টিপাথরে ঘষে নেওয়ার প্রণোদনা মন্ত্র "কষ্টিপাথর" আল্লাহ তাআলা একমাত্র তাঁর ইবাদত করার জন্য মানবজাতি সৃষ্টি করেছেন এবং পথ-প্রদর্শক হিসেবে নবী -রাসূল প্রেরণ করেছেন। অথচ পশ্চিমা শরিয়া আজ আমাদের মস্তিষ্ক এমন ভাবে ওয়াশ করে নিয়েছে যে,আমরা আল্লাহর দাসত্ব ছেড়ে পশ্চিমাদের দাসত্বে বিলীন হয়ে যাচ্ছি। রাসূল সা.এর আর্দশ ছেড়ে পশ্চিমাদের আর্দশ গ্রহণ করছি।ফলে জীবন হয়ে উঠেছে বেপোরোয়া, লক্ষ্য উদ্দেশ্যহীন। এ দাসত্ব থেকে বেরিয়ে এসে প্রভুর বিধান গুলো আঁকড়ে ধরে জীবন গড়ার জন্যই কষ্টিপাথর বইটি সবার পড়া উচিত , অনুপ্রেরণা। বইটিকে সুন্নাতের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বিষয়ক বই বলা যেতে পারে ।পশ্চিমারা যেভাবে আমাদের মস্তিষ্ক ওয়াশ করে নিয়েছে তা ঝেড়ে ফেলতে কষ্টিপাথর বইটিতে খুবই সুন্দর ভাবে রেফারেন্স সহ পশ্চিমাদের কাছে গ্রহণীয়, পশ্চিমাদের জ্ঞানের আলোকে বিজ্ঞান ভিত্তিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আবার বইটিকে সাধারণ লাইফস্টাইল ও বলা যেতে পারে। দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেহ কাজগুলো কিভাবে করা প্রয়োজন ধরুন, কিভাবে খাবেন,ঘুমাবেন,কেমন রঙের পোশাক শরীরের জন্য ভালো,কোন সুন্নাত আমাদের জীবনে কেমন কল্যাণ বয়ে আনে ইত্যাদি সুন্নাহ ও বিজ্ঞানের আলোকে খুবই সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আজ বিজ্ঞান অনেক দূর এগিয়েছে। বিজ্ঞান আনমনে বের করে এনেছে সুন্নাতের কল্যাণকর দিকগুলো। বইয়ের বিজ্ঞান ভিত্তিক একটু অংশ দেখা যাক... "কুচ মিঠা হো জায়ে " Sugar gel, helps premature babies শিরোনামে বিবিসি আর্টিকেলটি প্রকাশ করে _ জেলি আকারে এক ডোজ চিনি গালের ভিতরে ঘষে দিলে নবজাতকের ব্রেন ড্যামেজ থেকে রক্ষা করা যায়। এবার,সুন্নাহের কষ্টিপাথরে বিজ্ঞান ঘষা.... ১৪০০বছর পূর্বে রাসূল সা. তাহনীক (নবজাতকের মুখে মিষ্টি কিছু খেজুর বা মধু)করেন। তখন কোন মানুষই সায়েন্স জানতো না।আসলে এগুলো সায়েন্সের জন্মের পূর্বে সায়েন্সের স্রষ্টার দেওয়া। "ভক্তির মোড়কে সায়েন্স" আরো খুব খুব খুব সুন্দর বিষয়ক জানতে ডুব দেওয়া যাক "কষ্টিপাথর "বইয়ে। বিজ্ঞানীরা আজ যা আবিষ্কার করছে, ১৪০০বছর পূর্বে রাসূল সা.প্র্যাকটিস করে গেছেন আজও তাঁর অনুসারিগণ তাঁর জীবনাদর্শ কে বক্ষে ধারণ করে সাফল্য হচ্ছেন। এ বইয়ের বিশেষ কিছু অংশ চোখের অশ্রু টপটপ করে ঝড়াবে... আমার বিশ্বাস!এই বইয়ের মৃদু কড়াঘাতে প্রত্যেক পাঠকে ভাবনার খোরাক খুঁজে পাবে।প্রত্যেকটা সুন্নাত হৃদয়ের গহীন থেকে পালন করতে চাইবে।সিরাত পড়ার অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবে। ভীষণ ভাবে রাসূল সা.কে ভালোবেসে ফেলবে। ~~~নবী সা.এর রঙে নিজেকে রাঙাবে... ইন শা আল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ! রিভিউ লেখিকা খাদিজা বিনতে! ১৪/৮/২০২২
ইশতিয়াক শিল্প @ September 4, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_২০২২ আমরা ছিলাম লাঞ্চিত জাতি। আল্লাহ ইসলাম দ্বারা আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন। যদি এই দ্বীনের পরিবর্তে আমরা অন্য কোথাও সম্মান সন্ধান করি, তবে আমরা পুনরায় লাঞ্চিত হবো। -- আমিরুল মুমিনীন উমার ইবনুল খাত্তাব রা. পৃথিবী যখন অজাচার, অন্ধকারে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিলো, তখন আলোকবর্তিকা হয়ে এসেছিলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ। তাঁর জীবনের খুঁটিনাটি সবকিছুই আমাদের জন্য অন্ধের মতো অনুসরণীয়। আমাদের জীবনের প্রতিটি দিকে টুয়েন্টি ফোর আওয়ারসের জন্য তিনিই এক এবং একমাত্র অনুকরণীয় আদর্শ। কিন্তু বুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনে পরাজিত মুসলিম উম্মাহ আজ রিক্ত-শুন্য। চলনে বলনে মননে আধুনিকমনা হতে গিয়ে নিজেদের সর্বস্ব হারিয়ে বসে আছি। আমাদের কাছে ভালো মন্দের স্ট্যান্ডার্ড হয়ে গিয়েছে পশ্চিমা চিন্তাধারা। ওরা যেটাকে ভালো বলে, স্মার্ট বলে, আমরা চোখ বন্ধ করে সেটাই মেনে নিই। ওদের দাঁড়িপাল্লায় মেপে যেটুকু নেয়া যায় ঠিক ততটাই ইসলামকে রাখি। বাকিটা অপাংক্তেয়। ড. শামসুল আরেফিন শক্তি এই ব্যাপারটাকেই ১৮০ ডিগ্রীতে ঘুরিয়ে দিয়েছেন। বিজ্ঞান ওদের কাছে গসপেল। আসমান যমীন উলটে গেলেও মহামতি বিজ্ঞানের কোনো ভুল হতে পারেনা। বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্য মুসলিমরাও ওদের দেখাদেখি বিজ্ঞানমনস্ক হতে গিয়ে ইসলামী লাইফস্টাইলকে ব্যাকডেটেড-মধ্যযুগীয় বলে আঁকড়ে ধরেছে। বিজ্ঞানসম্মত না হলে সেটাকে কিছুতেই তারা মানতে নারাজ। লেখক এর ঠিক বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে পৃথিবী দেখেন। বিজ্ঞান নয়, বরং সুন্নাতই চূড়ান্ত। যেটুকু বিজ্ঞান সুন্নাহর মানদণ্ডে উতরে যাবে সেটুকু গ্রহণ করবো, বাকিটাকে ছুঁড়ে ফেলবো ডাস্টবিনে। সুন্নাহগুলো বিজ্ঞানসম্মত কিনা এরকম নানাবিধ এপ্রোচ ইতিমধ্যে আমরা যথেষ্ট দেখেছি। এই বিজ্ঞান কতটা সুন্নাহসম্মত এবার সেটা দেখার হিম্মৎ করা প্রয়োজন। সুন্নাতের কষ্টিপাথরে বিজ্ঞানকে যাচাইয়ের যাত্রার নাম “কষ্টিপাথর"। বইটি মূলত আধুনিকতায় পোক্ত ঈমান আনা কাঁপা কাঁপা বিশ্বাসী ভাইদের জন্য। যদি ১৪০০ বছর আগের কোনো জীবনব্যবস্থাকে তাদের ইলাহ “বিজ্ঞান" সত্যায়ন করে তবে কি তারা শেষমেশ মেনে নেবেন পুরোটা? নাকি কেবল ইসলামের বিপক্ষে গেলেই বিজ্ঞানের সাথে আছেন বাকিসময়ে বিজ্ঞানকে আর চেনেন না? লেখক বইটিকে মোট ২৬ টি অনুচ্ছেদে ভাগ করেছেন। এর পাশাপাশি সুন্নাতসম্বন্ধীয় কিছু প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদও রয়েছে। ২৬ টি অনুচ্ছেদে তিনি এমন কিছু সুন্নাহর অবতারণা করেছেন যা আধুনিক মনে করা মানুষদের জন্য নাক সিটকানো মরুবাসী আরবের আচার মাত্র। দাঁড়ি বড় রাখা, সিন্ধুঘোটকের মতো গোঁফ, বগল বা গোপনাঙ্গের কেশ ছোট রাখা আপাতদৃষ্টিতে কেবল ধর্মের আদেশ বলেই মনে হয়। যাদের জন্য ইসলাম বলেছে এর চাইতে রিসার্চগেট, সাইন্সডিরেক্ট, পাবমেড, এনসিবি‌আই বলেছে বেশি গ্রহণযোগ্য তারা টের পাবেন কেন ইসলাম এমন বলেছে। এরপরেই লেফট রাইট এবং বামপন্থা শিরোনামে এসেছে ইসলামের সব ভালো কাজ ডান হাতে করা আর বাকি বিভিন্ন নোংরা কাজ (যেমন, ওয়াশরুমে যাওয়া) বাম দিক দিয়ে শুরু করার সুন্নাহ কেন আছে। যাদের মনে হয় আমরা চাঁদে মঙ্গলে না গিয়ে কেন ডান-বাম নিয়ে পড়ে থাকি তাদের জন্য বেশকিছু রিসার্চ জার্নালের তোহফা আছে এখানে। সুন্নাহ হলো ঘুমানোর পূর্বে ওযু করে নেয়া। যেহেতু পশ্চিমা দাসমাত্রই স্বভাবজাত নোংরা, তাই এই ব্যাপারটিকেও তাদের বাড়াবাড়ি মনে হতে পারে। Miles to go before I sleep চ্যাপ্টারে লেখক হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল সহ আরো কিছু রিসার্চ পেপারের বরাতে দেখিয়েছেন ভালো ঘুমের জন্য বিজ্ঞানের গরম পানি ঠান্ডা পানির কনফিউশনের চেয়ে কেন মুমিনদের অন্ধের মতো সুন্নাহ অনুসরণই যথেষ্ট। এবার আসা যাক সবচেয়ে সেনসেটিভ পার্ট। পোশাকের সুন্নাহ। যাদের দেহই একমাত্র মেধা তাদের সাথে সুন্নাহর প্রধান সংঘাত বাঁধে এই পোশাকে। টাইটফিট জিন্স, যতটা সম্ভব খোলামেলা পোশাকে সাহসী হওয়া এসব কি খুব বিজ্ঞানসম্মত? Skin Cancer Foundation, Australia এর Senior research scientist Dr. Peter Gies PhD এবং তার টীম কিন্তু বলেন ভিন্ন কথা। সুন্নাহ সমর্থিত ঢিলেঢোলা অধিক আবৃত পোশাকই নাকি সান ড্যামেজ, আল্ট্রাভায়োলেট রশ্নি থেকে বেশি সুরক্ষা দেয়। এমনকি ফিনল্যান্ড আর্মিও শীতকালীন পোশাকে ঢিলেঢালা জ্যাকেট M-05 ব্যবহার করছে। দেখেন কি অবস্থা! এরাও দেখি পোশাকের চয়েস বোঝে না এদিকে ডাক্তার হবার সুবাদে লেখক কর্মজীবনে মেয়েদের প্রস্রাবে ইনফেকশনই দেখেছেন ২০ টার মতো যার কারণ টাইট লেগিংস। কিংবা ধরেন Meralgia Paresthetica ধরণের রোগ যা জিন্স থেকে হচ্ছে সেটাকে তো বিজ্ঞান নিজেই স্বীকার করছে। তাহলে এই আধুনিকমনা ভাইবোনেরা ঠিক কতটা আধুনিকমনা এই প্রশ্নটা আরো জোরালোই হচ্ছে কেবল! স্কিনটাইট জিন্স পরা এক শেকল ভাঙা ৩৫ বছর বয়স্কা মহিলা স্কোয়াট করতে গিয়ে আঁটোসাটো এই লেগিংসের কারণে চার দিন হাসপাতালে ছিলেন। পরে এই আধুনিক ভদ্রমহিলাকে জিন্স কেটে উদ্ধার করতে হয়। সুন্নাহ নাকি বিজ্ঞান? এরা আসলে কোনটাকে মানে? সম্ভবত উত্তরটা হলো খায়েশমাফিক বিজ্ঞান। এরকমভাবেই আরো অনেকগুলো সুন্নাহর বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা দেখিয়েছেন লেখক। যার ভেতরে হট টপিক হতে পারে প্রস্রাবের পর ইস্তেঞ্জা, ঢেলামাটির কুলুখ ব্যবহার, সবসময়ই টুপি ব্যবহার করা, ডান কাতে শোয়া, তাহনীকের মতো সুন্নাহগুলো। আজকাল তো হাসপাতালে লেখাই থাকে ছয়মাসের আগে মায়ের বুকের দুধ ছাড়া কিছুই বাচ্চা খাবে না। একারণে বিজ্ঞানান্ধ বাবা-মায়েরাও তাহনীকের সুন্নাহকে পরিত্যাগ করে আধুনিক সেজেছেন। বিজ্ঞানের পরবর্তী রিসার্চ সম্বন্ধে কি তারা খোঁজ রাখেন? বিজ্ঞান একটি পর্যবেক্ষণশীল ক্রমবর্ধমান জ্ঞানশাস্ত্র। এখনো হাঁটি হাঁটি পা পা করে চলছে। এর ভরসায় যদি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সুন্নাহকে পরিত্যাগ করেন, এরকমভাবেই বিজ্ঞানই আপনাকে পরে আশ্চর্য করবে। যেমনিভাবে এইসব মধ্যযুগীয় আচারকে বিজ্ঞান এখন সমর্থন করছে, ইনিয়েবিনিয়ে কমোডের বদলে প্যান ব্যবহার করতে বলছে, নবজাতকের শুগার কন্ট্রোলের জন্য মিষ্টি জেলি খাওয়াতে বলছে একদিন বাকি সব সুন্নাহর কথারও প্রমাণ পাবে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি রাসূলুল্লাহ ﷺ সত্যবাদী। ১৪০০ বছর আগে এনাটমি ফিজিওলজির জ্ঞান ছাড়াই তিনি আল্লাহর তরফ থেকে যে বিধান দিয়ে গেছেন তা-ই একমাত্র সত্য। যার পদে পদে প্রমাণ বিজ্ঞান পাচ্ছে, ভবিষ্যতেও পাবে। যতদিন না প্রমাণ পান ততদিন বিজ্ঞানের ভরসায় বসে থাকলে দুইপাশেই ক্ষতি। না দুনিয়ায় লাভ করলেন, না আখিরাতে। আর এদিকে ধর্মান্ধ মুমিনরা তাদের নবীকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে দুনিয়াতেও সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন জীবন কাটাচ্ছে আর আখিরাতেও সুন্নাহ মানার প্রতিদানে জান্নাতের আশা রাখে। জীবন আপনার, চয়েস আপনার। শামসুল আরেফিন শক্তি ভাই হাফি. জেনারেল ভাইদের জন্য আল্লাহর রহমত। সুন্নাহকে চূড়ান্ত ধরা কেন প্রয়োজনীয় তা গ্রহণযোগ্য রিসার্চ আর্টিকেল এনে, নিজস্ব ব্যখ্যা দাঁড় করিয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছেন। প্রতিটা অনুচ্ছেদেই লেখকের সারকথা ছিলো একটিই -- সুন্নাহই শ্রেষ্ঠ, আজ হোক কাল হোক