আই লাভ ইউ


লেখক: মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ

বিষয়: গল্প-উপন্যাস / রচনা

2 রেটিং / 2 টি মতামত
মূল্য: Tk. 260.0  Tk. 130.0   (50.0% ছাড়)

 

বইয়ের নাম আই লাভ ইউ
লেখক মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ
প্রকাশনী Maktabatul Azhar - مكتبة الأزهر - মাকতাবাতুল আযহার
সংস্করণ 3 2017
পৃষ্ঠা সংখ্যা 128
ভাষা

মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ


এই বিষয়ের আরো বই

পাঠকের মতামত ও রেটিং

Anas Ahmed Mahfuz @ September 8, 2022


বইঃ আই লাভ ইউ (জীবন জাগার গল্প-১৪) লেখকঃ শায়খ মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ প্রকাশনাঃ মাকতাবাতুল আযহার শায়খ মুহাম্মদ আতীক উল্লাহ সাহেবের লেখালেখির সাথে আমার পরিচয় আই লাভ ইউ বই টার মাধ্যমে। এই বইটা পড়ার সাথে সাথেই উনার লেখার প্রেমে পড়ে গেছি। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা তার হায়াতে ও লেখনীতে বারাকাহ দান করুন। ✒ "আই লাভ ইউ" নামটা শুনলেই হয়তো একটা প্রেম কাহিনীর দৃশ্যপট ভেসে উঠে যে দুটো ছেলে মেয়ের মাঝে প্রেম/মোবাইল ফোনে ভাব-আদান প্রদান, লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতে যাওয়া, পার্ক, রেস্টুরেন্টে যাওয়া ইত্যাদি। আসলে বর্তমান জামানায় আমাদের মাইন্ড সেটাপ এমন ভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে যে, হারাম কোনো কিছুর বাইরে যেনো ভাবতেই পারিনা। ভালোবাসার আদান প্রদান কি শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ? স্বামী-স্ত্রীর হালাল সম্পর্কে কি ভালোবাসা থাকেনা? ভালোবাসা কি শুধু যৌবন কালের জন্যই? বৃদ্ধ হয়ে গেলে কি নিজের স্ত্রীকে/স্বামী কে ভালোবাসা যায়না? স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মান-অভিমান/খুনসুটি থাকেনা? ✒ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর একটি সম্পর্ক। এটি জান্নাতি সম্পর্ক। কিন্তু এই সম্পর্ক গুলো আজ ঠুনকো হয়ে গিয়েছে। কারণে অকারণে এই হালাল সম্পর্কগুলো আজ ভেঙে যাচ্ছে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ তালাক মিশে গেছে। সংসারের ছোট থেকে ছোট ঝামেলা কে কেন্দ্র করেও বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে। সাংসারিক ব্যাপারে ৩য় ব্যক্তির হস্তক্ষেপ ও এর অন্যতম কারণ। আমাদের স্বভাব এমন যে কারোর মাঝে যদি হাজার টা গুণ থাকার পরেও মাত্র একটি দোষের নিচে সেই গুণগুলো চাপা পড়ে যায়। তখন শুধু তার দোষের কথাই মনে পড়ে। এ সময়ে তার গুণগুলো ভুলে গিয়ে রাগের মাথায় অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। যার জন্য পরবর্তী জীবনে আমাদেরকে সেই ভুলের মাশুল দিতে হয়। তালাক দিয়ে তারপর এর সমাধান খুঁজি, বলি যে রাগের মাথায় তালাক দিয়ে ফেলছি। আরে ভাই তালাক তো মানুষ রেগে গিয়েই দেয়, কেও কি স্ত্রীকে ভালোবাসার কথা বলার সময় তালাক দেয়? ✒ তালাক দেওয়ার পর স্ত্রীর সাথে আমার বিধান কি? বা তালাক দেওয়ার পরে তাকে আর কোনোভাবে ফিরিয়ে আনা যাবে কিনা এই পদ্ধতি কি জানি? ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে আমাদের সমাজে অনেক স্থানে হিল্লা বিয়ে প্রচলিত রয়েছে। আসলে এই হিল্লা বিয়ের শরীয়াহ বিধান কি? কিংবা হিল্লা বিয়ের কোনো স্থান শরীয়াহতে আদৌ রয়েছে কিনা তা অনেকেই জানিনা। যে কারণে আমরা অনেকেই নিজের অজ্ঞাতে জিনাকারী হয়ে পড়ি। সমাজে হিল্লা বিয়ে নামে যে বিয়ে প্রচলিত আছে ইসলাম এই বিয়ে কে সমর্থন করেনা। ✒ আমি যেমন আমার স্ত্রীকে পরিপাটি,পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন চাই আমার স্ত্রীর ও কি ঠিক তেমন চাওয়া থাকতে পারেনা? আমি আমার স্ত্রীকে আমি যেমন পরিপাটি চাই, আমার স্ত্রীও আমাকে তেমন পরিপাটি চান। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, স্ত্রী পরিপাটি রয়েছে, তবে স্বামী নিজেকে তার স্ত্রীর সামনে অপরিপাটি/অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় রাখে, ফলে তাদের মাঝে তৈরি হয় দূরত্ব যে দূরত্বের কারণে এক সময় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। যার ফলে সন্তান পিতৃস্নেহ ও মাতৃ ছায়া থেকে বঞ্চিত হয়। সামান্য একটা ভুলের কারণে সন্তানের জীবন টা নষ্ট হয়ে যায়। ✒ বইটার প্রতিটা গল্পেই লেখক পাঠকদের জন্য একেকটি শিক্ষা তুলে ধরেছেন। গল্প পড়ার সাথে সাথে আপনার পরের ঘটনা টি জানার আগ্রহ বেড়ে যাবে। প্রথম দিকের গল্পগুলো আপনাকে হাসাবে। শেষের দিকের গল্পগুলো আপনাকে গভীরভাবে চিন্তা করতে শেখাবে। 'আই লাভ ইউ' গল্প টা পড়ে বুঝতে পারবেন ভালোবাসা শুধু নির্দিষ্ট একটা বয়সেই থাকেনা। বয়স্ক হয়ে যাওয়ার পর ও নিজ স্ত্রীকে/ নিজ স্বামীকে ভালোবাসার কথা বলা যায়। স্বামী যখন কাজে থাকে তার জন্য নাশতা পাঠিয়ে দেওয়া, টিফিন কারির বাটিতে একটা চিরকুটে আই লাভ ইউ লিখে পাঠানো। দুইজনের ভালোবাসায় কমতি না থাকা এইসব এই গল্পে উপস্থাপন হয়েছে। ✒ আই লাভ ইউ বইটাতে আপনি পাবেন না কোনো সুড়সুড়ি মার্কা কথা, পাবেন না কোনো রমরমা যৌনতার গল্প। পাবেন জীবন গড়ার মতোন কিছু উপদেশ, যা আপনার হালাল দাম্পত্য জীবনকে সুখময় করে তুলবে ইনশা আল্লাহ। স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ফেললে তার পরবর্তী পদক্ষেপ কি, তাকে কি আর ফিরিয়ে আনার কোনো ব্যবস্থা রয়েছে কিনা তার শরয়ী সমাধান বইটাতে উল্লেখ আছে। হিল্লা বিয়ের মতোন কুসংস্কারের বিরুদ্ধেও এই বইয়ে আলোচনা রয়েছে। ✒ বইটি পড়ার সময় চোখ পড়ে ছিল বইয়ে জীবন জাগার গল্প লেখার জায়গাটিতে। প্রথমে যদিও বুঝতে পারিনি কেন এই নাম? তবে বইটি পড়ার পর ঠিক ই বুঝতে পেরেছি। তার বইয়ের প্রতিটি গল্প সত্যিই জীবনকে জাগানোর মতোন। যে জীবন গড়ে উঠবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নববী আদর্শের আলোকে। যে জীবনে হারাম কোনো কিছুর স্থান থাকবেনা। থাকবেনা ঠুনকো কোনো কারণে সম্পর্ক বিচ্ছেদের মতোন ঘটনা। লেখক তার বইটাতে অতি দরদের সাথে গল্পগুলো উপস্থাপন করেছেন।
সাওদা সিদ্দিকা নূর @ September 8, 2022