বিজ্ঞান সুন্নাহসম্মত হবেই। বইটি যে কেবল জেনারেলপড়ুয়া বিজ্ঞানপুজারীদের জন্যই কার্যকরী তা নয়। বুদ্ধিবৃদ্ধিকভাবে দাসত্ব বরণ করে নেয়া হীনমন্য মুসলিমদের জন্যও বইটি চমৎকার দাওয়াই। লেখক দেখিয়েছেন ৯/১১ এর ঘটনায় আটকে পড়া একদল সরল তাবলীগী ভাইকে আল্লাহ কীভাবে কেবল মেসওয়াকের কল্যাণে হিফাযত করেন। মিসওয়াক নিয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহ. এর একটি মজার ঘটনা উদ্ধ্বৃত করার লোভ সামলাতে পারছিনা। কোনো এক যুদ্ধে শত্রুর দূর্গ কোনোভাবেই জয় করা যাচ্ছিলো না। স্বপ্নযোগে তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর উযু করে মিসওয়াক করার নির্দেশ পান। সকালে এই ঘটনা দেখে শত্রুপক্ষ ভাবলো মুসলমানরা বিজয়ের পর তাদেরকে ছিঁড়ে খাওয়ার জন্য দাঁতে শান দিচ্ছে। মুহূর্তেই তারা পরাজয় মেনে নিয়ে সন্ধিচুক্তিতে মুসলমান হয়ে গেলো। সুন্নাহ জীবনে এমনই ম্যাজিকের মতো কাজ করে। জায়েযের ওপরে একজন মুসলিমের জীবন চলে না। একজন মুমিনের লক্ষ্যই হবে সাহাবাওয়ালা জীবন, যেখানে যত সুন্নাহ পাওয়া যাবে সবগুলোকে জীবনে ধারণ। সম্মান তো কেবল তখনই পাওয়া যাবে! এমন চমৎকার একটি বইয়ের লেখক প্রকাশক পাঠক সকলকে আল্লাহ জান্নাতে কবুল করে নিন। কোনো এক বিকেলে রাসূলুল্লাহ ﷺ কে বলবো, সুন্নাহর কষ্টিপাথরে আমরা জীবন যাচাই করে এসেছি ইয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ। মৃদু হাসিতে তাকে কি সুন্দরই না দেখাবে! এক নজরে বইটি, বইয়ের নাম : কষ্টিপাথর লেখক : শামসুল আরেফিন শক্তি প্রকাশক : মাকতাবাতুল আযহার প্রচ্ছদমূল্য : ৩৬০ টাকা রিভিউদাতা : ইশতিয়াক শিল্প
Binte Ahmad @ September 8, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_২০২২ বই: কষ্টিপাথর লেখক: ড. শামসুল আরেফীন শারঈ ও সার্বিক সম্পাদনা : আলী হাসান উসামা প্রথম প্রকাশ : ২০১৮ আজ ঘষবো বিজ্ঞানকে, সুন্নত হলো সেই- 'কষ্টিপাথর'। -বইটির নামকরণের যৌক্তিকতা এই লাইনটির মাধ্যমে সহজেই বোধগম্য হয়ে ওঠে। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের মেধা-মননে এই চিন্তা প্রবর্তনে প্রায় শতভাগ সফল যে বিজ্ঞানের অতসী কাঁচেই আমাদের চারপাশটা দেখতে হবে। বিজ্ঞান সার্টিফিকেট দিলেই তবে আমরা সেটা বিশ্বাস করব, মানবো, পালন করব। তাই হয়তো কখনো কখনো দেখতে পাই কেউ সুন্নত পালনে অপরকে উৎসাহিত করতে যেয়ে বলছে, 'এটা শুধু সুন্নতের কথা না, চিকিৎসাবিজ্ঞানের দ্বারাও প্রমাণিত। ' ব্যাপারটা যেন কিছুটা এরকম - বিজ্ঞান বলেছে এই কাজ তোমার জন্য উপকারী হবে। তাই তুমি কারো, সাথে সুন্নত পালনও হলো। আমাদের চিন্তার এমন দৈন্যকে দূর করতে বইটি বেশ উপকারী হবে বলেই আমার বিশ্বাস। বইয়ের অনেকটা অংশ জুড়ে ভিন্নধর্মী মজার মজার সব শিরোনামে উঠে এসেছে আধুনিক বিজ্ঞানের সুন্নতকে নতুন করে আবিষ্কারের কথা। যে সুন্নতকে মুসলিমরা ১৪০০ বছর ধরে ভালোবাসার সাথে পালন করে লাভ করছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ, সেই সুন্নতের দুনিয়াবী ফায়দা গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করে আজ জানাচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞান। এক্ষেত্রে লেখক রেফারেন্স দিয়েছেন গ্রহণযোগ্য রিসার্চ পেপার, জার্নালের, বিখ্যাত সব পত্রিকার। বইয়ের পরের অংশে কাকতালীয় শিরোনামে এসেছে কোরআনের ১৪টি তথ্য যা আধুনিক বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে এই তো সেদিন! এই অংশটিতে নাস্তিকদের কপটতাই যেন আরো প্রকাশ্য হয়ে ওঠে। প্রলাপ ও বিদায়বেলা অংশদুটি যেকোনো মুসলিমের জন্য চিন্তার খোরাক। এটি তাদের ভাবতে বাধ্য করবে। এবং অবশেষে আলোড়ন তুলবে ভাবনার জগতে। লেখক বইটি শেষ করেছেন একটি প্রশ্ন দিয়ে- 'আছেন কি কেউ যে সব বাধা- বিপত্তি উপেক্ষা করে নবীর সুন্নাতকে-শরীয়াহকে প্রতিষ্ঠা করবেন ব্যক্তিজীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে? আছেন কেউ? আছেএএএএন? কেউ?' বইটি কাদের জন্য? মুসলিম, অমুসলিম, সন্দিহান মুসলিম, স্রোতে গা ভাসিয়ে চলা মুসলিম প্রত্যেকের জন্যই বইটি। নবীকে ভালোবেসে সুন্নত পালনকারী মুসলিমের জন্য বইটি সুন্নতের পিছনের হিকমা জানার জন্য সহায়ক। অমুসলিম ও সন্ধিহান মুসলিমের জন্য বইটি চিন্তার খোরাক। আর এই খোরাকই হতে পারে তাদের শাশ্বত পথে ফিরে আসার চালিকা। ব্যক্তিগত অনুভূতি : মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করে গেছেন, করতে বলেছেন। আর এই কারনেই যখন, যতটুকু সম্ভব সুন্নত পালনে আমি সচেষ্ট হব। তিনি কেন করতে বলেছেন আমি জানিনা; এতে আমাদের জন্য উপকারিতা আছে বা তিনি সেটা পছন্দ করেছেন - বইটা পড়ার আগ পর্যন্ত সুন্নত সম্পর্কে আমার মনোভাব ছিল এরকম (জ্ঞানের অভাব)। বইটি পড়ার কিছুদিন আগে বাবা একদিন গল্প করার সময় বলছিলেন, বাড়ির একটা গাছেই সবসময় মৌমাছি বাসা করত আর অনেক মধু পাওয়া যেত। আর গ্রামে যখনই কোন বাচ্চা হতো, গ্রামের মহিলারা বাবার দাদির কাছ থেকে এসে মধু নিয়ে যেতেন। খুব ছোটবেলায় বিটিভিতে দেখা বাচ্চাকে ৬মাস পর্যন্ত মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কিছু দেয়া যাবেনা কথাটা খুব ভালোভাবেই মাথায় গেঁথে ছিল। জ্ঞানের স্বল্পতার দরুন তাহনীক সম্পর্কে খুব একটা ধারণা ছিল না। তাই মনে প্রশ্ন আসে- এটা কি সুন্নত? হাদীসটা কি সহীহ? বাচ্চাদের মধু দেয়া কি ঠিক? তাদের শরীর কি এটার উপযোগী? তার কিছুদিন পরেই বইটি পড়ি। কুচ মিঠা হো যায়ে অংশটি আমাকে প্রচন্ড লজ্জায় ফেলে দেয়- যেখানে আছে জন্মের পর শিশুর তাহনীক হাইপোগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর। আমি ভাবতাম অন্য অনেকের মত ইসলামকে আমি বিজ্ঞানের সাথে মেলানোর চেষ্টা করিনা। আল্লাহর মনোনীত ইসলাম সত্য- এর সাথে অন্য কিছুর তুলনা নিষ্প্রয়োজন। কিন্তু বুঝলাম- নাহ! আমার এত বছরের শিক্ষা আর জোড়াতালি দেয়া বিজ্ঞান সময়ে সময়ে আমাকে ঠিকই সন্দিহান করে তুলতে সক্ষম। রিভিউ লিখতে যেয়ে এই ব্যক্তিগত উপলব্ধি লিখার উদ্দেশ্য একটাই - আমার মত জেনারেল পড়ুয়া ভাই-বোনেরা যেন নিজেদের চিন্তার অসারতা বুঝতে পারেন, ইসলামকে ইসলামের মত করেই চিনতে পারেন, বুঝতে পারেন, ঠিক যেমন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের চিনিয়ে গেছেন, বুঝিয়ে গেছেন। কোনোভাবেই লেখাটাকে বুক রিভিউ বলা যায় না। তবুও এ জন্য দেয়া যে- যদি কেউ লেখাটা পড়ে বইটি কিনতে বা পড়তে আগ্রহী হন তবে এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলে আমার বিশ্বাস ইন শা আল্লাহ।
Robiul Awal @ September 8, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২০২২ বইয়ের নাম: কষ্টিপাথর লেখক:ডা.শামসুল আরেফীন "গবাদিকরণ" নাম শুনলেই যেন মনে হচ্ছে গৃহপালিত কোন পশূর কথা বলল নাকি লেখক। পরক্ষনেই বুঝা যাবে মানুষের পশুর মত করে যেকোনকিছুই করা উচিত নয়। পশুরা যেমন দাঁড়িয়ে খাবার খায় এখানে সেই দেখাদেখি আমাদের করা উচিত নয়। দাড়িয়ে খেলে Basic কিছু সমস্যা হয় তাই এখানে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে খুব সুন্দর করে দেখানো হয়েছে যারা ১৪৫০ বছর পুরোনো সেকেকে আধুনিক এই যুগে তা কি চলে? একথার উপর লেখক যেন চপেটাঘাত করেছে। বেশিরভাগ মানুষ এখন দাড়িয়ে পানি ত খায়, সাথে খাবার ও যুক্ত হয়েছে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে তিনবেলা খাবার সরিয়ে ফাস্টফুডের প্রচলনও ত এখন চোখে পরার মত। খাদ‍্যাভ‍্যাসের গবাদিকরন মানে পশুর মত কর যত্রতত্র যখন তখন খাওয়া যা হাজার বছরের সংস্কৃতি বানায়ে ফেলছে। নবী সা. এর সুন্নত এর সাথে বিজ্ঞিনের গবেষণায় সাথে মিলে গিয়েছে শুধু কি একটা দুটো তার পরও কি দেখলে তারা ইমান আনবে রাসুল সা. এর প্রতি। এদের সম্পর্কে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন : এরা দেখেও দেখে না, শুনেও শুনে না। Mindful eating এর জন্য খাবার ধীরে সস্থে খাওয়া তাহলেই এর মধ্যে কল‍্যান পাওয়া যাবে। রাসূল সা. বলেন ; দাড়িয়ে পানি পান করবে না। সাথে খাবার খাওয়াও যা মন্দ ও জঘন্য তম কাজ হিসেবেও বলা হয়েছে।- মুসলিম ২০২৪ ১.ধীরস্থির ও মনোযোগের সাথে খাবার খাওয়া। ২.এতে করে ওজন ঘঠিত সমস্যা নিরসনে কাজ করে। ৩.তাড়াহুড়া না করা। ৪.মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ থেকেও দিনযত যাচ্ছে পশ্চিমাদের নিয়ম নীতি যেন আমরা জেনে না যেনেই মেনে নিচ্ছি। তারা যা করে তা সব সঠিক তাদের কে অনুসরন করতে গিয়ে আমরা আমাদের নিজের অস্তিত্বকে মুছে ফেলছি। কোন জাতি ততখান পযর্ন্ত না উন্নতি করতে পারবে তাদের নিজের নির্যস ইতিহাস সংস্কৃতি মূল্যবোধ কেন্দ্রিক ফরমেট সাজালেই আসবে উন্নতি।জেড়ে ফেলতে হবে তাদের কৃষ্টি কালচার অনৈতিক মূল্যবোধ। এইসব ছোট ছোট জিঞ্জির ছুড়ে ফেললে বড় বড় শিকলও খুলে আসবে একদিন।আমাদের নবীর সুন্নত ছিল বসে খাওয়া। 💠 সবকিছুই কোন জাতি থেকে অনুসরন করে তা আগানো যাই না নিজের মাঝেও কিছু থাকা লাগে চীন জাপান এরা যদিও সব ছুড়ে ফেলছে না ইউরোপীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন তবুও তারা তাদের নিজেদের সাংস্কৃতিক অনেকটাই পালন করে। এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিহত। যেমনটা করে দেখিয়েছে জাপান চীন মালশীয়া। সুতরাং এগোতে হলে নিজের অর্থাৎ (নবী সা.) মূল‍্যবোধ সব আকরে ধরতে হবে। বিজয় আসবে ইনশাআল্লাহ। বর্তমানের যুগ ফিতনার যুগ।এই যুগে নিজেকে আরো বেশি নিরাপত থাকতে হলে আমাদের তার ( নবি সা.) এর অনুসরন করতে হবে আরও বৈশি করে। তিনি সা. বলেন: আমার উম্মতের ফিতনা ফাসাদের জমানায় যে ব‍্যাক্তি আমার তরিকাকে দৃঢ়ভাবে আকড়ে ধরেছে,সে শহীদদের সওয়াব পাবে।
তানভীর আহমেদ @ September 8, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_২০২২ সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য। লাখো দরুদ ও সালাম হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি, যার আগমনে দুনিয়া হলো ধন্য এবং আমরা হলাম সম্মানিত এক আল্লাহর পরিচয়ে, তাওহীদের কালিমায়ে। আনাস ইবনে মালিক(রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, > "যে ব্যক্তি আমার সুন্নত কে জীবিত করল সে আমাকেই ভালোবাসলো, আর যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসলো সে তো জান্নাতে আমার সাথেই থাকবে" **প্রারম্ভঃ** কষ্টিপাথর চেনেন? এ এমন এক পাথর, যাতে ঘষে পরীক্ষা করা হয় স্বর্ণের বিশুদ্ধতা। স্বর্ণের খাদ কতটুকু, কতটুকু বিশুদ্ধতা আছে স্বর্ণের মধ্যে, সেটা জানা যায় কষ্টিপাথরে ঘষে পরীক্ষা করার পর। আর এই বইয়ে** 'কষ্টিপাথর' **হলো মূলত সুন্নতকে বুঝানো হয়েছে। বিজ্ঞানকে এই পাথর দিয়ে ঘষা হয়েছে। পাতায় পাতায় দেখানো হয়েছে,সুন্নত পালনের মধ্যে ইহলৌকিক কত উপকারিতা রয়েছে। বিজ্ঞান যা আবিষ্কার করছে, মুসলমানের বিগত চৌদ্দশো বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে তা পালন করে আসছে। সুন্নত বিজ্ঞানের উপর এতটাই অগ্রসর। এই বইটিতে এসব বিষয় সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। **বইয়ের ভেতরেঃ** বইয়ের মধ্যে ছিল পাঠকের নজরকাড়া সব বিষয়। কোন সুন্নত কিভাবে পালন করতে হয়,সুন্নতের সাথে বিজ্ঞানের রহস্য। বিজ্ঞান থেকে সুন্নত কতো এগিয়ে সেই যুক্তি। কোনটা আমাদের জন্য ক্ষতি, কোনটা উপকার। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন এই বইয়ের মাঝে। ১৪০০ বছর আগে আমাদের রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের দেখিয়ে গেছেন যা বিজ্ঞান এখন গবেষণা করে বের করতেছে। সুন্নতভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো যা বিজ্ঞান এখন আবিষ্কার করেছেঃ ★★দাড়ি কে আমরা অবহেলা করি। কিন্তু সেই দাড়ি শেভড করলে আমাদের মুখ মন্ডলে জীবাণু বহন করে আর সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি অধিক তাপ মুখের ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। আবার দাড়িতে এমন কিছু উপকারী জীবাণু জন্মায় যারা অন্য ক্ষতিকর জীবনুকে ধ্বংস করে। তাই দাড়ির উপকার সম্পর্কে বিজ্ঞান এখন যা আবিষ্কার করতেছে তা আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ১৪০০ বছর আগে থেকেই দাড়ি রাখার উৎসাহ দিয়ে গেছেন। > হযরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, গোঁফ ছোট কর এবং দাড়ি ছেড়ে দাও। ★★ বড় গোঁফ নাকের শ্লেষ্মা আটকে থেকে নিজের আবার পরিবারের অন্যদেরও ইনফেকশন হয়। ★★ বাঁহাতি বা উভয়হাতি হওয়াটা ভবিষ্যতে মনোরোগ ও বৃদ্ধি জনিত রোগের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ★★ কম ঘুম আমাদের ডায়াবেটিস, স্ট্রোক বা হৃদরোগের কারণ। ★★ চিত বা উপুরে হয়ে শোয়ার চেয়ে কাত হয়ে ঘুমালে বেশি মস্তিষ্ক দক্ষতার সাথে কাজ করে। ★★ ফিটিং পোশাক পরার জন্য দেহ ও শরীরের ক্ষতির বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। ★★ সাদা পোশাক পড়ার জন্য বলা হয়েছে কারণ সাদা পোশাক সূর্যরশ্মি সবচেয়ে মিনিমাম শোষণ করে। আর > "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তোমরা সাদা রংয়ের পোশাক পরিধান করো। কেননা তা অধিক পবিত্র ও উত্তম।" ★★মিসওয়াকের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ★★ বসে খেলে শরীর ও পাকস্থলীর উপকার, তাড়াহুড়ো না করে মনোযোগ দিয়ে খাওয়া। ★★ বাচ্চা জম্ম নিলে তাকে তাহনীক করা,এতে বাচ্চার হাইপোগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধ হয়। ★★ মাছির এক পাখায় জীবাণু আরেক পাখায় প্রতিসেধক। ★★ হাই কমডে বাথরুম করার ক্ষতি। ★★মাটিতে আছে হরেক জাতের ব্যাকটেরিয়া যারা প্রতিনিয়ত নিজ প্রয়োজনে শক্তিশালী সব এন্টিবায়োটি, এন্টিভাইরাস,এন্টিক্যান্সার তৈরি করে চলেছে। যা এতো দিনে আবিষ্কার করা হয়েছে। ★★ পানি মানুষের কর্ম ও পর্ব আবেগের সাথে রিঅ্যাক্ট করে, তার ধর্ম বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়। এজন্য একই পানির ভিন্ন আবেগ ও ভিন্ন কর্মকাণ্ডে সুন্দর বা বাজে ক্রিস্টাল তৈরি করে। যমযম এর মত গুনগত বিশুদ্ধতা পৃথিবীর আর কোন জায়গার পানিতে পাওয়া যায়নি। কতো সুন্দর জিনিস যা আমাকে পুরো হতোবাক করেছে তুলেছে।আর ১৪০০ বছর পূর্বে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। পানির ওপর কুরআনের আয়াতের প্রভাব----এটা এখন বিজ্ঞান। ★★ অল্প খাওয়া,আঁশসহ খাদ্য শরীরের জন্য উপকারিতা। ★★অ্যালকোহল এর ক্ষতিকর দিকগুলো। ★★ নামাজের ফলে যে পুরো শরীরের উপকারিতা। আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হয়েছে যা আমরা ১৪০০বছর আগে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম এর দেখানো পথ পালন করে আসতেছি যা বিজ্ঞান এখন এর গুরুত্ব গবেষণা করে বের করেছে। বইয়ের মধ্যে, ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নত,মুস্তাহাব,মুবাহ,মাকরূহ,হারামএবং নাজায়েজ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও সুন্নত এর পার্থক্য এবং সুন্নত পালনে সাহাবিরা (রা.) কতোটুকু গুরুত্ব দিয়েছেন সম্পর্কে সুন্দর করে আলোচনা করা হয়েছে। **পাঠকের অনূভুতিঃ** আমরা মুসলিম সমাজ আজ পশ্চিমাদের অনুসরণ করতে করতে আমাদের মহামূল্যবান সুন্নাতকে ভুলে গেছি।আমরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে তাদের অপসংস্কৃতি কে লালন করে আসছি।তারা দাঁড়ি স্টাইল করে রাখে এবং গোঁফ বড় রাখে আমরাও সেইম একই কাজ করি,তারা টাইট ফিট প্যান্টপরে তাই আমরাও পড়ি,তারা আমাদের সভ্য হিসেবে তৈরি করতে হাই-কমোড ব্যবহার করা শিখিয়েছে আমরা তাই করে নিজেদেরকে তাদের বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত করছি,তারা দাড়িয়ে খাবার খায় এবং পানি পান করে তাই আমরাও করি,তারা মাথা খোলা রাখে আমরাও তাই করি,তারা বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালন আমাদের শিখিয়েছে আমরা তাই করি।।।ভাই এখন এসব অনুকরণ করা বাদ দেন।কারণ তারা আমাদের বিজ্ঞানের বুলি আওড়িয়ে নিজেরাই নিজেদের বাণিজ্যের জন্য সব বিজ্ঞান বিরোধী কাজ করে।কষ্টিপাথর দিয়ে যেমন সোনা পরখ করতে হয় তেমনি সুন্নাতের মাধ্যমে বিজ্ঞানকে পরখ করা হবে।বিজ্ঞান দিয়ে সুন্নাত পরখ করা আর ১৫ বছরের একটা ছেলের সাথে ৫০ বছর বয়সী বৃদ্ধ বির্তক ছাড়া কিছুই নয়।আপনি নবীজী(সাঃ) এর একটা একটা করে সুন্নাত ছাড়ছেন নিজেকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছেন।কারণ সুন্নাতের মধ্যেই কামিয়াব..!আমরা কাদের অনুসরণ করছি যাদের দেশের ৬০% মানুষ জারজ..তাদের..?নিজেকে আরেকবার প্রশ্ন করুন..!আপনি চীন বা জাপানকে দেখেন তারা কিন্তু আজ অনেক উন্নত কারণ একটাই তারা পশ্চিমাদের অন্ধ অনুসরণ করে না। আলহামদুলিল্লাহ ব্যক্তিগতভাবে এই গ্রন্থটি আমার অন্তরে সুন্নত-মুস্তাহাবের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা ও ভক্তি জাগ্রত হয়েছে৷ আমার জীবন সুন্নত-মুস্তাহাব বাস্তবায়ন করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। **কাদের জন্য এই বইঃ ** প্রতিটি মুসলিম বা অমুসলিম সবার জন্যই বইটি গুরুত্বপূর্ণ। তারপরেও যারা অবহেলায় সুন্নতকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন তাদের জন্য এই বই। যারা ইহলৌকিক উপকারিতা থেকে বেখবর তাদের জন্য এই বই।যাদের সুন্নতের গুরুত্ব সম্পর্কে জানার ইচ্ছা তাদের জন্য এই বই। আবার, যারা নাস্তিক, আধুনিকমনা,মুক্তমনা, বিজ্ঞানের অনুসারী যারা বিজ্ঞানকে ভাবে সব কিছুর ঊর্ধ্বে তাদের জন্য এই বইটি একটা খোরাক। **কেন পড়বেন এই বইঃ** ডা.শামসুল আরেফীন স্যারের** "কষ্টিপাথর" **বইটি পড়লে আপনি সুন্নাতসম্মত বিজ্ঞান নিয়ে আরও বিস্তর জানতে পারবেন এবং নিজেকে হয়তো পরিবর্তন করতে পারবেন সুন্নাতের আলোকে..! বইটিতে ৩০ টির বেশি অধ্যায়ে ছোট বড় অনেক গুলো সুন্নাত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।। আর এই সুন্নাত গুলো বর্তমান বিজ্ঞানে গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা চাঞ্চল্য উপকার। বইটির সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হলো প্রত্যেকটি সুন্নাতকে হাদিসের দ্বারা গুরুত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আর বিজ্ঞানের গবেষণার তথ্য সহ চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মত।। বইটি পড়লে যেমন বিশ্বাসীরা সুন্নাত কে যথাযথ পালনে মনোযোগী হবে তেমনি অবিশ্বাসীরা ঠাট্টার বদলে মাথা নত করে বসবে।। বিজ্ঞানী গবেষনার তথ্য প্রতিটি পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের আর ক্ষেত্র ভেদে জার্মান ও ভারতের তথ্যও যুক্ত করা হয়েছে।। আর ইচ্ছা করেই মুসলিম দেশের বিজ্ঞানের তথ্য দেওয়া হয়নি কারন অবিশ্বাসীরা বলতে পারে এগুলো আমাদের মন গড়া বানানো। > আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,"যে রসূলের হুকুম মানলো সে আল্লাহরই হুকুম পালন করল" **বইয়ের প্রচ্ছদঃ** কালো রঙের বইয়ের উপর একটি পাথর মনে হচ্ছে পাথর থেকে সুন্নাতের আলো বের হচ্ছে।আবার বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক লগো হালকা করে আঁকা আছে। বইটি দেখলেই ধরতে ইচ্ছে করবে। লেখাগুলো চমৎকার ভাবে ফুটে উঠেছে। সত্যি কতো সুন্দর। চোখে লেগে থাকার মতো। **'কষ্টিপাথর' **বইটি লিখেছেন ডা. শামসুল আরেফীন। শারঈ ও সার্বিক সম্পাদনা করেছে মাওলানা আলী হাসান উসামা। প্রকাশিত করেছে শুদ্ধি। ## **বই পরিচিতি --** ## বইয়ের নামঃ কষ্টিপাথর ## লেখকের নামঃ ডা. শামসুল আরেফীন ## সম্পাদনাঃ মাওলানা আলী হাসান উসামা ## প্রকাশনাঃ শুদ্ধি ## পৃষ্ঠাঃ ১৭৬ ## রিভিউ লেখকঃ তানভীর আহমেদ