#মাকতাবাতুল_আযহার_রিভিউ_প্রতিযোগীতা_২০২২ • বই: আই লাভ ইউ • রিভিউয়ার: সাওদা সিদ্দিকা নূর . আমাদের চারপাশে যতটা না সংসার বুননের গল্প, তার থেকে বেশি বিচ্ছেদের গান। আজকাল ছেলেদের নিকট বিয়ে মানেই স্বেচ্ছায় জাহান্নামে লাফ দেয়া, আর মেয়েদের নিকট টর্চার সেলে বন্দী হওয়া। তরুণদের মাঝে তো দাম্পত্য জীবন নিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এখন একটা ট্রেন্ডে পরিণত হয়ে গিয়েছে। অথচ বিয়ের শত বর্ষ পরেও জীবনসঙ্গীর ঘোলাটে চোখের মায়ায় মোহাচ্ছন্ন হয়ে জীবনের সবটুকু বিসর্জন দেয়া যায়, ভালোবাসার ভেলায় ভেসে পাড়ি দেয়া যায় অর্ধ জনম; পরস্পরের কুঁচকানো হাতে হাত রেখে কাটানো যায় বিনিদ্র রজনী। তরুণদেরকে দাম্পত্য জীবনের এই জোনাই রঙা স্নিগ্ধ অনুভূতির আবেশে জড়ানোর উদ্দেশ্যেই লেখক মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহর ‘জীবন জাগার গল্প’ সিরিজের ১৪তম সংযোজন ‘আই লাউ ইউ’। বইয়ের নামটা যেমন চমৎকার তেমনি কৌতূহলোদ্দীপক। তো অপেক্ষা কীসের? চলুন, কৌতূহলোদ্দীপক বইয়ের ভেতর থেকে একটা ডুব দিয়ে আসি। . • বইয়ের নাম: আই লাভ ইউ • লেখক: মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ • প্রকাশনায়: মাকতাবাতুল আযহার • পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২৮ • মুদ্রিত মূল্য: ২৬০/- . • পাঠ অভ্যন্তরে: নিছক কোনো গল্পের বইয়ের ছকে বন্দি করা যাবে না ‘আই লাভ ইউ’-কে। কারণ এই বই শুধুমাত্র গল্প বলেনি, গল্প বলা শিখিয়েছে; দিয়েছে দাম্পত্য জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা। এককথায় একটা মধুর ও পবিত্র দাম্পত্য জীবনের জাদুকরী টোটকা এই বই। কৌতূহলোউদ্দীপক জাদুকরী টোটকায় লেখক দাম্পত্য জীবন নিয়ে মোট তেরোটি গল্প বন্দী করেছেন। সব গল্পেই ছিলো জীবনের বহুমাত্রিক রূপ, রস, গন্ধ; দাম্পত্যের মিষ্টিমধুর ঘটনাপ্রবাহ, মান-অভিমান আর খুনসুটির এক বিরাট জলাশয়। এ যেন এক জলাশয়ে ফোটা নানান রঙের পদ্ম। কৌতূহল নিয়ে আমি যখন এই জাদুমন্ত্রের ভেতর প্রবেশ করলাম, তখন নিজের অজান্তেই হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম সেই আশি শতাব্দির সাদা-কালো যুগে। যে জীবন কোনো টিভি সিরিয়াল কিংবা মিডিয়া দ্বারা প্রভাবিত নয়। এলোমেলো মেঠোপথ আর সদ্য গজা ঘাসের ওপর সৃষ্ট সেই জীবনের প্রভাবক হচ্ছে মানুষের স্বচ্ছতা আর ভালোবাসা। লেখক খুব চমৎকার ভাবে সেই পুরানো দিনের গ্রামবাংলার প্রেক্ষাপটে বেশিরভাগ গল্প এঁকেছেন। দেখিয়েছেন আধুনিকতার নামে অশ্লিলতা ছাড়াও কীভাবে একটা সুন্দর দাম্পত্য জীবন উপভোগ করা যায়। এই জাদুকরী টোটকায় আমি যা পেয়েছি, তা বলতে গেলে আর বই পর্যালোচনা হবে না। ছোটখাটো একটা গল্পের আসর জমে যাবে। আবার গল্পের সাসপেন্স বলেও তো একটা কথা আছে! তাই অযথা প্রলাপ বকব