Robiul Awal @ September 8, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২০২২ বইয়ের নাম : কষ্টিপাথর লেখক: ডা.শামসুল আরেফীন প্রকাশনী: শুদ্ধি পেজ:১৭৬ প্রচ্ছদ মুল‍্য:২৪০৳ 🔴 বইটা নিয়ে প্রথম কথা হলো আমাদের বিজ্ঞানদিয়ে হাদীস,কুরআন যাচাই করা উচিত নায় কারন বিজ্ঞান কোন stabilize truth নয় আজও বিজ্ঞান অনেক কিছুই জানে না। অবশ্য মুসলিম ভাইয়েরা যদি চান ত তাহলে বিজ্ঞানকে কুরআন এবং হাদীস দিয়ে যাচাই করাই যাই। যা মহান রবের কাছ থেকে এসেছে।এর থেকে ভালো কেই বা বলতে পারে। লেখক অনেক সুন্দর করে বিভিন্ন বিষয়ে কথা গুলো কে নিয়ে এসেছেন।বিজ্ঞান শুধু কোন একটা নিদিষ্ট ব‍্যাখ‍্যা দিতে পারে তাদের গবেষণা আর বর্তমান জ্ঞান দিয়ে।তার মানে এই নয় যে তা নিজেই কষ্টি পাথর এমন অনেক রেকর্ড পাওয়া যায় যে বিজ্ঞান সেখানে ভুল প্রমাণিত হয়েছে যা কয়েকশ বছর আগেও তা সঠিক বলে যানত। 🔵 সুন্নত এর মধ্যে হাজারো ফাইদা আছে। মহান এই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ কখনোই চাবে আমাদের কোন খারাপ কিছু হোক। আমারই আমাদের উপর বোজা তুলি নেই - আল কুরআন। সাধারণ ভাবে আমরা নানা কিছু দেখে তা অমানবিক, সেকেলে আরও কত কথা বলে থাকি। মনে রাখতে হবে সার্জারি করা চিকিৎসক যা জানে তা আমরা জানি না, চিকিৎসক যিনে তার "টিউমার " থেকে শরীর থেকে আলাদা না করলে পুরো শরীরে ছরিয়ে যাবে। তাই কোন বিষয়ে আপাত দৃষ্টিতে আমাদের না বুঝা হলেও তার ব‍্যাপারে চোপ থাকা। আল্লাহ্ কুরআনের বিভিন্ন বলেছেন যে আমি নিজেই তোমাদের প্রতিদান দেব যদি তোমরা আমার নবীকে অনুসরন কর। "সুন্নত কে আমরা কিন্তু এর ফাইদা আছে বলে পালন করবেন না নবি সা.কে ভালোবাসি বলে পালন করা উচিত। তা না হলে আম হইতে পেয়ে যাব (ফাইদা দুনিয়াবি) কিন্তু ছালা টা যে হারাবো তা বলা চলে।যাতে করে আরো বেশি আম আমরা রাখতে পারতাম। আর বিবরীত উত্তম জ্ঞিনীদের জন্য সিদ্ধান্ত আপনার আনি কোনটা নিবেন।" বইটাতে অনেক বিক্ষাত সব Newspaper এর তথ্য উঠে এসেছে সেখানে প্রকশীত বিভিন্ন বিজ্ঞানিদের কথা,সাথে আছে রিসার্চ paper, Popular News chanel example :ABC,BBC etc. সিরিয়াল মেনটেন করে কথা বলা আমার জন্য কষ্টের তবুও যতটুকু পেরীছি বোঝার জানি না তা পেরেছি কিনা। অধ‍্যায় ২ ডিওভোরেন্ট বা দুর্গন্ধ রোধক। এখানে খুব সুন্দর করে বর্তমানে বিজ্ঞানের সাথে সেই ১৪৫০ বছর আগের সেই সেকেলে বলা public দেরকে চপেটাঘাত করৃছে তাদের সেই বিজ্ঞান। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এর প্রতি ইসলাম এত গুরুত্ব আরপ করেজে তা বলে শেষ করা যাবে। বিজ্ঞানকে তার মত আগাতে থাকক আমরা আমাদের প্রিয় নবী সা. কে অনুসরন করার যর্থাথ চেষ্টা করব এই আশা রাখা। যদিও এই পুজিবিদি, সমাজ, লোকের কথা আসবেই তখন ও বলা হয়েছে নবী সা.কে আজ আমাদের মুসলিম উম্মাহকে বলা হচ্ছে দিন শেষে আল্লাহ্ মুমিনদের সাথেই আছেন। "যদি তোমরা ধৈর্য শীল থাক তবে তোমরাই বিজয়ী হবে " এর থেকে বড় কথা কেই বা বলতে পারে। ভুলভান্তি হলে ক্ষমি করে করে দিবেন আশা রাখি। Reviewer name :Robiul awal
Jubaiya Akter Jerin @ September 8, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_২০২২ “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম” ▪️বইটির নাম কষ্টিপাথর।নামের মধ্যেই অন্যরকম একটা গন্ধ পাওয়া যায়, তাই না? » কিন্তু কষ্টিপাথর, সেটা আবার কি? -কষ্টিপাথর মূলত এমন পাথর যা দ্বারা স্বর্ণের বিশুদ্ধতা নির্ণয় করা হয়।কষ্টিপাথরে ঘষেই স্বর্ণে খাদ আছে কি না,বিশুদ্ধতা কতটুকু তা পরখ করা হয়। » কিন্তু বইয়ের নাম কষ্টিপাথর কেন? এখানে কি কষ্টিপাথরের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে? -হ্যা,কষ্টিপাথর নিয়ে আলোচনাই বটে।তবে এখানে কষ্টিপাথর হিসেবে দেখানো হয়েছে সুন্নাতকে। আর সুন্নাত নামক এই কষ্টিপাথরে ঘষা হয়েছে বিজ্ঞান কে।বইটির পাতায় পাতায় দেখানো হয়েছে- বিজ্ঞান বর্তমানে যা আবিষ্কার করছে, মুসলমানরা তা বিগত ১৪০০ বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে পালন করে আসছে সুন্নাত হিসেবে। ◾একনজরে বইটিঃ বইঃ কষ্টিপাথর লেখকঃ ডা. শামসুল আরেফীন প্রকাশনায়ঃ মাকতাবাতুল আযহার পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৭৬ মুদ্রিত মূল্যঃ ২৬০৳ ◾বই সম্পর্কেঃ ▪️অবিশ্বাসীরা সবসময় বিজ্ঞানকে দলিল মেনে সুন্নাতকে কাঠগড়ায় তোলে।নিঃসন্দেহে এটা ধৃষ্টতা। শুধু ধৃষ্টতাই নয়,শিশুকে ভিত্তি করে বৃদ্ধের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা অবশ্যই হাস্যকরও বটে। এখানে সুন্নাতের তুলনা পরিণত বৃদ্ধের সঙ্গে, যার মনন পরিপূর্ণ, সিদ্ধান্ত সুপরিপক্ক,যুক্তি পূর্ণাঙ্গ। আর বিজ্ঞান হলো শিশুর মতো, যার এখনও অনেক কিছু দেখা বাকি,যার মনন এখনও গঠন হচ্ছে, সিদ্ধান্ত পরিবর্তনশীল,প্রক্রিয়া চলমান।সুতরাং শিশুর জ্ঞানের সাথে বৃদ্ধের জ্ঞানের তুলনা অবশ্যই অযৌক্তিক। ▪️মানুষ এ পর্যন্ত তার পঞ্চ ইন্দ্রিয় দ্বারা সর্বকল্যাণময় সুন্নাতের যেটুকু কল্যাণ উপলব্ধি করতে পেরেছে তাই এ বইয়ের আলোচ্য বিষয়। আমাদের পালনীয় দৈনন্দিন সুন্নাহগুলোর সাথে যে ‘বিজ্ঞানের’ এক গভীরতম সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের ভেদ উন্মোচন করা একটি ব্যতিক্রমধর্মী বই হলো এই ‘কষ্টিপাথর’। ▪️কষ্টিপাথর বইটিতে লেখক বিজ্ঞানীদের যেসব গবেষণা উল্লেখ করেছেন তার সব রেফারেন্স বিশ্বের বড় বড় পত্রিকা, বিবিসি,এবিসি নিউজ এর মতো বড় নিউজ চ্যানেল বেছে নিয়েছেন। যা অবিশ্বাসী ও সেক্যুলার গোষ্ঠীর কাছে ওহীর মতো।বর্তমান তরুণ যুবাদের মগজ যেন বন্ধক রয়েছে পশ্চিমের কাছে, তাই লেখকও বইটিতে ব্যবহার করেছেন পশ্চিমের কাছে গ্রহণীয় রেফারেন্স। পশ্চিমের কাছে গ্রহণীয়, পশ্চিমের জ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষিত। ▪️বইটির লেখক যেহেতু ডাক্তার,তাই প্রতিটি হাদিসের স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন।বইটিতে প্রায় ৩০ টির মতো হাদিস আর এই হাদিস পালনে দুনিয়াতেও মানুষের জন্য কত কল্যাণ লুকিয়ে রয়েছে তা যে বিজ্ঞান নিজের অজান্তেই আবিষ্কার করে ফেলেছে সেগুলোই সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ▪️দূর্গের বাইরে পরিখা,লেফট-রাইট, And Miles to Go Before I Sleep,প্যাকেট,আজ চুলা বন্ধ, কুছ মিঠা হো জায়ে,মাছিমারা কেরানি, যাহ! সব মাটি,জীবনের অপর নাম পানি,মাতাল ধোঁয়া,রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন এমন আরো চমৎকার সব শিরোনামে সাজানো বইটি। শিরোনাম দেখলেই আগ্রহ জন্মে তাই না,বিস্তারিত না জানি কি কি রয়েছে ভেতরে। ▪️বইটির শেষের দিকে লেখক প্রলাপ ও বিদায়বেলা নামক দুটি অধ্যায় যুক্ত করেছেন। এখানে লেখকের যে আহ্বান, যে দিলের দরদ প্রকাশ পেয়েছে তা প্রতিটি মুসলিমকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে বলে আমার বিশ্বাস। ◾বইটি কাদের জন্যঃ ▪️যারা সুন্নাতের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক উপকারিতা সম্পর্কে উদাসীন, যাদের আচরণে সুন্নাত ও মুস্তাহাবের প্রতি অবহেলা লক্ষণীয়,যাদের কাছে এগুলো বরাবরই উপেক্ষিত তাদের জন্যই এই কষ্টিপাথর বইটি। ▪️নাস্তিকদের প্রশ্নের জবাবে অনেক বই প্রকাশিত হলেও একদল লোক আছে যারা আধা নাস্তিক মানে আল্লাহ কে বিশ্বাস করলেও, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ও তার সুন্নাহ কে অবিশ্বাস করে।এদের উদ্দেশ্য করে তেমন বই প্রকাশিত হয়নি। মূলত এসব লোকদের জন্যও কষ্টিপাথর বইটি রিকমন্ডেড। ▪️এছাড়া কিছু মুসলিম আছে যারা নামে মুসলিম কিন্তু যাদের কাছে ইউরোপ-আমেরিকা জান্নাত,তাদের উলঙ্গপনা মানে সাহসী অভিনয়...এদের জন্যও কষ্টিপাথর বইটি। ◾আমার অনুভূতিঃ কষ্টিপাথর নামটা শুনেই বইটা পড়ার প্রতি আগ্রহ জন্মে।বইটি কেনার আগেও জানতাম না,বইটার আলোচ্য বিষয় কি?ইসলামিক বই আর নাম কষ্টিপাথর এটুকু জেনেই কিনে ফেলি। কিন্তু যখন বইটি পড়া শুরু করছি একের পর এক পাতা পড়ছি আর মনে হয়েছে এত গুরুত্বপূর্ণ, এত চমৎকার একটি বই অথচ বই সম্পর্কে তেমন রিভিউ কোথাও চোখে পড়েনি। প্রতিটি অধ্যায় শেষ করেছি আর অবাক হয়েছি আমাদের নবী (সাঃ) যা ১৪০০ বছর আগেই আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন, যার শুধু পরলৌকিক উপকারিতা জেনেই মুসলিমরা ১৪০০ বছর ধরে তা পালন করে আসছে,বিজ্ঞান আজ তার ইহলৌকিক কল্যাণকর দিক সম্পর্কে জানতে পারছে। প্রতিটি সুন্নাতের উপকারিতা জেনেছি আর নিজের অজান্তেই মুখে উচ্চারিত হয়েছে -সুবহানাল্লাহ। বইটি শেষ করার পর মনে হলো বইটি আমার চেনা-পরিচিত সকলকেই পড়তে বলা উচিত। আমার পরিবার, আমার বন্ধু-বান্ধব সবারই উচিত বইটি পড়া।কোনো পাঠক-পাঠিকাই বইটিকে অপছন্দের তালিকায় যুক্ত করতে পারবে না আমার বিশ্বাস। ◾আশ্চর্যজনক অধ্যায়ঃ “জীবনের অপর নাম পানি”- শিরোনাম বিশিষ্ট অধ্যায় পড়ে আমি সবচেয়ে বেশি আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। সুবহানাল্লাহ! এই অধ্যায় পড়েই জানতে পারি, -পানি মানুষের কর্ম ও আবেগের সাথে রিএক্ট করে,তার ধর্ম-বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয় হয়।এজন্যই একইসাথে পানি ভিন্ন আবেগ ও ভিন্ন কর্মকান্ডে সুন্দর বা বাজে ক্রিস্টাল তৈরি করে। এমনকি এর সামান্য স্মৃতি ধারণ ক্ষমতাও থাকতে পারে। আর সবচেয়ে সুন্দর বিষয় হলো পানির সামনে কুরআন তিলাওয়াত প্লে করে পাওয়া যায় সবচেয়ে নিখুঁত আকারের ষড়ভুজাকার ক্রিস্টাল। -সুবহানাল্লাহ। তাহলে ভাবুন মানুষের দেহের ৭০% ই পানি-দেহের ভেতরে শুধু পরোক্ষ ভূমিকা পালন করবে? জানতে হলে পড়তে হবে-‘কষ্টিপাথর’। ◾সবশেষে বইটির সম্পাদকের মতো আমিও বলবো- ব্যাকডেটেড বলে যারা ইসলামকে অবজ্ঞা করার মতো সাহস দেখায়,তাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ কষ্টিপাথর বইটি একবার পড়ে দেখার।সেই সাথে যারা ‘আধুনিকতা’র বিপরীতে ইসলামকে বেছে নিতে ইচ্ছুক তাদের জন্য বইটি অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশাবাদী। বইয়ের নামঃ কষ্টিপাথর রিভিউ লেখিকাঃ জুবাইয়া আক্তার জেরিন ১৯/০৮/২০২২
Jubaiya Akter Jerin @ September 8, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_২০২২ “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম” ▪️বইটির নাম কষ্টিপাথর।নামের মধ্যেই অন্যরকম একটা গন্ধ পাওয়া যায়, তাই না? » কিন্তু কষ্টিপাথর, সেটা আবার কি? -কষ্টিপাথর মূলত এমন পাথর যা দ্বারা স্বর্ণের বিশুদ্ধতা নির্ণয় করা হয়।কষ্টিপাথরে ঘষেই স্বর্ণে খাদ আছে কি না,বিশুদ্ধতা কতটুকু তা পরখ করা হয়। » কিন্তু বইয়ের নাম কষ্টিপাথর কেন? এখানে কি কষ্টিপাথরের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে? -হ্যা,কষ্টিপাথর নিয়ে আলোচনাই বটে।তবে এখানে কষ্টিপাথর হিসেবে দেখানো হয়েছে সুন্নাতকে। আর সুন্নাত নামক এই কষ্টিপাথরে ঘষা হয়েছে বিজ্ঞান কে।বইটির পাতায় পাতায় দেখানো হয়েছে- বিজ্ঞান বর্তমানে যা আবিষ্কার করছে, মুসলমানরা তা বিগত ১৪০০ বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে পালন করে আসছে সুন্নাত হিসেবে। ◾একনজরে বইটিঃ বইঃ কষ্টিপাথর লেখকঃ ডা. শামসুল আরেফীন প্রকাশনায়ঃ মাকতাবাতুল আযহার পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৭৬ মুদ্রিত মূল্যঃ ২৬০৳ ◾বই সম্পর্কেঃ ▪️অবিশ্বাসীরা সবসময় বিজ্ঞানকে দলিল মেনে সুন্নাতকে কাঠগড়ায় তোলে।নিঃসন্দেহে এটা ধৃষ্টতা। শুধু ধৃষ্টতাই নয়,শিশুকে ভিত্তি করে বৃদ্ধের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা অবশ্যই হাস্যকরও বটে। এখানে সুন্নাতের তুলনা পরিণত বৃদ্ধের সঙ্গে, যার মনন পরিপূর্ণ, সিদ্ধান্ত সুপরিপক্ক,যুক্তি পূর্ণাঙ্গ। আর বিজ্ঞান হলো শিশুর মতো, যার এখনও অনেক কিছু দেখা বাকি,যার মনন এখনও গঠন হচ্ছে, সিদ্ধান্ত পরিবর্তনশীল,প্রক্রিয়া চলমান।সুতরাং শিশুর জ্ঞানের সাথে বৃদ্ধের জ্ঞানের তুলনা অবশ্যই অযৌক্তিক। ▪️মানুষ এ পর্যন্ত তার পঞ্চ ইন্দ্রিয় দ্বারা সর্বকল্যাণময় সুন্নাতের যেটুকু কল্যাণ উপলব্ধি করতে পেরেছে তাই এ বইয়ের আলোচ্য বিষয়। আমাদের পালনীয় দৈনন্দিন সুন্নাহগুলোর সাথে যে ‘বিজ্ঞানের’ এক গভীরতম সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের ভেদ উন্মোচন করা একটি ব্যতিক্রমধর্মী বই হলো এই ‘কষ্টিপাথর’। ▪️কষ্টিপাথর বইটিতে লেখক বিজ্ঞানীদের যেসব গবেষণা উল্লেখ করেছেন তার সব রেফারেন্স বিশ্বের বড় বড় পত্রিকা, বিবিসি,এবিসি নিউজ এর মতো বড় নিউজ চ্যানেল বেছে নিয়েছেন। যা অবিশ্বাসী ও সেক্যুলার গোষ্ঠীর কাছে ওহীর মতো।বর্তমান তরুণ যুবাদের মগজ যেন বন্ধক রয়েছে পশ্চিমের কাছে, তাই লেখকও বইটিতে ব্যবহার করেছেন পশ্চিমের কাছে গ্রহণীয় রেফারেন্স। পশ্চিমের কাছে গ্রহণীয়, পশ্চিমের জ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষিত। ▪️বইটির লেখক যেহেতু ডাক্তার,তাই প্রতিটি হাদিসের স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন।বইটিতে প্রায় ৩০ টির মতো হাদিস আর এই হাদিস পালনে দুনিয়াতেও মানুষের জন্য কত কল্যাণ লুকিয়ে রয়েছে তা যে বিজ্ঞান নিজের অজান্তেই আবিষ্কার করে ফেলেছে সেগুলোই সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ▪️দূর্গের বাইরে পরিখা,লেফট-রাইট, And Miles to Go Before I Sleep,প্যাকেট,আজ চুলা বন্ধ, কুছ মিঠা হো জায়ে,মাছিমারা কেরানি, যাহ! সব মাটি,জীবনের অপর নাম পানি,মাতাল ধোঁয়া,রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন এমন আরো চমৎকার সব শিরোনামে সাজানো বইটি। শিরোনাম দেখলেই আগ্রহ জন্মে তাই না,বিস্তারিত না জানি কি কি রয়েছে ভেতরে। ▪️বইটির শেষের দিকে লেখক প্রলাপ ও বিদায়বেলা নামক দুটি অধ্যায় যুক্ত করেছেন। এখানে লেখকের যে আহ্বান, যে দিলের দরদ প্রকাশ পেয়েছে তা প্রতিটি মুসলিমকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে বলে আমার বিশ্বাস। ◾বইটি কাদের জন্যঃ ▪️যারা সুন্নাতের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক উপকারিতা সম্পর্কে উদাসীন, যাদের আচরণে সুন্নাত ও মুস্তাহাবের প্রতি অবহেলা লক্ষণীয়,যাদের কাছে এগুলো বরাবরই উপেক্ষিত তাদের জন্যই এই কষ্টিপাথর বইটি। ▪️নাস্তিকদের প্রশ্নের জবাবে অনেক বই প্রকাশিত হলেও একদল লোক আছে যারা আধা নাস্তিক মানে আল্লাহ কে বিশ্বাস করলেও, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ও তার সুন্নাহ কে অবিশ্বাস করে।এদের উদ্দেশ্য করে তেমন বই প্রকাশিত হয়নি। মূলত এসব লোকদের জন্যও কষ্টিপাথর বইটি রিকমন্ডেড। ▪️এছাড়া কিছু মুসলিম আছে যারা নামে মুসলিম কিন্তু যাদের কাছে ইউরোপ-আমেরিকা জান্নাত,তাদের উলঙ্গপনা মানে সাহসী অভিনয়...এদের জন্যও কষ্টিপাথর বইটি। ◾আমার অনুভূতিঃ কষ্টিপাথর নামটা শুনেই বইটা পড়ার প্রতি আগ্রহ জন্মে।বইটি কেনার আগেও জানতাম না,বইটার আলোচ্য বিষয় কি?ইসলামিক বই আর নাম কষ্টিপাথর এটুকু জেনেই কিনে ফেলি। কিন্তু যখন বইটি পড়া শুরু করছি একের পর এক পাতা পড়ছি আর মনে হয়েছে এত গুরুত্বপূর্ণ, এত চমৎকার একটি বই অথচ বই সম্পর্কে তেমন রিভিউ কোথাও চোখে পড়েনি। প্রতিটি অধ্যায় শেষ করেছি আর অবাক হয়েছি আমাদের নবী (সাঃ) যা ১৪০০ বছর আগেই আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন, যার শুধু পরলৌকিক উপকারিতা জেনেই মুসলিমরা ১৪০০ বছর ধরে তা পালন করে আসছে,বিজ্ঞান আজ তার ইহলৌকিক কল্যাণকর দিক সম্পর্কে জানতে পারছে। প্রতিটি সুন্নাতের উপকারিতা জেনেছি আর নিজের অজান্তেই মুখে উচ্চারিত হয়েছে -সুবহানাল্লাহ। বইটি শেষ করার পর মনে হলো বইটি আমার চেনা-পরিচিত সকলকেই পড়তে বলা উচিত। আমার পরিবার, আমার বন্ধু-বান্ধব সবারই উচিত বইটি পড়া।কোনো পাঠক-পাঠিকাই বইটিকে অপছন্দের তালিকায় যুক্ত করতে পারবে না আমার বিশ্বাস। ◾আশ্চর্যজনক অধ্যায়ঃ “জীবনের অপর নাম পানি”- শিরোনাম বিশিষ্ট অধ্যায় পড়ে আমি সবচেয়ে বেশি আশ্চর্যান্বিত হয়েছি। সুবহানাল্লাহ! এই অধ্যায় পড়েই জানতে পারি, -পানি মানুষের কর্ম ও আবেগের সাথে রিএক্ট করে,তার ধর্ম-বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয় হয়।এজন্যই একইসাথে পানি ভিন্ন আবেগ ও ভিন্ন কর্মকান্ডে সুন্দর বা বাজে ক্রিস্টাল তৈরি করে। এমনকি এর সামান্য স্মৃতি ধারণ ক্ষমতাও থাকতে পারে। আর সবচেয়ে সুন্দর বিষয় হলো পানির সামনে কুরআন তিলাওয়াত প্লে করে পাওয়া যায় সবচেয়ে নিখুঁত আকারের ষড়ভুজাকার ক্রিস্টাল। -সুবহানাল্লাহ। তাহলে ভাবুন মানুষের দেহের ৭০% ই পানি-দেহের ভেতরে শুধু পরোক্ষ ভূমিকা পালন করবে? জানতে হলে পড়তে হবে-‘কষ্টিপাথর’। ◾সবশেষে বইটির সম্পাদকের মতো আমিও বলবো- ব্যাকডেটেড বলে যারা ইসলামকে অবজ্ঞা করার মতো সাহস দেখায়,তাদের কাছে বিশেষ অনুরোধ কষ্টিপাথর বইটি একবার পড়ে দেখার।সেই সাথে যারা ‘আধুনিকতা’র বিপরীতে ইসলামকে বেছে নিতে ইচ্ছুক তাদের জন্য বইটি অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে আশাবাদী। বইয়ের নামঃ কষ্টিপাথর রিভিউ লেখিকাঃ জুবাইয়া আক্তার জেরিন ১৯/০৮/২০২২
মিশেলা শারমিন @ September 8, 2022


"এই ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে?" বর্তমানে বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক গ্রুপগুলোতে প্রায়ই দেখা যায় কোন একটা বিষয় বা প্রত্যাহিক জীবনের কোন একটি কাজ নিয়ে এরকম প্রশ্ন তোলা হয়। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিকে সেসব প্রশ্নের "গবেষণালব্ধ ফলাফল" বললে ভুল হবেনা। তবে বলে রাখা ভালো যে, বিজ্ঞানের মানদণ্ডে সুন্নাতকে বিচার করার মত হাস্যকর যুক্তি নিয়ে বইটি মোটেও উপস্থাপিত হয়নি। তাহলে বইটি কি সম্পর্কে? সাধারণভাবে বলতে গেলে এটি লাইফস্টাইল সম্পর্কিত একটি বই। দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যহ কাজগুলো কিভাবে করা প্রয়োজন এই যেমন কিভাবে খাবেন, কিভাবে ঘুমাবেন, কেমন পোশাক শরীরের জন্য উপকারী, এমনকি কিভাবে দাঁত মাজবেন এরকম প্রত্যাহিক কাজ যেগুলাকে আমরা মনে করি ওই আরকি একটা হলেই হল, একভাবে হলেই হল, বইটিতে মূলত এগুলোই আলোচনা করা হয়েছে। এখন আপনার মনে হতে পারে এগুলা আবার বই পড়ে শিখতে হবে নাকি? আর জানিই তো তোমরা বসে পানি খাও, ডান কাতে ঘুমাও, যেকোন ভালো কাজ ডান দিক থেকে শুরু করো, বাথরুমে বাম পা দিয়ে ঢুকো, শীত নাই গরম নাই জুব্বা আলখেল্লা গায়ে দাও, এগুলা আর নতুন কি? আসলেই এসব ১৪০০ বছর পুরনো কথা, পুরোনো তরিকা। তবে আজকাল আবার এই পুরোনো তরিকা নিয়েই সাদা চামড়ার মানুষেরা অনেক রিসার্চ করছে আর "চক্ষুদুটো ছানাবড়া" করা ফলাফল প্রকাশ করছে। মরুভূমির পুরানো তরিকা দেখে আমরা নাক সিঁটকালেও পশ্চিমাদের রিসার্চগুলোর উপর আমাদের ভরসা অনেক বেশি। কারণ স্পষ্ট, ১৯০ বছরের গোলামী মগজের ভিতর থেকে এখনো বের হয়নি যে। একারণেই লেখক পশ্চিমাদের একেকটা রিসার্সের ফলাফল বইটিতে তুলে এনেছেন তাদের প্রথম সারির পত্রিকা, ম্যাগাজিন, বিখ্যাত সব নিউজ চ্যানেলের রেফারেন্স সহ যেমন New York Times, Telegraph, Wall Street Journal, BBC ( ইত্যাদি বইয়ে দ্রষ্টব্য) । লেখকের ভাষায়, "অবিশ্বাসীরা যা ইচ্ছা বলতে পারে। তবে "সুন্নাতের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি" কোন বিশ্বাসীর মুখে মানায় না। কথাটা হবে "বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সুন্নাতের ব্যাখা" বা "মানবজ্ঞানের আলোকে সুন্নাতের ব্যাখা" বা "বিজ্ঞানের সুন্নাতভিত্তিক ব্যাখা"। সুন্নাতের তুলনা চলে পরিণত বৃদ্ধের সঙ্গে, যার মনন পরিপূর্ণ , সিদ্ধান্ত সুপরিপক্ক, যুক্তি পূর্ণাঙ্গ ( কেননা তা মূলত স্বয়ং মহান প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালা থেকে উৎসারিত, এতে সংযোজন-বিয়োজনের কোন অবকাশ নেই) আর বিজ্ঞান হল শিশুর মতো যার এখনো অনেক কিছু দেখা বাকি, যার মনন এখনো গঠন হচ্ছে, সিদ্ধান্ত পরিবর্তনশীল, প্রক্রিয়া চলমান, যুক্তি ইন্দ্রিয়ের সীমায় আবদ্ধ। শিশুকে ভিত্তি করে বৃদ্ধের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা হাস্যকর। বরং বৃদ্ধের সিদ্ধান্তের কতটুকু শিশুর মস্তিষ্কে ধরে সেটা আলোচনার বিষয় হতে পারে। বিজ্ঞানকে দলিল মেনে পবিত্র সুন্নাতকে কাঠগড়ায় তোলা নিঃসন্দেহে ধৃষ্টতা।" যেকোন বিষয়,নিয়ম মেনে চলা একজিনিস আর তা ধারণ করা আরেক জিনিস। আফসোস! আমরা এতই গাফেল যে প্রিয়নবীর সুন্নাত সম্পর্কে জানা স্বত্তেও ভালোবেসে তা ধারণ করতে পারিনা। আর রাসুল (সঃ) এর সুন্নাতকে আকড়ে ধরাই তো তাঁর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের নামান্তর। ডাঃ আমিরুজ্জামান মুহাম্মদ শামসুল আরেফীনের কষ্টিপাথর বইটি কষ্টিপাথরই বটে! কারণ এখানে বিজ্ঞানকে ঘষা হয়েছে সুন্নাতের কষ্টিপাথরে। আর সুন্নাত হল রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সেই তরিকা যার উৎস স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। আর এই সুন্নাত ধারণ ও পালনে পরকালের কল্যাণ তো রয়েছেই তা অজানা নয়, তবে ইহলৌকিক যে কল্যাণ সেগুলোই মূলত ছোট ছোট অধ্যায়ে চমৎকার সব শিরোনামে উঠে এসেছে বইটির পাতায়। পানির যে ইমোশন আছে আর পানি সেটার প্রতিক্রিয়াও দেখায় এরকম আশ্চর্য ঘটনাও যে হতে পারে কে জানত? বিসমিল্লাহ বললে সেই পানির গুনাগুন বৃদ্ধি পেয়ে যায় একথা বলছেন খোদ অমুসলিম গবেষকরাই। দেশবরেণ্য লেখক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে কোলন ক্যান্সার নামক এই মরণঘাতক সম্পর্কে সবাই কমবেশি জানি। আর এই রোগ প্রতিরোধের উপায় রয়েছে আঁশযুক্ত কিছু খাবারে যা Dietary fibre হিসেবে পরিচিত। আজ বিশ্বব্যাপী এই Dietary fibre সুষম খাদ্যের একটা অন্যতম উপাদান অথচ সেই ১৪০০ বছর আগেই "একজনের" খাদ্যতালিকায় এটি জরুরি ছিল। মিছওয়াক নিয়ে একটি সত্য ঘটনার উল্লেখ আছে বইটিতে। আশ্চর্য হয়ে ভেবেছি যে, প্রিয়নবীর (সঃ) এর একটি ছোট সুন্নাতকে ধরে রাখার কারণে আল্লাহ কত বড় বিপদ থেকে তাদের সেদিন উদ্ধার করেছিলেন। এরকম আরও অসংখ্য ছোট ছোট সুন্নাহ বলতে গেলে আমাদের ঘুম ভাঙা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া এমনকি ঘুমানোর তরিকা পর্যন্ত প্রায় দিনের প্রতিটি কাজই লেখক তুলে এনেছেন রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকায়, সাহাবায়ে কেরামের বর্ণিত হাদিস সহ, এবং সেই তরিকাগুলোর পশ্চিমা রিসার্সের প্রাপ্ত ফলাফল সহ। বইটির শেষাংশে লেখক নিজ জবানিতে প্রিয় নবীর শৈশবের হৃদয় আর্দ্র করা এক টুকরো গল্প বলেছেন। দরিদ্র হালিমার গৃহ আসমানি বরকতে অভিসিক্ত হয়ে উঠেছিল এতিম শিশুটিকে কোলে তুলে নেওয়ার সাথেই। আর এদিকে আমরা আমাদের জীবন থেকে নবীকে তাড়াতে পারলে যেন বাঁচি। আর তাইতো কষ্টিপাথর বইটিতে লেখক আমাদের বারবার আহবান করেছেন এই এতিম নবীকে আমাদের জীবনে জায়গা দেবার জন্য। সুন্নাতের কষ্টিপাথর দ্বারা আমাদের সমগ্র জীবন, আমাদের দো-জাহান আলোকিত করার জন্য। ডা.