না। মোদ্দা কথা প্রতিটা গল্প স্বতন্ত্র ও উপকারী শিক্ষা দিয়ে ঠাসা ছিল। আর যেহেতু জাদুকরী টোটকা বলেছি, সেহেতু বোঝা উচিত পাঠকের মননকে প্রতিটা গল্প কতখানি মোহাচ্ছন্ন করতে সক্ষম! . • পাঠ অভিমত: সচরাচর ছোটগল্প নির্দিষ্ট একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে ডালপালা বিস্তার করে, আর গল্পের শেষে সেই বিষয়টা নিয়েই একটা শিক্ষা দেয়। কিন্তু এই বইয়ের প্রতিটা গল্প নির্দিষ্ট একটি প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠলেও, মাত্র একটি শিক্ষা দেয়ার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকেনি। আবার গল্পের অভ্যন্তরের প্রতিটা চরিত্রের ঘটনাপ্রবাহ পাঠককে বিভিন্ন আঙ্গিকে ভাবাতে সাহায্য করেছে, চরিত্র অনুযায়ী দিয়েছে বহুমাত্রিক শিক্ষা। কখনো ভাই হয়ে, কখনো বাবা হয়ে, কখনো শ্বশুর-শাশুড়ি কিংবা শিক্ষক-ইমাম হয়ে। খুব ছোট চরিত্র ছাড়া প্রায় প্রতিটা চরিত্র নিয়ে ভাবার বিষয় ছিলো। গল্পগুলো শুরুর সময় খুব সাদামাটা ভাবে শুরু হয়েছে। কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ যত এগিয়েছে, গল্পের এন্ডিং যত ঘনিয়ে এসেছে, তত অস্থিরা ও থ্রিল বেড়েছে। গল্প কখন কোন দিক থেকে মোড় নিবে, সেটা গল্প পড়ার শুরুতেই বোঝা যায়নি। যার জন্য প্রতিটা গল্প খুব মনোযোগ দিয়ে পড়তে হয়েছে। একটু অমনোযোগী ভাব পরিবর্তন করে দিয়েছে পুরো গল্পের প্রেক্ষাপট ও মেসেজ। আমি নিজে এ বিষয়টা খুব হাড়েমজ্জায় টের পেয়েছি। ‘দ্বিতীয় বাসর’ নামে একটা গল্প ছিল। বইয়ের সবথেকে শক্তিশালী গল্প এটা। কিন্তু একটু অমনোযোগী হয়ে পড়ার কারণে পুরো গল্পের কনসেপ্ট ভুল আর দূর্বল মনে হয়েছিল। এই গল্পটার প্রতিটা স্টেপে ছিল সাসপেন্স। যার একটা সাসপেন্স ধরতে না পারার কারণে গল্পের সবথেকে দূরদর্শী ব্যক্তিকে চরিত্রহীন ভেবে বসেছিলাম, যে কিনা তার দূরদর্শী জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছিল এক রাতের জন্য বিয়ে করে আবার তালাক দিয়ে। শুনতে অদ্ভুত শোনাচ্ছে না? গল্পটা পড়লেই বুঝতে পারবেন লেখক হিসেবে মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ কতখানি শক্তিশালী! এই গল্পের মর্মোদ্ধার করেছিলাম এক বড় আপুর সাথে মেসেঞ্জারে দীর্ঘ দু’ঘন্টা বাতচিৎ করে। সে যাক গে, এবার বলি বইয়ের মূল প্রতিপাদ্য কী ছিল। দাম্পত্য জীবনের টোটকা দেয়ার পাশাপাশি লেখক খুব সুক্ষ্ম ভাবে ইসলামি জীবনব্যবস্থার সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। মূলত ইসলামি জীবনব্যবস্থার ভেতরই যে সকল কল্যাণ ও সমাধান নিহিত, এটাই বোঝাতে চেয়েছেন সব গল্পে। পাঠকের যদি ইসলামি জ্ঞান নাও থাকে, তবেও সে গল্পগুলো পড়ে একটা মধুর ও সুশৃঙ্খল দাম্পত্য জীবনের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। যেহেতু লেখক