শামসুল আরেফীনের লেখনীর সাথে যারা পরিচিত তারা জানেন যে তার সরল সাবলীল লেখা পড়ার সময় মনে হয় তিনি যেন পাঠকের সাথে গল্প করছেন। আর হাল জামানার সাথে যুৎসই ভাষা ও শব্দচয়নের ব্যবহার বইটিকে আরও উপভোগ্য করেছে। প্রতিটি অধ্যায়ে স্পষ্ট রূপে প্রকাশ পেয়েছে তার চিন্তার বিশুদ্ধতা ও অন্তরের উদারতা। আর বইটিকে আপনি ঠিক কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবেন? গবেষণামূলক একটা বইতে সুন্নাতের তরিকাগুলো গল্পচ্ছলে তুলে ধরেছেন লেখক। আর তার এই শ্রমসাধ্য মেধার ফসল উৎকৃষ্ট রূপেই দেখা দিয়েছে বইটিতে। আরেকটি বিশেষ কথা, এধরণের গবেষণামূলক বইয়ের শরয়ী বিষয়গুলো নিয়ে দ্বিধা থাকা অস্বাভাবিক নয় । তবে বইটির শরয়ী সম্পাদনা করেছেন এমন একজন ব্যক্তি যার নাম দেখার পর আর কোন দ্বিধা থাকার অবকাশ নেই। সন্মানিত লেখক শায়েখ আলী হাসান উসামা হুজুরের হাতে বইটির শরয়ী ও সার্বিক দিক সম্পাদিত হয়েছে। লেখক, সম্পাদক সহ বইটির সাথে জড়িত সকলের কল্যাণকামীতাকে আল্লাহ কবুল করে নিন। আর বইটি মূলত সকল শ্রেনীর মানুষের জন্য উপযোগী। আমরা যারা প্রিয়নবীর সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরতে চাই তাদের জন্য তো বটেই, এছাড়া সকল শ্রেনীর মানুষের জন্য উপযোগী। একটা সুস্থ সুন্দর জীবন তো আমাদের সকলেরই প্রত্যাশা। আর যারা পশ্চিমা তরিকার উপর বিশ্বাসী তারাও বুঝতে পারবে যে, যত গবেষণা যত বিশ্লেষণই করা হবে সবই তার মূলে উৎসে গিয়ে ঠেকবে। ঠেকতে হবেই। বই :কষ্টিপাথর লেখক: ডা. শামসুল আরেফীন পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১৭৬ প্রচ্ছদ: আবুল ফাতাহ মুন্না মুদ্রিত মূল্য ২৪০৳ (পেপারব্যাক) শুদ্ধ প্রকাশনী। রিভিউ লেখক: মিশেলা শারমিন
হাবিবা জান্নাত @ September 8, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২০২২ বই: কষ্টিপাথর লেখক: ড. শামসুল আরেফীন ইট পাথরের তৈরি আকাশছোঁয়া বিশাল বিশাল দালান, পিচ ঢালা কালো রাস্তা, আর ধুলোময় এই শহরে আমরা সবাই কর্মব্যস্ত। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি কাজ। তবে এতো এতো কাজ যদি হয় সুন্নতের আদলে তবে? তবে সারাটা দিন তো কাজময় থেকে আমলময়ে রূপান্তরিত হয়ে গেলো, তাই না? কাঁপা কাঁপা বিশ্বাসী আর অবিশ্বাসী ভাই/বোন দের মনে খুঁতখুঁত করছে? বাপু, ইহকালীন ফায়দাটা? না মানে এই যুগে সুন্নতের ইহকালীন উপকার আছে কি? আরে মশাই এটা নিয়েই তো বইটা লিখা। চক্ষু চড়কগাছ হবে আপনার। কেনো জানেন? বাঘা বাঘা আবিষ্কার দিন শেষে সুন্নতকে সাপোর্ট করে। আরে সাপোর্ট করবে না কেন এগুলো তো সৃষ্টির স্রষ্টা প্র্যাকটিকালি দেখিয়ে দিয়েছেন আমার প্রিয় নবী, শ্রেষ্ঠ মানব, একমাত্র আদর্শ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (স.) কে দিয়ে। সৃষ্টির বিষয়ে স্রষ্টা সবচাইতে ভালো জানবেন এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্বাসের গোড়া যদি হয় নড়বড়ে, তাহলে আর কি করার, চলুন দেখে নিন লেখকের কষ্টিপাথরে ঘষার চমকপ্রদ ফলাফল! তবে এতে কিন্তু খোরাক রয়েছে এককথায় সবার জন্যই। বইটা সবার জন্য ভাবনার খোরাক যোগাবে ইন শা আল্লাহ। আসলে জানেন তো, মাঝে মাঝে খাঁটি সোনাকেও কষ্টিপাথরে ঘষতে হয়, যারা খাটিত্বের ব্যপারে প্রশ্ন তুলে তাদের উচিত জবাব তো দেয়া চাই! লেখক বলেছেন, "পশ্চিমা কাঁটা তুলতে পশ্চিমা কাঁটাই লাগবে। এমন একটা লেখা চাই যাতে থাকবে পশ্চিমের কাছে গ্রহণীয় রেফারেন্স, পশ্চিমের কাছে গ্রহণীয় পশ্চিমের জ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষণ।" তো বইটা আমার কাছে মস্তিষ্ক থেকে পশ্চিমা কাঁটা উপড়ানোর হাতিয়ারই মনে হয়েছে। দূষিত আবহাওয়া থেকে স্রষ্টার দেয়া সুস্থ পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ফেরার উপকারিতা এবং তা সায়েন্সের প্রমাণের ভিত্তিতে। আমাদের মধ্যে যারা সায়েন্স ছাড়া কিছু বুঝি না। সব কিছুতেই সায়েন্সের প্রমাণ লাগবে, তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হয়েছে, বেটা! তোর সায়েন্স ও আমার নবীর সুন্নতের কোলে মাথা রাখছে। সায়েন্স কোনোটা হয়তো আবিষ্কার করতে পেরেছে, কোনটা এখনো পারেনি। সেটা ব্যর্থতা সায়েন্সেরই। পৃথিবীতে কেবল এই একজন মহান ব্যক্তি যার হাঁটা চলা, খাওয়া থেকে শুরু করে সকল কাজ এমনি শৌচকর্মের নিয়মাবলিও সংরক্ষিত রয়েছে। আছে আর কোনো মানবের? এবং সংরক্ষণ করে যুগের পর যুগ আমাদের কাছে পৌঁছাচ্ছেন আমার রব। কিভাবে খেতে হবে, কিভাবে ঘুমাতে হবে, হাঁটতে হবে সকল কাজ তিনি শিখিয়ে দিয়ে গেছেন ১৪০০ বছর আগে। যার সাথে এখনকার বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত "উপকারী কর্মপন্থা" গুলো হাত মেলাচ্ছে। ঠিক সেভাবেই খাওয়া উপকারী যেভাবে রাসূল (স.) খেয়েছেন। সেভাবেই ঘুমানো উপকারী যেভাবে রাসূল (স.) ঘুমিয়েছেন। আর এগুলোকে দেখানো হয়েছে বিজ্ঞানের প্রমাণের ভিত্তিতে, তথাকথিত রোলমডেল অমুসলিম পশ্চিমাদের গবেষণা থেকেই। যদিও অমুসলিম গবেষকদের আবিষ্কার সুন্নতের উপকারিতার দিকোন্মোচিত করছে। লেখক আহ্বান করেছেন মুসলিমদের এ গবেষণা কে ত্বরান্বিত করতে। এই বই এ আমার সব চাইতে পছন্দের অধ্যায়টা হলো- "জীবনের অপর নাম পানি" নামক শিরোনামে পানির crystals এর উপর গবেষণা গুলো। আমার কাছে তো দারুন চমকপ্রদ লেগেছে গবেষণা টা। পানি কিন্তু কর্ম এবং আবেগের সাথে রিয়্যাক্ট করে! কি বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে দেখে নিন পুরো গবেষনাটা। পড়ে ফেলুন বইটি। সুর, বা কথা যেকোনো কিছুতেই নিজের ক্রিস্টালের গঠন পরিবর্তন করে পানি! ভালো বা পজিটিভ কিছুতে সুন্দর সুন্দর সব আকার নেয় ক্রিস্টাল গুলো। যা কিনা নেগেটিভ কথায় বিকৃত হয়ে যায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো কেবল মাত্র কোরআন তিলাওয়াতের শব্দেই এই ক্রিস্টাল গুলো সুষম গঠনে থাকে! সুবহানাল্লাহ! যাইহোক, সবচাইতে ভালোলাগার অধ্যায় বলেই এই অধ্যায় নিয়ে কিছু ইনফরমেশন বলে ফেললাম। পুরো বইটাই এমন চমকপ্রদ সব তথ্যে ভরপুর। বিশ্বাসের গোড়া নড়বড়ে হলে পুনরায় ভাবার খোরাক পাবেন। আর বিশ্বাসী হলেও সুন্নতকে আরো দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরার খোরাক পাবেন ইন শা আল্লাহ। তবে কথা হলো আমরা সুন্নত মানবো, নবীজীর দেখানো পথে চলবো এক্ষেত্রে বিজ্ঞান আমাদের ভরসা নয়। লেখক বইটির শেষ টপিকে বলেছেন এ নিয়ে বিস্তারিত। সাহাবীদের নবীপ্রেম ছিলো উন্মাদের মতো। লেখক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন সাহাবীদের নবীপ্রেমের স্বরূপ। যেমন লেখক উল্লেখ করেছেন: "এমন ছিলো যে, নবীজী যেখানে প্রয়োজন সারার জন্য থেমেছিলেন, তিনিও (উমার রা.) থামতেন, যেখানে বিশ্রাম করেছিলেন তিনিও করতেন। নবীজী যেখানে রাস্তা ছেড়ে সরে গিয়েছিলেন, সেখানে তিনিও সরে যেতেন। এমনকি মক্কার পথে তিনি কখনো সোজাভাবে ঘোড়া চালাতেন না। বলতেন, আমি এঁকেবেঁকে এইজন্য চলি যাতে আমার সওয়ারীর কোনো এক পা সেখানে পড়ে যেখানে নবীজীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সওয়ারীর পা পড়েছিলো।" ক্যান ইউ ইমাজিন, নবীপ্রেম কাকে বলে? ফ্যামিলি, স্ত্রী আর স্ট্যাটাসের ভয়ে দাঁড়ি না রাখা, সমাজের ভ্রুকুটি, ঘরবাড়ির মায়া, ফ্রেন্ড সার্কেলের ভয় এসব এর প্রায়োরিটিতে নবীপ্রেম কতটুকু জায়গা পাচ্ছে? উনাদের (সাহাবিদের) ভালোবাসার লেভেল আর আমাদের ভালোবাসার লেভেল! ভালোবাসার দাবি যৌক্তিক তো? বইটি পড়ে সকল পাঠকদের ভাবনার নতুন নতুন দ্বারোন্মোচন হবে বলে আশা করি। এমনকি পশ্চিমা দের কাছে যারা মস্তিষ্ক বিক্রি করে রেখেছেন তারা আবার ভাবনার সাগরে একবার ডুব দেয়ার সুযোগ পাবেন ইন শা আল্লাহ। বইটির সবশেষে লেখককে আহ্বান করতে দেখা গেছে নবীপ্রেমের। তিনি আকাঙ্ক্ষা রেখেছেন, এমন কেউ আছেন কিনা যারা নবীকে ভালোবেসে, সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে নবীর সুন্নতকে-শাহরায়াকে প্রতষ্ঠা করবেন ব্যক্তিজীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে? যে এতিম নবীকে কোলে নিয়ে হালিমা বর্তে গেলেন, কামায়াব হয়ে গেলেন, যার পরশের আলো পেলো গোটা বিশ্ব, যাকে নিজের থেকে, বাবা মার থেকে গোটা বিশ্বের সব কিছুর থেকে বেশি ভালো না বাসলে সে মুসলিমই হয়ে উঠতে পারবে না, বঞ্চিত হবে সৃষ্টিকর্তার রহমত থেকে সেই নবীকে ভালো না বেসে তুমি কোথায় বেচাইন আর মগ্ন হয়ে আছো? এক কথায় ভালো একটি বই, যা আপনাকে ভাবাবে, আপনার চিন্তা জগতকে শুদ্ধতা দিতে সহায়তা করবে ইন শা আল্লাহ। তো? কষ্টিপাথরে ঘষার চমকপ্রদ ফলাফল গুলো কি দেখতে মন চাইছে না? পড়ে ফেলুন দারুণ এ বইটি ইন শা আল্লাহ। রিভিউ লেখিকা- হাবিবা জান্নাত ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