শুরুতেই বলে দিয়েছেন, তিনি কোনো সাহিত্যিক নন, আবার এই বই সাহিত্য চর্চার জন্যও না, তাই ভাষার রসবোধ ও বর্ণনার মাধুর্য না থাকাই স্বাভাবিক। এজন্য আমি লেখার সাহিত্যমান ও ঘটনার ঘনঘটার বর্ণনা নিয়ে আলোচনা করব না। এসব অপূর্ণতা ছাড়াও প্রতিটা গল্প ছিলো অনেক বেশি ভাববহুল আর গুরুত্বপূর্ণ। তবে বইয়ে যে সম্পাদনায় ভুল ছিল, এটা মোটেও কাম্য নয়। এর আগে মাকতাবাতুল আযহারের যে বইটা পড়েছি, তাতেও অনেক সম্পাদনার ভুল ছিল। এত অভিজাত একটা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠক নিশ্চয় আরো উন্নত কিছু আশা করে। প্রকাশনীর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। . • পাঠ অনুভূতি: অনুভূতি সেও কি আবার বর্ণনা করা যায়? উহু, অনুভূতিকে বর্ণনা করার মতো কোনো শব্দই যে পৃথিবীর কোনো অভিধানে নেই। তারপরও গুটিকয়েক শব্দের বুননে গাঁথা অনুভূতিকে মুক্তির আনন্দ দিতে বড্ড ইচ্ছা করছে। প্রেম-অপ্রেম, ভরসা-বিশ্বাস, মান-অভিমান ও খুনসুটির তক্তপোশে যখন ফুল ফোটা শুরু করে, তখনই শুরু হয় দাম্পত্যের মধুর লগন। সেই মধুর লগনে গল্পকাররা খুঁজে পান কল্পনার থেকেও সুন্দর জীবনের কথা। সফেদ পৃষ্ঠায় ঝরা বকুল ফুলের মালার মতো গড়গড় করে গেঁথে যান পৃথিবীর সবথেকে রহস্যময় সম্পর্কের উপাখ্যান। সেই উপাখ্যানে কখনো থাকে দাম্পত্যের উত্থান, কখনো থাকে পতন। কখনো বা গল্পকার পাঠকদের স্নিগ্ধ সতেজ আবেশে জড়িয়ে উপহার দিয়ে যান দাম্পত্য জীবনের রংধনু রঙা রূপরেখা। আমার কাছে দাম্পত্য জীবনের জন্য ‘আই লাভ ইউ’ বইটি তেমনই এক রংধনু রঙা রূপরেখার মতো। গল্পের মূল চরিত্রে নিজেকে বসিয়ে গল্প পড়ার অভ্যাস আমার চিরদিনের। এটাকে নিছক আবেগ কিংবা ঢং বলে উড়িয়ে দিতে পারেন। তবে গল্পের মূল চরিত্রে যদি নিজেকে বসিয়ে গল্প পড়া হয়, তবে গল্পের মূল শিক্ষাটা গভীর ভাবে আত্মস্থ করা যায়, পাশাপাশি চরিত্রের অনুভূতিগুলো খুব কাছথেকে অনুভব করা যায়। তাই গল্পের মূল চরিত্রে নিজেকে বসানোর পর আমি যেন আবেগপ্রবণ এক শিক্ষা সফরে চলে গিয়েছিলাম। যেই শিক্ষা সফরে কখনো কেঁদে উঠেছি, কখনো হেসে উঠেছি, কখনো বা রেগে উঠেছি; আবার কখনো স্নিগ্ধ আবেশে তলিয়ে গিয়ে হরর থ্রিলারের গন্ধে কেঁপে উঠেছি। এই হরেকরকম অনুভূতির আবেশ থেকে খুঁজে নিয়েছি দাম্পত্য জীবনের জন্য মণিমুক্তো খচিত অনুপম শিক্ষা। . • যাবার বেলার কথা: সেক্যু পাড়ায় যদি হুমায়ূন আহমেদ গল্পের জাদুকর হয়, তবে দ্বীনি পাড়ায় মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ। সেক্যুরা বরং বস্তাপঁচা অশ্লীলতাকে মলাট বন্দি করুক, মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহরা সুস্থতার চর্চা করে যাক, টেনে তুলুক অসুস্থ সমাজকে। আল্লাহ শাইখের চিন্তায় বারাকাহ দিন, উম্মাহর জন্য উপকারী হিসেবে কবুল করুন।

আপনার মতামত ও রেটিং