হাবিবা জান্নাত @ September 8, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২০২২ বই: কষ্টিপাথর লেখক: ড. শামসুল আরেফীন ইট পাথরের তৈরি আকাশছোঁয়া বিশাল বিশাল দালান, পিচ ঢালা কালো রাস্তা, আর ধুলোময় এই শহরে আমরা সবাই কর্মব্যস্ত। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি কাজ। তবে এতো এতো কাজ যদি হয় সুন্নতের আদলে তবে? তবে সারাটা দিন তো কাজময় থেকে আমলময়ে রূপান্তরিত হয়ে গেলো, তাই না? কাঁপা কাঁপা বিশ্বাসী আর অবিশ্বাসী ভাই/বোন দের মনে খুঁতখুঁত করছে? বাপু, ইহকালীন ফায়দাটা? না মানে এই যুগে সুন্নতের ইহকালীন উপকার আছে কি? আরে মশাই এটা নিয়েই তো বইটা লিখা। চক্ষু চড়কগাছ হবে আপনার। কেনো জানেন? বাঘা বাঘা আবিষ্কার দিন শেষে সুন্নতকে সাপোর্ট করে। আরে সাপোর্ট করবে না কেন এগুলো তো সৃষ্টির স্রষ্টা প্র্যাকটিকালি দেখিয়ে দিয়েছেন আমার প্রিয় নবী, শ্রেষ্ঠ মানব, একমাত্র আদর্শ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (স.) কে দিয়ে। সৃষ্টির বিষয়ে স্রষ্টা সবচাইতে ভালো জানবেন এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্বাসের গোড়া যদি হয় নড়বড়ে, তাহলে আর কি করার, চলুন দেখে নিন লেখকের কষ্টিপাথরে ঘষার চমকপ্রদ ফলাফল! তবে এতে কিন্তু খোরাক রয়েছে এককথায় সবার জন্যই। বইটা সবার জন্য ভাবনার খোরাক যোগাবে ইন শা আল্লাহ। আসলে জানেন তো, মাঝে মাঝে খাঁটি সোনাকেও কষ্টিপাথরে ঘষতে হয়, যারা খাটিত্বের ব্যপারে প্রশ্ন তুলে তাদের উচিত জবাব তো দেয়া চাই! লেখক বলেছেন, "পশ্চিমা কাঁটা তুলতে পশ্চিমা কাঁটাই লাগবে। এমন একটা লেখা চাই যাতে থাকবে পশ্চিমের কাছে গ্রহণীয় রেফারেন্স, পশ্চিমের কাছে গ্রহণীয় পশ্চিমের জ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষণ।" তো বইটা আমার কাছে মস্তিষ্ক থেকে পশ্চিমা কাঁটা উপড়ানোর হাতিয়ারই মনে হয়েছে। দূষিত আবহাওয়া থেকে স্রষ্টার দেয়া সুস্থ পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ফেরার উপকারিতা এবং তা সায়েন্সের প্রমাণের ভিত্তিতে। আমাদের মধ্যে যারা সায়েন্স ছাড়া কিছু বুঝি না। সব কিছুতেই সায়েন্সের প্রমাণ লাগবে, তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হয়েছে, বেটা! তোর সায়েন্স ও আমার নবীর সুন্নতের কোলে মাথা রাখছে। সায়েন্স কোনোটা হয়তো আবিষ্কার করতে পেরেছে, কোনটা এখনো পারেনি। সেটা ব্যর্থতা সায়েন্সেরই। পৃথিবীতে কেবল এই একজন মহান ব্যক্তি যার হাঁটা চলা, খাওয়া থেকে শুরু করে সকল কাজ এমনি শৌচকর্মের নিয়মাবলিও সংরক্ষিত রয়েছে। আছে আর কোনো মানবের? এবং সংরক্ষণ করে যুগের পর যুগ আমাদের কাছে পৌঁছাচ্ছেন আমার রব। কিভাবে খেতে হবে, কিভাবে ঘুমাতে হবে, হাঁটতে হবে সকল কাজ তিনি শিখিয়ে দিয়ে গেছেন ১৪০০ বছর আগে। যার সাথে এখনকার বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত "উপকারী কর্মপন্থা" গুলো হাত মেলাচ্ছে। ঠিক সেভাবেই খাওয়া উপকারী যেভাবে রাসূল (স.) খেয়েছেন। সেভাবেই ঘুমানো উপকারী যেভাবে রাসূল (স.) ঘুমিয়েছেন। আর এগুলোকে দেখানো হয়েছে বিজ্ঞানের প্রমাণের ভিত্তিতে, তথাকথিত রোলমডেল অমুসলিম পশ্চিমাদের গবেষণা থেকেই। যদিও অমুসলিম গবেষকদের আবিষ্কার সুন্নতের উপকারিতার দিকোন্মোচিত করছে। লেখক আহ্বান করেছেন মুসলিমদের এ গবেষণা কে ত্বরান্বিত করতে। এই বই এ আমার সব চাইতে পছন্দের অধ্যায়টা হলো- "জীবনের অপর নাম পানি" নামক শিরোনামে পানির crystals এর উপর গবেষণা গুলো। আমার কাছে তো দারুন চমকপ্রদ লেগেছে গবেষণা টা। পানি কিন্তু কর্ম এবং আবেগের সাথে রিয়্যাক্ট করে! কি বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে দেখে নিন পুরো গবেষনাটা। পড়ে ফেলুন বইটি। সুর, বা কথা যেকোনো কিছুতেই নিজের ক্রিস্টালের গঠন পরিবর্তন করে পানি! ভালো বা পজিটিভ কিছুতে সুন্দর সুন্দর সব আকার নেয় ক্রিস্টাল গুলো। যা কিনা নেগেটিভ কথায় বিকৃত হয়ে যায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো কেবল মাত্র কোরআন তিলাওয়াতের শব্দেই এই ক্রিস্টাল গুলো সুষম গঠনে থাকে! সুবহানাল্লাহ! যাইহোক, সবচাইতে ভালোলাগার অধ্যায় বলেই এই অধ্যায় নিয়ে কিছু ইনফরমেশন বলে ফেললাম। পুরো বইটাই এমন চমকপ্রদ সব তথ্যে ভরপুর। বিশ্বাসের গোড়া নড়বড়ে হলে পুনরায় ভাবার খোরাক পাবেন। আর বিশ্বাসী হলেও সুন্নতকে আরো দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরার খোরাক পাবেন ইন শা আল্লাহ। তবে কথা হলো আমরা সুন্নত মানবো, নবীজীর দেখানো পথে চলবো এক্ষেত্রে বিজ্ঞান আমাদের ভরসা নয়। লেখক বইটির শেষ টপিকে বলেছেন এ নিয়ে বিস্তারিত। সাহাবীদের নবীপ্রেম ছিলো উন্মাদের মতো। লেখক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন সাহাবীদের নবীপ্রেমের স্বরূপ। যেমন লেখক উল্লেখ করেছেন: "এমন ছিলো যে, নবীজী যেখানে প্রয়োজন সারার জন্য থেমেছিলেন, তিনিও (উমার রা.) থামতেন, যেখানে বিশ্রাম করেছিলেন তিনিও করতেন। নবীজী যেখানে রাস্তা ছেড়ে সরে গিয়েছিলেন, সেখানে তিনিও সরে যেতেন। এমনকি মক্কার পথে তিনি কখনো সোজাভাবে ঘোড়া চালাতেন না। বলতেন, আমি এঁকেবেঁকে এইজন্য চলি যাতে আমার সওয়ারীর কোনো এক পা সেখানে পড়ে যেখানে নবীজীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সওয়ারীর পা পড়েছিলো।" ক্যান ইউ ইমাজিন, নবীপ্রেম কাকে বলে? ফ্যামিলি, স্ত্রী আর স্ট্যাটাসের ভয়ে দাঁড়ি না রাখা, সমাজের ভ্রুকুটি, ঘরবাড়ির মায়া, ফ্রেন্ড সার্কেলের ভয় এসব এর প্রায়োরিটিতে নবীপ্রেম কতটুকু জায়গা পাচ্ছে? উনাদের (সাহাবিদের) ভালোবাসার লেভেল আর আমাদের ভালোবাসার লেভেল! ভালোবাসার দাবি যৌক্তিক তো? বইটি পড়ে সকল পাঠকদের ভাবনার নতুন নতুন দ্বারোন্মোচন হবে বলে আশা করি। এমনকি পশ্চিমা দের কাছে যারা মস্তিষ্ক বিক্রি করে রেখেছেন তারা আবার ভাবনার সাগরে একবার ডুব দেয়ার সুযোগ পাবেন ইন শা আল্লাহ। বইটির সবশেষে লেখককে আহ্বান করতে দেখা গেছে নবীপ্রেমের। তিনি আকাঙ্ক্ষা রেখেছেন, এমন কেউ আছেন কিনা যারা নবীকে ভালোবেসে, সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে নবীর সুন্নতকে-শাহরায়াকে প্রতষ্ঠা করবেন ব্যক্তিজীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে? যে এতিম নবীকে কোলে নিয়ে হালিমা বর্তে গেলেন, কামায়াব হয়ে গেলেন, যার পরশের আলো পেলো গোটা বিশ্ব, যাকে নিজের থেকে, বাবা মার থেকে গোটা বিশ্বের সব কিছুর থেকে বেশি ভালো না বাসলে সে মুসলিমই হয়ে উঠতে পারবে না, বঞ্চিত হবে সৃষ্টিকর্তার রহমত থেকে সেই নবীকে ভালো না বেসে তুমি কোথায় বেচাইন আর মগ্ন হয়ে আছো? এক কথায় ভালো একটি বই, যা আপনাকে ভাবাবে, আপনার চিন্তা জগতকে শুদ্ধতা দিতে সহায়তা করবে ইন শা আল্লাহ। তো? কষ্টিপাথরে ঘষার চমকপ্রদ ফলাফল গুলো কি দেখতে মন চাইছে না? পড়ে ফেলুন দারুণ এ বইটি ইন শা আল্লাহ। রিভিউ লেখিকা- হাবিবা জান্নাত ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
হাবিবা জান্নাত @ September 8, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২০২২ বই: কষ্টিপাথর লেখক: ড. শামসুল আরেফীন ইট পাথরের তৈরি আকাশছোঁয়া বিশাল বিশাল দালান, পিচ ঢালা কালো রাস্তা, আর ধুলোময় এই শহরে আমরা সবাই কর্মব্যস্ত। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি কাজ। তবে এতো এতো কাজ যদি হয় সুন্নতের আদলে তবে? তবে সারাটা দিন তো কাজময় থেকে আমলময়ে রূপান্তরিত হয়ে গেলো, তাই না? কাঁপা কাঁপা বিশ্বাসী আর অবিশ্বাসী ভাই/বোন দের মনে খুঁতখুঁত করছে? বাপু, ইহকালীন ফায়দাটা? না মানে এই যুগে সুন্নতের ইহকালীন উপকার আছে কি? আরে মশাই এটা নিয়েই তো বইটা লিখা। চক্ষু চড়কগাছ হবে আপনার। কেনো জানেন? বাঘা বাঘা আবিষ্কার দিন শেষে সুন্নতকে সাপোর্ট করে। আরে সাপোর্ট করবে না কেন এগুলো তো সৃষ্টির স্রষ্টা প্র্যাকটিকালি দেখিয়ে দিয়েছেন আমার প্রিয় নবী, শ্রেষ্ঠ মানব, একমাত্র আদর্শ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (স.) কে দিয়ে। সৃষ্টির বিষয়ে স্রষ্টা সবচাইতে ভালো জানবেন এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু বিশ্বাসের গোড়া যদি হয় নড়বড়ে, তাহলে আর কি করার, চলুন দেখে নিন লেখকের কষ্টিপাথরে ঘষার চমকপ্রদ ফলাফল! তবে এতে কিন্তু খোরাক রয়েছে এককথায় সবার জন্যই। বইটা সবার জন্য ভাবনার খোরাক যোগাবে ইন শা আল্লাহ। আসলে জানেন তো, মাঝে মাঝে খাঁটি সোনাকেও কষ্টিপাথরে ঘষতে হয়, যারা খাটিত্বের ব্যপারে প্রশ্ন তুলে তাদের উচিত জবাব তো দেয়া চাই! লেখক বলেছেন, "পশ্চিমা কাঁটা তুলতে পশ্চিমা কাঁটাই লাগবে। এমন একটা লেখা চাই যাতে থাকবে পশ্চিমের কাছে গ্রহণীয় রেফারেন্স, পশ্চিমের কাছে গ্রহণীয় পশ্চিমের জ্ঞানের আলোকে বিশ্লেষণ।" তো বইটা আমার কাছে মস্তিষ্ক থেকে পশ্চিমা কাঁটা উপড়ানোর হাতিয়ারই মনে হয়েছে। দূষিত আবহাওয়া থেকে স্রষ্টার দেয়া সুস্থ পরিচ্ছন্ন পরিবেশে ফেরার উপকারিতা এবং তা সায়েন্সের প্রমাণের ভিত্তিতে। আমাদের মধ্যে যারা সায়েন্স ছাড়া কিছু বুঝি না। সব কিছুতেই সায়েন্সের প্রমাণ লাগবে, তাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো হয়েছে, বেটা! তোর সায়েন্স ও আমার নবীর সুন্নতের কোলে মাথা রাখছে। সায়েন্স কোনোটা হয়তো আবিষ্কার করতে পেরেছে, কোনটা এখনো পারেনি। সেটা ব্যর্থতা সায়েন্সেরই। পৃথিবীতে কেবল এই একজন মহান ব্যক্তি যার হাঁটা চলা, খাওয়া থেকে শুরু করে সকল কাজ এমনি শৌচকর্মের নিয়মাবলিও সংরক্ষিত রয়েছে। আছে আর কোনো মানবের? এবং সংরক্ষণ করে যুগের পর যুগ আমাদের কাছে পৌঁছাচ্ছেন আমার রব। কিভাবে খেতে হবে, কিভাবে ঘুমাতে হবে, হাঁটতে হবে সকল কাজ তিনি শিখিয়ে দিয়ে গেছেন ১৪০০ বছর আগে। যার সাথে এখনকার বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত "উপকারী কর্মপন্থা" গুলো হাত মেলাচ্ছে। ঠিক সেভাবেই খাওয়া উপকারী যেভাবে রাসূল (স.) খেয়েছেন। সেভাবেই ঘুমানো উপকারী যেভাবে রাসূল (স.) ঘুমিয়েছেন। আর এগুলোকে দেখানো হয়েছে বিজ্ঞানের প্রমাণের ভিত্তিতে, তথাকথিত রোলমডেল অমুসলিম পশ্চিমাদের গবেষণা থেকেই। যদিও অমুসলিম গবেষকদের আবিষ্কার সুন্নতের উপকারিতার দিকোন্মোচিত করছে। লেখক আহ্বান করেছেন মুসলিমদের এ গবেষণা কে ত্বরান্বিত করতে। এই বই এ আমার সব চাইতে পছন্দের অধ্যায়টা হলো- "জীবনের অপর নাম পানি" নামক শিরোনামে পানির crystals এর উপর গবেষণা গুলো। আমার কাছে তো দারুন চমকপ্রদ লেগেছে গবেষণা টা। পানি কিন্তু কর্ম এবং আবেগের সাথে রিয়্যাক্ট করে! কি বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে দেখে নিন পুরো গবেষনাটা। পড়ে ফেলুন বইটি। সুর, বা কথা যেকোনো কিছুতেই নিজের ক্রিস্টালের গঠন পরিবর্তন করে পানি! ভালো বা পজিটিভ কিছুতে সুন্দর সুন্দর সব আকার নেয় ক্রিস্টাল গুলো। যা কিনা নেগেটিভ কথায় বিকৃত হয়ে যায়। আশ্চর্যের বিষয় হলো কেবল মাত্র কোরআন তিলাওয়াতের শব্দেই এই ক্রিস্টাল গুলো সুষম গঠনে থাকে! সুবহানাল্লাহ! যাইহোক, সবচাইতে ভালোলাগার অধ্যায় বলেই এই অধ্যায় নিয়ে কিছু ইনফরমেশন বলে ফেললাম। পুরো বইটাই এমন চমকপ্রদ সব তথ্যে ভরপুর। বিশ্বাসের গোড়া নড়বড়ে হলে পুনরায় ভাবার খোরাক পাবেন। আর বিশ্বাসী হলেও সুন্নতকে আরো দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরার খোরাক পাবেন ইন শা আল্লাহ। তবে কথা হলো আমরা সুন্নত মানবো, নবীজীর দেখানো পথে চলবো এক্ষেত্রে বিজ্ঞান আমাদের ভরসা নয়। লেখক বইটির শেষ টপিকে বলেছেন এ নিয়ে বিস্তারিত। সাহাবীদের নবীপ্রেম ছিলো উন্মাদের মতো। লেখক তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন সাহাবীদের নবীপ্রেমের স্বরূপ। যেমন লেখক উল্লেখ করেছেন: "এমন ছিলো যে, নবীজী যেখানে প্রয়োজন সারার জন্য থেমেছিলেন, তিনিও (উমার রা.) থামতেন, যেখানে বিশ্রাম করেছিলেন তিনিও করতেন। নবীজী যেখানে রাস্তা ছেড়ে সরে গিয়েছিলেন, সেখানে তিনিও সরে যেতেন। এমনকি মক্কার পথে তিনি কখনো সোজাভাবে ঘোড়া চালাতেন না। বলতেন, আমি এঁকেবেঁকে এইজন্য চলি যাতে আমার সওয়ারীর কোনো এক পা সেখানে পড়ে যেখানে নবীজীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সওয়ারীর পা পড়েছিলো।" ক্যান ইউ ইমাজিন, নবীপ্রেম কাকে বলে? ফ্যামিলি, স্ত্রী আর স্ট্যাটাসের ভয়ে দাঁড়ি না রাখা, সমাজের ভ্রুকুটি, ঘরবাড়ির মায়া, ফ্রেন্ড সার্কেলের ভয় এসব এর প্রায়োরিটিতে নবীপ্রেম কতটুকু জায়গা পাচ্ছে? উনাদের (সাহাবিদের) ভালোবাসার লেভেল আর আমাদের ভালোবাসার লেভেল! ভালোবাসার দাবি যৌক্তিক তো? বইটি পড়ে সকল পাঠকদের ভাবনার নতুন নতুন দ্বারোন্মোচন হবে বলে আশা করি। এমনকি পশ্চিমা দের কাছে যারা মস্তিষ্ক বিক্রি করে রেখেছেন তারা আবার ভাবনার সাগরে একবার ডুব দেয়ার সুযোগ পাবেন ইন শা আল্লাহ। বইটির সবশেষে লেখককে আহ্বান করতে দেখা গেছে নবীপ্রেমের। তিনি আকাঙ্ক্ষা রেখেছেন, এমন কেউ আছেন কিনা যারা নবীকে ভালোবেসে, সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে নবীর সুন্নতকে-শাহরায়াকে প্রতষ্ঠা করবেন ব্যক্তিজীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক জীবনে এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে? যে এতিম নবীকে কোলে নিয়ে হালিমা বর্তে গেলেন, কামায়াব হয়ে গেলেন, যার পরশের আলো পেলো গোটা বিশ্ব, যাকে নিজের থেকে, বাবা মার থেকে গোটা বিশ্বের সব কিছুর থেকে বেশি ভালো না বাসলে সে মুসলিমই হয়ে উঠতে পারবে না, বঞ্চিত হবে সৃষ্টিকর্তার রহমত থেকে সেই নবীকে ভালো না বেসে তুমি কোথায় বেচাইন আর মগ্ন হয়ে আছো? এক কথায় ভালো একটি বই, যা আপনাকে ভাবাবে, আপনার চিন্তা জগতকে শুদ্ধতা দিতে সহায়তা করবে ইন শা আল্লাহ। তো? কষ্টিপাথরে ঘষার চমকপ্রদ ফলাফল গুলো কি দেখতে মন চাইছে না? পড়ে ফেলুন দারুণ এ বইটি ইন শা আল্লাহ। রিভিউ লেখিকা- হাবিবা জান্নাত ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
Md Easin Arafat @ September 8, 2022


মাকতাবাতুল_আজহার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২০২২ কষ্টিপাথর লেখকঃ ডা.শামসুল আরেফিন রিভিউ লেখকঃ মো.ইয়াসিন আরাফাত ছোট থাকতে প্রথমবার যখন ৩ দিনের জামায়তে যাই তখন শুনি, "সুন্নতেই সুখ-শান্তি, সফলতা-কামিয়াবি, দুনিয়া ও আখিরাতে।" কথাটা প্রথমবার মাথার উপর দিয়ে যায়। আরে ভাই আখিরাতে কামিয়াবি তো ঠিক আছে। কিন্তু দুনিয়ায় কি লাভ? দুনিয়ায় লাভ হলে আবার সবাই সুন্নত ছেড়ে কথিত স্মার্ট ওয়েস্টার্ন ফলো করে কেনো? আলহামদুলিল্লাহ, মোটামুটি যতটা পারি সুন্নত মানার চেষ্টা করি। তবে মাঝে মাঝেই কিছু সুন্নত নিয়ে বন্ধু সমানে কথা উঠলে কিংবা বিভিন্ন বিভ্রান্তকর আর্টিকেল দেখলে মনের মাঝে একপ্রকার খচ খচ সৃষ্টি হতো। অনেক কটুক্তিও শুনতে হয়, বিশেষ করে আত্মীয়দের কাছে। তারপরও সুন্নত মানতে চাই কারন আমার নবি(স.) যে কাজ টা করেছেন সেটা তো বিনা প্রশ্নে পালন করাই আমার কর্তব্য। তারপরও এই খচখচানি, প্রশ্ন কিন্তু বিশ্বাস কে অনেকটাই নড়বড়ে করে দেয়। পরিনাম বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় হঠাৎ সুন্নত ছেড়ে আগের মত হয়ে যাওয়া। আমার নিজ দেখা এক দ্বীনি ভাই। মুখভর্তি দাড়ি ছিলো নিয়মিত নামাজ পড়তো। হঠাৎ একদিন সকালে দেখি ক্লিন শেভ, থ্রি-কোয়াটার প্যান্ট পরে রাস্তায় বের হলো। অনেক কষ্ট লাগলো তার জন্য। তার সাথে পরিচয় না থাকার পরেও কেনো যেনো ভালো লাগতো, সেই ভালোলাগা টা আর কাজ করছে না। বন্ধু সমাজে প্রশ্নের উত্তর দিতে, আত্মীয় যারা খোচা মেরে কথা বলে কিংবা নিজের মনের খচখচানিটা দূর করতে ভালো কোনো উত্তর দরকার ছিলো। অবশেষে খোজ পাই সেই কষ্টিপাথরের যা দিয়ে মনের খাদ নিখুঁতভাবে পরখ করে দূর করা যাবে। ডা. শামসুল আরেফিনের লেখা 'কষ্টিপাথর' যেনো একখানা বিশেষ রত্ন। বইটা আনার পর দ্রুত পড়তে শুরু করি। প্রতিটি পৃষ্ঠা আমার ধরে রাখে পরবর্তী পৃষ্ঠায় কি আছে দেখার জন্য। কিন্তু হঠাৎ করেই মনে অজানা ভয় কাজ শুরু করে। যদি সকল সুন্নতের সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা পেয়ে সুন্নত কে নবির ভালোবাসায় না পালন করে পার্থিব ফায়দার জন্য পালন করি। তাহলে সবই তো বৃথা। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা মনের মাঝে সুন্দর এক চিন্তার খোরাক দিলেন। আমি তো পালন করছি, কিন্তু আমার ওইসব বন্ধু, ওইসব ভাই, ওইসব প্র‍্যাক্টিসিং মুসলিম যাদের মনের মাঝে আছে আমার মত খচখচানি তাদের জন্য চিন্তা হয়। আমাকে প্রায় সময় বলা হয় গরমে পাব্জাবি পড়ার কি দরকার? মাঝে মাঝে টুপি না পরলে কি সমস্যা? এমুক জিনিসটা কিভাবে সুন্নত হলো, এটা তো দেখতে ওমন লাগে,ওমুক সুন্নত টা সুন্দর না, মাঝে মাঝে না করলেও হয়, গুনাহ তো আর হবে না। >>গরমে মোটা কাপড়ের ফুল হাতা পাব্জাবি কিভাবে গরম থেকে রক্ষা করে, পাশাপাশি স্কিন ক্যান্সার থেকে বাচায়। >>রাওডি গোফ রাখবো না নিজে ও নিজের পরিবার ভালো থাকবো। >>অল্প খেয়ে সুন্নত মানবো নাকি অসুখে ভরা ভুড়িওয়ালা পেট বানাবো। >>ফিটিং পোশাক পড়ে স্টাইলিশ হয়ে নিজের পায়ে কুড়োল মারবো নাকি নবির সুন্নত মেনে শান্তিতে থাকবো। এমন বহু প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত আমরা আজ ছেড়ে দিচ্ছি স্রেফ ট্রেন্ড মানতে গিয়ে। বন্ধু সমাজে নিজেকে আধুনিক হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করতে গিয়ে নবীর সুপারিশের হকদাও হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি দুনিয়ার জীবনেও নিয়ে আসছি শারিরীক ও মানসিক অসুস্থতা। কিন্তু এসব কি আজ আমাদের মাঝেয় ঢোকে? আমাদের মস্তিষ্ক তো পশ্চিমা নর্দমার আবর্জনায় ভরা। এসব আবর্জনা দূর করতেই আল্লাহ তায়ালা ডা.শামসুল আরেফিন কে দিয়ে আমাদের কাছে উপহার পাঠালেন 'কষ্টিপাথর'। বইটা পড়লে সুস্থ মস্তিষ্কের যে কেউ সুন্নত কে নতুন করে পালন করার আগ্রহ পাবেন ইন শা আল্লাহ। এখন বুঝি ও আলহামদুলিল্লাহ বুঝাতে সক্ষম হই যে নবি(স.) কোনো কিছু বিনা প্রয়োজনে করেননি। আল্লাহই তো তাকে দিয়ে করিয়েছেন সারা জাহানের শিক্ষার জন্য। তিনি যেটা করেছেন করার আদেশ দিয়েছেন সব কিছুর পিছনে লুকানো আছে এক বিশাল সায়েন্স, যা কিনা তৈরি করেছেন সায়েন্সের স্রষ্টা মহান আল্লাহ তায়ালা। আমার আপাতত দৃষ্টিতে অনেক কিছুই প্রয়োজনহীন হতে পারে। কিন্তু আল্লাহ তো জানেন বর্তমান ভবিষ্যতে আমার জন্য উপকারী কোনটা। তিনিই তো উত্তম পরিকল্পনাকারী। বিজ্ঞান যা প্রমান করতে পারে তা তাদের সফলতা, যা কিনা দান করেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। বিজ্ঞান যা পারে নি তা তাদের ব্যার্থতা, তবে কুরআন সুন্নাহ সবসময়ই সফল। আমার বুঝে আসলে তা আল্লাহর নেয়ামত। বুঝে না আসলে আল্লাহর কাছে সেই নেয়ামতের জন্য দোয়া করা চাই। এখনও কোনো সুন্নতের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠলে প্রথমেই মাথায় আসে নবী(স.) যেহেতু করেছেন নিশ্চয়ই এতে আমাদের উপকার। উপকার টা খুজে পেলে সেটা সৌভাগ্য আমাদের না পেলে ব্যার্থতা। তবে নবী(স.) কাজটা করেছেন মানে এখানে আমাদেরই লাভ আছে। বিনাপ্রশ্নে এটা আমাকে মানতেই হবে। এবং নবীর ভালোবাসার প্রমান দিতে হবে। সর্বশেষে বলতে হয় 'কষ্টিপাথর' বই খানা আসলেই কষ্টিপাথর যা দিয়ে অনুধাবন করা যায় আল্লাহর অনুগ্রহ। অনুধাবন হয় সুন্নতের বিশালতা। আগ্রহ তৈরি হয় ছোট-বড় সব সুন্নত পালনের। সুন্নত পালন করবো নবির ভালোবাসায়, আখিরাত লাভের আশায়। সাথে দুনিয়া ফ্রী ইন শা আল্লাহ। "এখানেই তো দুনিয়া-আখিরাতে সফলতা ও কামিয়াবি।"
ফয়সাল আদিব @ September 9, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগিতা_২০২২ কষ্টিপাথরের ছোঁয়ায় ভেজাল ধাতু যেমন খাঁটি সোনায় পরিণত হয় তেমনি নবিজি (ﷺ) এর সুন্নতের এমন এক ঐশি শক্তি রয়েছে যা অপবিত্র অন্তরকে পবিত্র করতে পারে,নিস্তেজ শরীরকে জাগিয়ে তুলতে পারে,জরাজীর্ণ চিন্তাকে ঝালাই করতে পারে।নবিজী (ﷺ) ️এর আদর্শে উজ্জীবিত সাহাবী রাযিয়াল্লাহু আনহুমগণের প্রজন্ম এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে ইতিহাসে! মানুষ যত উন্নত হয়,সভ্যতা যত অগ্রসর হয় ততই নতুন নতুন চিন্তাচেতনাকে আয়ত্ত করে,পুরোনো ধ্যানধারণা ও বিশ্বাসকে ঝেটিয়ে বিদায় দেয়।কেবলমাত্র নবিজী (ﷺ)️ এর সুন্নতই এর ব্যতিক্রম।বিজ্ঞানের যতই অগ্রগতি হয়েছে, জ্ঞান-বিজ্ঞানে পৃথিবী যতই অগ্রসর হয়েছে নবিজী ️(ﷺ) এর সুন্নতের গুরুত্ব ততই দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।যেন হাজার বছর আগে জন্ম নেয়া কোন মানবের আদর্শ নয় বরং ‘হাজার বছর পর’ জন্ম নিবেন এমন এক উন্নত মানসিকতা ও আধুনিক সভ্যতা বিনির্মাণের কোন মহানায়কের আদর্শ; যা আমরা আগেভাগেই আয়ত্ত করে ফেলেছি। আপাত দৃষ্টিতে কোন একটা সুন্নতের কল্যাণকর দিক আমাদের বুঝে আসুক কিংবা না আসুক নবিজী (ﷺ)️ এর কোন সুন্নতই ফেলনা নয়।বসা,খাওয়া,ঘুম,ব্যবসা,রোগশোকের প্রতিরোধ ও প্রতিকার এমন কোন বিষয় নেই যেটাতে নবিজী (ﷺ)️ সুন্নত পদ্ধতি শিখিয়ে যান নি আর এমন কোন সুন্নতও নেই যার কার্যকারিতা বিজ্ঞান স্বীকার করেনি।এসব যুগেযুগে হতবাক করেছে অমুসলিমদের আর ঈমান বাড়িয়েছে মুসলিমদের।সত্যান্বেষী অবিশ্বাসীরা ত সুন্নতের এই কারিশমা দেখেই ঈমান এনেছেন, আর যারা ঈমান আনেন নি তারা হয়ত এসব বিষয়ে অজ্ঞই থেকে গেছেন নয়ত বিজ্ঞানের সাথে কাকতালীয় মিল বলে এড়িয়ে গিয়েছেন! সে যাই হোক,বর্তমানে বস্তুবাদের চাকচিক্যের এই যুগে জরাজীর্ণ ঈমানকে আরেকবার জাগিয়ে তুলতে চাইলে,ধরণীর শ্রেষ্ঠ মানবের প্রেমসাগরে নিজেকে হারাতে চাইলে অবশ্যই বইটা পড়া উচিত।বইটা পড়লে যেকারোরই বুঝতে বাকি থাকবে না কেন হাজার বছর আগে জন্ম নেয়া মানুষটি আজকের যুগেও এত প্রাসঙ্গিক, কেন তাঁর রেখে যাওয়া চরিত্র আধুনিক যুগেও মানানসই।বৈজ্ঞানিক গবেষণা ছাড়াই দিয়ে গেছেন যিঁনি বিজ্ঞানের শিক্ষা,দর্শনের বই পাঠ ব্যতীত যিঁনি রেখে গেছেন উন্নত দর্শন,চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন ছাড়াই যিঁনি বাতলে গিয়েছেন সুস্হ-সুন্দর জীবন-যাপনের কার্যকরী উপায় ও পদ্ধতি।পাঠক আরও বুঝতে পারবেন মাত্র ৬৩ বছরের হায়াতে যে মানুষটি একাই এতকিছু শিখিয়ে গিয়েছেন আজ হাজার বছর পর এত এত গবেষণা, তথ্যউপাত্ত ও হাজার হাজার বিজ্ঞানী,চিকিৎসক, গবেষকের গবেষণা একত্র করেও সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে নাই,ভবিষ্যৎ এও হয়ত পারবে না।এটাই আল্লাহর অস্তিত্ব,ইসলামের সত্যতা ও নবিজী (ﷺ) এর নবুওয়তের জলজ্যান্ত প্রমাণ। বইঃ কষ্টিপাথর লেখকঃ ডা. শামসুল আরেফিন শক্তি প্রকাশনীঃ মাকতাবাতুল আযহার বিষয়ঃ ইসলামি আদর্শ ও মতবাদ মু্দ্রিত মূল্যঃ ৩৬০৳ রিভিউঃ ফয়সাল আদিব

আপনার মতামত ও রেটিং